ঝরা শিউলি
এক মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে,…..
“চা ফুল পৃথিবীর অবহেলিত ফুলের একটি। কুঁড়িসহ পাতা তোলা হয় বলে কোন বাগানে ফোঁটার সুযোগও পায় না। কোথাও লোকে ভাবে ফুল থাকা মানে চা গাছটা কষ্টে আছে। মানুষের অযত্ন পেলেই হাঁফ ছেড়ে ফুটে চা ফুল। ক্যান্সার হাসপাতালের শেষ দিনগুলোতে আমার স্ত্রী জাহরা চা ফুল দেখতে চেয়েছিল। বিয়ের প্রথম দিকে আমি চা বাগানে কাজ করতাম। কিন্তু নিউ ইয়র্কে কোথায় পাই চা ফুল? সারাদিন দোকান ঘুরে একটা চায়ের প্যাকেটও পেলাম না যেখানে চা ফুলের ছবি আছে। যেটা ও একটু ছুঁয়ে দেখতে পারে। শেষে নিজেই এঁকেছিলাম। ছবিটা হাতে নিয়ে জাহরার কী যে আনন্দ। এক ঘন্টা পর ও মারা যায়। ছবিটা আপনাদের মনে করিয়ে দেবে আমার জাহরাকে, এক টুকরো ফুলকে। মনে করিয়ে দেবে কারো কাছে যে অবহেলার, অন্য কারো কাছে সে দুষ্প্রাপ্য।” – উদ্বোধনের দিন টাঙানো ছবিটা আজও রয়ে গেছে আশ্রমের ক্যাফের দেয়ালে। নতুন কেউ এলে তাঁকে বৃদ্ধরঙা চা ফুল, ছবিটার গল্প শোনানো হয়। ওঁরা শেখেন এখানে মন খারাপের গল্প ভেসে বেড়ায় কিন্তু আশা বা স্বপ্নের মতো ছোট্ট একটা জানালাও আছে যা জীবনকে মেলে দেয়।
এই ক্যাফেরই দক্ষিণ কোণে পৃথিবীর প্রাচীনতম গনমাধ্যমের একটি- চায়ের টেবিল। ফুলের মতো গন্ধ তৈরির কসরত জানলে টেবিল থেকে ছড়িয়ে পড়তো অস্বস্তির ঘ্রাণ। বৃদ্ধাশ্রমের দু’জন বাসিন্দা বসে আছেন যারা জলখাবার শেষে বরাবরই এখানে বসেন একটি যথাযোগ্য আলাপের জন্য। কখনো সখনো আসে রফিকুল, এসেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়, এই যেমন, লেখক কাকু একটা মৃত্যুর গল্প শোনান যেখানে ধাঁধা থাকবে। মানুুুুষটা চ্যালেঞ্জ নাড়েন যেন আতরের শিশি। না শৈশব- না কৈশোরের কথা মনে পড়ে তাঁর। “আমাদের গ্রামে এক ফকির ছিলেন। তাঁর বিশেষ খাদেমদের একজন ছিলেন আমার চাচাতো কাকা। প্যারালাইজড হয়ে গিয়েছিলেন, টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেননি। ফকির নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাঁকে সুস্থ করে তুলেন। তো একদিন চাচাকে বাটিতে সরষের তেল আর একটা লাঠি দিয়ে ‘লাঠিটারে তেল খাওয়াও’ আদেশ দিলেন ফকির। চাচা লাঠিতে তেল মেখে রোদে দেন, শুকিয়ে উঠলে আবার তেল দেন। সারাদিন লাঠিটাকে এক বাটি তেল খাওয়ানোই ছিল তাঁর কাজ। সন্ধ্যায় হুজুরকে লাঠি দিলে, ভক্তরা আশা করেছিল বিশেষ কিছুর। অথচ সবাইকে হতাশ করে দিয়ে ফকির লাঠিটা ঘরের দরজার বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখলেন। পরদিন সকালে খবর আসে ফকির মারা গেছেন। কোত্থেকে এক পাগল বাড়িতে ঢুকেছিল, সামনে লাঠি পেয়ে ফকিরকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। পুলিশ ডাকতে চেয়েছিল খাদেমরা কিন্তু ফকির মানা করেছিলেন। এমন আলেম লোক এভাবে পিটুনিতে মরে গেল অনেকেই মানতে পারে নি। এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা, কাকতালীয় নাকি নিয়তি- এবার তুমি ভাব রফিকুল।”
রফিকুলের ভাবনার থেকে শুনতেই ভালো লাগে। ভাবনার জন্য আছে তার ঘরের মানুষ, ও শুধু একেক দিন বড়শির মতো বউয়ের করা প্রশ্নগুলো ছেড়ে দেয় টেবিলের হাওয়ায়। এই যেমন- লেখক কাকু, বুকে হুহু উঠে এমন ভালোবাসার সত্যি গল্প জানেন? এক ছলকে চোখ অনায়াসে চলে যায় জাহরার চা ফুলের দিকে। তারপর তিনি পৃথিবীর নিঃসঙ্গতম পাখির গল্প শোনান। নাইজেল পাখিটা আশিটি পাথরের পাখির ভিড়ে বাসা বেঁধেছিল। প্রেমে পড়েছিল একটি পাথরের পাখির। একদিন কয়েকটা সত্যিকারের পাখি উড়ে আসে দ্বীপে। অনেকেই ভেবেছিল, জীবন্ত সঙ্গী পেয়ে নাইজেল ভুলে যাবে পাথরের পাখি। কিন্তু তা হয়নি। ঐ পাথরের পাখির পাশেই পড়েছিল নাইজেলের নিথর দেহ। রাতে গল্প শুনে রফিকুলের বউ ছয় মিনিট কান্না আর তের মিনিট ছাপান্ন সেকেন্ড ফুঁপিয়েছিল। বউ কেঁদেছিল টার্কিশ পাহাড় থেকে পড়ে যাওয়া ঐ ভেড়াগুলোর জন্যও। প্রথম ভেড়াটা চূড়ো থেকে পড়ে যায় দূর্ঘটনাক্রমে, তারপর ওর দেখাদেখি ঝাঁপিয়ে পড়ে আড়াই হাজার ভেড়া। শত শত ভেড়ার করুণ আত্মাহুতির ভারে বউ সেরাতে ঘুমোতে পারেনি, অভিযোগ করেছিল লেখক কাকুর সব গল্প বড়ো মৃত্যু-ঘেঁষা। মাঝে সাঝে দুপুরের ভাতের সাথেও রফিকুল বয়ে আনে বউয়ের তৈরি শোলক। এই যেমন, চার অক্ষরের শিশু জেলে বন্দী থাকে/ পাইলে জামিন মা-বাপ দুধ দেয় মুখে। বুড়ো মানুষগুলো হিমশিম খেতে থাকলে রফিকুল সিরাতুল প্রশ্নটাই করে ‘কোন পাখি দুধ দেয়?’ তারপর কেউ উত্তর তুলে আনে স্মৃতির ছিপ দিয়ে। এই যেমন এর উত্তর দিয়েছিলেন ওমরাহ বাবু তবে ঘুরিয়ে- “পিকাসো নামের এক শিল্পী অনেক ছবি এঁকেছেন এই পাখি নিয়ে। মেয়ের নামও রেখেছিলেন। স্প্যানিশে বলে পালোমা।”
ক্যাফের দক্ষিণ কোণের টেবিলে এরকম অনেক গল্প, তথ্য প্রতিবেশী হয়ে চায়ের সাথে আসে। আজও ঘর থেকে বেরুনোর আগে একজনের ভাবনায় ছিল আলাপের সূচ ‘কথা সাহিত্যিক ও হেনরি যে তিন বছর জেল খেটেছিলেন এ তথ্য কি জানতেন কিংবা জানতেন জাগরী উপন্যাস যে জেলে বসে লেখা কিংবা শরৎচন্দ্র যে মাতাল অবস্থায় দেবদাস লিখেছিলেন?’ তার আগে এবং পরে করোনা ভাইরাসের গতি-দূর্গতি নিয়ে আলাপ। অথচ আজকে সেসব আলাপ জমে ওঠে না। আসতে না আসতেই যেমন মেঘে ফিকে হয়ে আসে আষাঢ়ের রোদ। তেমনি দুজনের আলাপের মাঝে টেবিলে শুয়ে থাকে একটি বকুল ফুলের মালা। মালাটি অন্য টেবিলে পড়ে থাকলে ভ্রমরের মতো মাতামাতি পড়ে যেত। কিন্তু এই টেবিলে কাছিমের মতো উঁচিয়ে থাকে অস্বস্তি। দেরীতে উপস্থিত হওয়া ছবি বাবু ঈর্ষা নিয়ে ভাবতে থাকেন মালার পেছনের সম্ভাব্য গল্পকে। রফিকুলই এই সংসার হারানোদের মাঝে পুরো দস্তুর সংসারী। আশ্রমের পেছন দিকে বেড়া আর বকুলগাছের আড়ালে ওরই আছে মেয়েলী সংসার- বউ, তিন বছরের মেয়ে আর আম্মা। মূলতঃ আম্মার পরামর্শের উৎপাতেই বাড়তি পর্দার ব্যবস্থা। রফিকুল এই আশ্রমের তত্ত্বাবধায়ক। তার বউ আশ্রমের রান্নার তদারকি করে।
রফিকুলের স্ত্রী এবং আম্মা এই আশ্রমে যতটা না আড়াল হয়ে থাকেন, তারও বেশি থাকেন আভাস হয়ে। প্রায়ই সমুদ্রের হাওয়ার মতো লেখক মশাইয়ের দোতালার ঘরের জানালা থেকে দেখা যায় উঠানের কোণ, ছড়ানো একটি দুটো শাড়ি। মানুষ যেমন সমুদ্রের পাড়ে ঝিনুক কুড়ায়, সেরকম শাড়ি বা শাড়িরা পুলক জাগায় চিরকুমার ছবি বাবুর মনে। বইয়ের অজুহাতে ছবি বাবু প্রায়ই ঐ ঘরে যান। বই নিয়ে জানালার ধারটায় বসেন। খানিকটা দূরের উঠোনে সাদা-বিকেল, দুপুর শাড়ি তাঁর চোখে হয়ে ওঠে বেগম আখতার, গান গেয়ে শোনায় ‘পিয়া ভুলো অভিমান।’ তাঁর পৃথিবীর মানচিত্রে সে-ই তো একটা বিশেষ বকুল গাছ, সে-ই তো একজন বেগম আখতার। টেবিলে পড়ে থাকা বকুল মালা ছবি বাবুর বুকে ব্যথা জাগিয়ে তুলে। বই গুঁজে বসে থাকা নির্লিপ্ত লেখক ব্যাটা আসলে এগিয়ে গেছে। সত্যি এতসব বিহ্বলতা কী করে এড়াবে সে! দেবদাস বিরহ-ব্যর্থতা যাপন করেছিল মদের পেয়ালায়। বুড়ো দেবদাসের বিরহ হতে পারে চিনির পেয়ালায়। ইচ্ছে করে একের পর এক চিনি দেয়া চা, মিষ্টি খেতে। জানে চিনি চা চাইতে গেলেই আশফাক আদুরে প্রতিবাদ করবে। এতদিনে ওর জানা হয়ে গেছে ডায়বেটিসের রাজ রাজত্ব। ‘শালা বুক ফাকার’- মনে মনে খুন করে ফেলতে ইচ্ছে করে।
প্রথমে টেবিলে পৌছুনো, আমাদের গল্পের লেখক, সঙ্গীর মুডের বদল বুঝেন। যেমন বুঝেন পাশের মানুষটা যতটা না বই খুঁজেন, তার চেয়েও বেশি খুঁজেন শাড়ির আলো হাওয়া। ঐ উড়তে থাকা শাড়ির হাওয়ায় ছুটে গেছে তাঁর বন্দর, জাহাজ। বইয়ে মুখ গুজে থাকা মানে উটপাখি হয়ে থাকা তো নয়। বই তাঁর কাছে দূরবীন কিংবা তাঁরও অজুহাত অনেক কিছুতে চোখ রাখার। ওঁর ঘরে এলেই সবার চোখ অনায়াসে চলে যায় জানালার দিকে। জানালাটা তখন একটা দীর্ঘশ্বাস, একটা ঈর্ষা অথবা এক টুকরো ফ্যান্টাসি, চমক, বিস্ময়। তিনিও কৌতূহলী হয়ে উঠেছিলেন। আবিষ্কার করেছিলেন দুপুর শাড়ি তাঁর উপস্থাপনাকে মসৃণতা দেয়। মনে হয়, ঐ শাড়িগুলোও তাঁর গল্পের শ্রোতা, পাঠক। রফিকুলের ‘গল্প শোনান’ চ্যালেঞ্জ তাই বুঝি বাড়তি আবেদন তৈরি করে তাঁর মস্তিষ্কে।
তিনি আবিষ্কার করেছিলেন দুপুর শাড়ি তাঁর বুকেও পুরনো পলাশ ফোটায়। বাড়িতে গিয়ে সেবার খোঁজ করেছিলেন স্ত্রীর শাড়িগুলোর। যদিও জানতেন নোনা হাওয়া জাগানো শাড়ি আর আটকে থাকা শাড়ির মধ্যে বড়ো তফাৎ। শুধু সেই বেনারসীটা যেন ভোরের আকাশ, দাঁড়ালেই সূর্যোদয় হয়। কাঁথা জড়িয়ে শুয়ে থাকা নতুন বউ, খুব ঝাঁঝে উড়ছিল তাঁর কথা। হয়তো পুরুষের ভেতরে আয়োজনের আশ়ংকা করছিলেন। যে আয়োজনের জন্য মন তখনও তৈরি হয়নি মেয়ের। অথচ এমন কোন আয়োজন নিয়ে পুরুষটি ভাবেননি তখনও। বাসর রাত তখনও তাঁর কাছে চাঁদে হাটার মতো প্রথম আবিষ্কার। বউয়ের মেজাজ দেখে মন খারাপ করে বসেছিলেন। হঠাৎ কি যেন হলো, মেয়ে নিজে থেকেই হাত ধরলো। ব্যাস মন খারাপ, অভিমান গেল সব উল্টে…
আলমারিতে অনেক কিছুই ছিল- ছেলেমেয়েদের প্রথম কাঁটা চুল কস্টটেপে প্যাচানো, একবার রাগ করে বউ গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলেছিলেন, সেই ছেঁড়া গেঞ্জি, পুরনো অ্যালবাম, শুকিয়ে যাওয়া কাচপোকা, গোলাপী পাউডার কেইস, ভুলো না আমায় লেখা হলদেটে রুমাল, পত্রিকার কাটা গল্প, অপাঙ্ক্তেয় টুকিটাকি অথচ শাড়ি ছিল না একটিও। মৃত্যুর চল্লিশ দিন, চেহলামের আয়োজনেই মেয়ে-বৌমারা ভাগাভাগি করে নিয়ে গেছে। বিয়ের বেনারসীটা ছোট মেয়ের কাছে রাখা। মায়ের কাছ থেকে নাকি আগেই চেয়ে নিয়েছে। ভাবছিলেন ‘আমাকে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন বোধ করেনি?’ নাকি করেছিল তখন বোধহয় ভাবেননি কোনদিন এমন হাহাকার হতে পারে। স্ত্রীর সাথে ভাবের থেকে খুনসুটি, কাটাকাটিই ছিল বেশি। মন যেন বিষের কৌটো, সংসারে ছিটকে পড়তো। স্ত্রীর রাগকে তোয়াজ করতে গিয়ে আক্ষেপই জমে ছিল বেশি তাঁর। তাই স্ত্রীর মৃত্যু সাপলুডুর সব সাপ মুছে জীবনকে এমন একঘেয়ে সফল, নিঃসঙ্গ করে দেবে বুঝতে পারেন নি। বুঝতে পারেন সে ছিল তাঁর একটি করবী গাছ। বিষ ছাপিয়ে ফুটে ওঠা পঞ্চাশ রঙিন পুষ্প।
হ্যাঁ, উঠোনের দড়িমুখী জানালার সুবিধে তিনি নিয়েছেন। চাতক হয়ে দেখেছেন শান্ত দিঘির মতোন শাড়ি, আর বারবার ফিরে গেছেন অন্য মেঘের উঠোনে যেখানে করবী ফুটে, শাড়ি নেই বলে কেউ গায়ে করবী জড়িয়ে রাখে। হ্যাঁ, শাড়ির ওপাশের আভাসের মুখোমুখি হয়ে গভীরে তিনি সূর্যমুখীর দানা কুড়িয়েছেন। পাঠকরা যেমন হয়। আজ তিনি কুড়িয়েছেন শাড়ির খানিকটা নিচে জলচৌকির পায়া, কাসের থালায় ফুল, সুতো, ঝুলে থাকা আধখানা মালা- বকুল ফুলের। ছবি বাবুর তপস্যার সাড়া তবে দিয়েছেন তিনি! কোথাও অগোচরে ফুটে গেছে চা ফুল, তারই সহজ বিকল্প স্বীকারোক্তি এই নরম ফুলের মালা! গোপনীয়তায় অনধিকার প্রবেশের আনন্দ, অস্বস্তি, ঈর্ষা ঝিঁঝিঁর মতো ঘিরে রাখে লেখক বাবুর চারপাশ। আর একটি মালা টেবিলে বেগম আখতার হয়ে গুনগুন করে গেয়ে চলে ‘পিয়া ভুলো অভিমান…’ আচানক ক্যাফের দক্ষিণ কোণের টেবিলে ছুটে আসে এক ফুটফুটে মুখ, কান্নায় বাঁধানো চোখ। রফিকুলের মেয়ে বুলবুল। এসেই টুপ করে তুলে নেয় মালা। রংধনু দেখার মতোন উচ্ছ্বাস নিয়ে শুনায়- এই তো আমার মালা, আমার ফটিক ছানার গলায় পড়াব, দুষ্ট ছেলেগুলো আর লুকিয়ে রাখতে পারবে না, ঠিক বের করে ফেলব গন্ধ থেকে। তারপর ছুটে যায় বুলবুল, ফটিকের প্রেমিকা, একটি বকুল ফুলের মালা নিয়ে।
‘দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন চার হাজার ১৯ জন। এটি এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ২৭৭ জন’- ক্যাফের টিভিতে খবর উড়ে যেন শাড়ি। দুজন বৃদ্ধ স্বস্তিতে এবার মুখোমুখি হন একটি সার্বজনীন সংকটে। ওঁদের পাশ কাটিয়ে দূরে চলে যায় কয়েকটি কন্যা বাতাস ফুল। কাপড় নেই বলে ওরা শরীরে ফুল জড়িয়ে থাকে।
এক মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে,…..
শেষ থেকে শুরু। আমি রজকিনী রামী,ধোপার বংশে জন্ম আমার।ঘাটে সখিদের সঙ্গে কাপড় কাচি। একাজটা আমি…..
মালঞ্চার পথে ভোরবেলা। সূর্য সবে উঠছিল। বৈশালী দূর থেকে দেখতে পেল,বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ডে বালুরঘাটের দিকে মুখ…..
আমার বাবা ছিলেন অত্যন্ত সাহসী একজন লড়াকু মনের মানুষ।শত অভাব অভিযোগেও তাকে কোনোদিন ভেঙ্গে…..