বাদল মেঘের আলোয় (পর্ব ১১)

শাহনাজ হোসেন
গল্প, ধারাবাহিক
Bengali
বাদল মেঘের আলোয় (পর্ব ১১)

আগের পর্ব পড়ুন এখানে >>>

আব্দুল্লাহ সাহেবের তিন ছেলের পর যেদিন মেয়ে হলো সেদিন উনার কয়েক লক্ষ টাকার শেয়ার এক লাফে আড়াই কোটি টাকা হয়ে গেলো, উনিও বুদ্ধিমান মানুষ, দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি করে একদিনে কোটিপতি হয়ে গেলেন। পরের দিন ধানমন্ডির যে পুরোনো বাড়িটা ডেভেলপ করার জন্য সন্তানহীন বৃদ্ধ মালিকের কাছ থেকে রেজিস্টার্ড পাওয়ার অব এটর্নি নিয়েছিলেন তিনি মারা গেলেন, ফলে শুধুমাত্র নামমাত্র বায়নার টাকার বিনিময়ে উনি বাড়িটার মালিক বনে গেলেন। ব্যাংকের ডাইরেক্টর হওয়ার জন্য অনেকদিন থেকে চেস্টা করছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন চলে এলো। মেয়েটা উনার জন্য ভাগ্যের প্রতীক হয়ে জন্মেছে, এক সপ্তাহের মধ্যে  টাকা-পয়সা, মান-সন্মান সব কিছু স্বপ্নের মতো হাতের মুঠোয় চলে এলো।  শখ করে মেয়ের নাম রাখলেন গওহর।

এক সপ্তাহের মাথায় উনার স্ত্রী ও কন্যাকে ক্লিনিক থেকে রিলিজ নেয়ার সময় ডাক্তার সাহেব বললেন, আব্দুল্লাহ সাহেব এখন আপনাকে এমন একটা কথা জানাবো যেটা মেনে নিতে আপনার কস্ট হবে কিন্তু ডাক্তার হিসেবে আমার আপনাকে জানানো উচিত কারন এক সময় না এক সময় এই সত্যিটা আপনার সামনে আসবে। জন্মগতভাবে  আপনার মেয়েটা পুরোপুরি মেয়েদের শারীরিক বৈশিস্ট নিয়ে জন্মায়নি, আপনার এই সন্তানটি একজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, আপনারা যাকে হিজড়া বলেন। আমরা অপারেশন থিয়েটারেই বুঝতে পেরেছিলাম কিন্তু কিছু টেস্ট রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ঘরের ভিতর বোমা ফাটলেও মনে হয় আব্দুল্লাহ সাহেব এতো আশ্চর্য হতেন না। ডাক্তারের শার্টের কলার শক্ত করে চেপে ধরে বলে উঠলেন ফাজলামি করেন আমার সঙ্গে, মেরে তক্তা বানায়ে ফেলবো। উনার স্ত্রী হাউমাউ করে কেঁদে উঠতেই উনি চিৎকার করে উঠলেন, কান্নাকাটির কি হলো? এই ডাক্তার বেটা আমাদের সঙ্গে ভাওতাবাজি করছে, এই মেয়ে আমাদের জন্য ভাগ্য বয়ে নিয়ে এসেছে তুমি দেখছো না মেয়ে জন্মানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই আমার ভাগ্য কিভাবে বদলে গেছে? ডাক্তার সাহেব উনার হাতে টেস্ট রিপোর্টের খামটা দিয়ে বললেন, আপনি মনে করলে অন্য কোন ডাক্তারকে এই রিপোর্টগুলো দেখাতে পারেন অথবা অন্য কোন ডাক্তারকেও আপনার মেয়েকে দেখাতে পারেন। ডাক্তার সাহেব উনাকে ধাতস্ত হবার জন্য কেবিনে রেখে বেরিয়ে গেলেন।

স্ত্রী কন্যাকে বাড়ীতে এনে স্ত্রীকে কঠিন ভাবে বললেন ডাক্তারের কথা যেন কাকপক্ষীতেও টের না পায়, একমাত্র উনারা দুজনেই জানবেন তাদের মেয়ের বাস্তবতা, মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই উনাদের এটা গোপন রাখতে হবে। আব্দুল্লাহ সাহেবের স্ত্রীর কোন দিনই সাহস হয়নি স্বামীর কথার অবাধ্য হতে, উনি জানেন উনার স্বামী সবসময় উনাদের জন্য যেটা ভালো সেটাই করবেন, স্বামীর উপর উনার অগাধ বিশ্বাস। মনে মনে উনি ভাবছেন যে জ্ঞানত উনি কখনো কোন খারাপ কাজ করেননি তাহলে আল্লাহতায়ালা উনাকে এটা কিসের শাস্তি দিলেন, এখন এই হিজড়া সন্তান নিয়ে উনি কি করবেন, নিজের সন্তান ফেলেও দিতে পারবেন না, আর এটাও সত্যি এই সন্তান উনাদের ভাগ্য বয়ে নিয়ে এসেছে। আপাতত স্বামীর কথা মতো মুখ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন।

ব্যাংকের ডাইরেক্টরশিপের কাগজ পত্র আজই জমা দিতে হবে। স্ত্রী কন্যাকে বাড়ীতে  রেখে আপাতত অন্যসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে আব্দুল্লাহ সাহেব মতিঝিলের দিকে রওনা দিলেন। অনেক রাতে বাড়িতে ফিরে সদ্যোজাত সন্তানের রিপোর্টের ফাইল নিয়ে বসে মাথামুন্ডু কিছুই বুঝতে পারলেন না। বেবসায়িক ঝামেলা একটু সামলে উঠে মাস ছয়েকের মাথায় স্ত্রী- সন্তানসহ ইন্ডিয়া গেলেন ডাক্তার দেখাতে, সেখান থেকে কোন আশার বানী শুনতে পেলেন না। দেখতে দেখতে কন্যাকে স্কুলে দেবার সময় হয়ে এলেও বাড়িতে শিক্ষক রেখে মেয়েকে পড়ানো শুরু করলেন। আগে প্রায়শই আত্মীয়স্বজনের বাসায় যেতেন এখন সময় স্বল্পতার অজুহাতে সব জায়গায় যাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন, আর গেলেও স্ত্রীকে নিয়ে যান না, এভাবেই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে নিজের হিজড়া সন্তানকে মেয়ে সন্তান হিসেবে বড় করতে লাগলেন, উনার এই সতর্কতায় স্ত্রী সর্বাত্মক সহযোগিতা চালিয়ে যেতে লাগলেন। এই অসম লিঙ্গের সন্তানটির আগমনে উনার আয় উন্নতি, মান সন্মান, সামাজিক প্রভাব প্রতিপত্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে, উনি মনে প্রানে বিশ্বাস করেন উপরওয়ালা এই সন্তানটির শারিরক প্রতিবন্ধকতার বিনিময়ে উনার এই উন্নতি দিয়েছেন। এই কারনে অসম লিঙ্গের হওয়া সত্ত্বেও এই সন্তানটি উনার চোখের মনি।

অনেক দেরী করে গওহরকে স্কুলে ভর্তি করালেও নামে মাত্র স্কুলে যাওয়া আসা করে, কম এটেন্ডেন্সের জন্য যেন স্কুল কমপ্লেইন না করে তাই ডাক্তারের সার্টিফিকেট দেয়া আছে যে সে রেগুলার ক্লাস করতে পারবে না, আর বছরের শুরুতে স্কুলে মোটা অংকের ডোনেশন দেয়াতে তার পরীক্ষা দেয়া নিয়ে প্রিন্সিপাল কোন ঝামেলা করে না। গওহরেরও স্কুলে যাওয়ার চাইতে বাসায় থেকে সারাদিন টেলিভিশন দেখতে মোটেই খারাপ লাগে না বরং স্কুলে যেতে তার চরম অনীহা। পড়াশুনাতেও সে খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই, তার ভালো লাগে সবার সঙ্গে গল্প করতে, ভালো কাপড়চোপড় পরে মেকআপ করে থাকতে, খুব ভোরে উঠে বাবার সঙ্গে ধানমন্ডি লেকের পাড়ে হেঁটে রেস্টুরেন্টে নাস্তা করে আসতে।

নিজের লিঙ্গ অসমতা সম্পর্কে গওহর বুঝতে পারল তার বয়ঃসন্ধি শুরু হওয়ারও কয়েক বছর পর। বাসার কাজের মেয়ে আমেনা, যে গওহরের সমবয়সী, যাকে আনা হয়েছিল বিশেষ করে গওহরকে সঙ্গ দিতে আর তার ফাইফরমাশ খাটতে সে ঋতুমতী হওয়ার কয়েক বছর পরেও যখন গওহর নিজের মধ্যে আমেনার কিশোরী থেকে সদ্য তরুণী হওয়ার মতো শারীরিক কোন  পরিবর্তন দেখতে পেল না তখন একদিন হাঁটতে গিয়ে বাবাকে বলল সে ডাক্তারের কাছে যেতে চায় তার কেন কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। পরিবর্তন যে একেবারে হচ্ছে না তা না, যেখানে আমেনা দিনে দিনে বেতস লতার মতো কোমল হচ্ছে গওহরের চেহারায় দিনে দিনে একটা চোয়াড়ে ভাব আসছে, এতো রূপচর্চা করে তারপরও কোমলতা আসছে না। আব্দুল্লাহ সাহেব আজ নিয়ে যাব কাল নিয়ে যাব করে গওহরের এস এস সি পরীক্ষার সময় হয়ে এলে উনি বললেন পরীক্ষার পর ইন্ডিয়া নিয়ে গিয়ে ডাক্তার দেখাবেন। টেস্ট পরীক্ষায় পাশ না করে, আব্দুল্লাহ সাহেবের প্রভাবের কারনে ফাইনালের ফর্ম ফিলাপ করলেও পড়াশুনায় খুবই দুর্বল গওহর এস এস সি পরীক্ষায় মোটামুটি সব সাবজেক্টে ফেল করল। ইতিমধ্যে পরীক্ষার পর ইন্ডিয়া গিয়ে সে তার জন্মগত সমস্যার কথা জানতে পেরেছে, প্রথম প্রথম সারাদিন চিৎকার করে কাঁদলে তার বাবা তাকে বুঝিয়েছে যে তার জন্যই তার বাবার এতো উন্নতি হয়েছে, সে পরিবারের ভাগ্য বয়ে নিয়ে এসেছে, এতোদিন বাবা-মা যেমন কাউকে কিছু জানতে বুঝতে দেয়নি গওহরকেও তাই করতে হবে, তবেই সে সমাজে মাথা উচু করে চলতে পারবে। মানসিক ধাক্কাটা সামলাতে গিয়ে সে পর পর দু বছর পরীক্ষা দিতে পারল না, এদিকে সঠিক বয়সের তুলনায় বেশ দেরীতে স্কুল শুরু করায় শেষ পর্যন্ত মোটামুটি ২২ বছর বয়সে গিয়ে সে এস এস সির সিঁড়িটা টপকাতে পারল। এরপর শুরু হলো এইচ এস সি পাশের ধস্তাধস্তি যা শেষ করতে গিয়ে সে ২৬ এর সীমারেখা পার করে ফেলল। আব্দুল্লাহ সাহেব তাকে আরো পড়ার উৎসাহ দিলেও ততদিনে গওহর বুঝে গেছে পড়াশুনা ব্যাপারটা ঠিক তাকে দিয়ে হবে না, বাবাকে বলে পড়াশুনার পাঠ বন্ধ করে বাসার নিচ তলায় একটা বুটিকের দোকান চালু করার চেস্টা করতে শুরু করল।

আব্দুল্লাহ সাহেব দূরদর্শী মানুষ, এতো দিন গওহরকে বুকে করে আগলে রাখলেও তাঁর যে বয়স হচ্ছে এবং তিনি না থাকলে তার এই সন্তানটিকে দেখে রাখার জন্য যে একজন মানুষ প্রয়োজন সেটা তিনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারছিলেন। ইচ্ছা আর চেস্টা থাকলে উপরওয়ালা মানুষের সব আশা পুরন করেন আর সেটা প্রমান করতেই যেন এক সময় কবির উনার চোখে পড়ে গেল। দক্ষ খেলোয়াড়ের মতো জাল গুটিয়ে কবিরের সঙ্গে গওহরের বিয়ে দিতে তাঁর দীর্ঘ কয়েক বছর লাগলেও শেষ পর্যন্ত তিনি তা করতে পারলেন। কবির আর গওহরকে কানাডার প্লেনে তুলে দিয়ে দীর্ঘ ৩৭ বছর পর তিনি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে যেতে পারলেন। আর কেউ না জানলেও আব্দুল্লাহ সাহেব আর তার স্ত্রী জানেন যে কাগজে কলমে গওহর কবিরের চাইতে বয়সে ৩ বছরের ছোট হলেও বাস্তবে সে কবিরের চাইতে ৩ বছরের বড়।

আব্দুল্লাহ সাহেব যেমন চালাক চতুর গওহরকেও তিনি ঠিক সেভাবেই তৈরি করতে পেরেছেন, কবিরকে কিভাবে হাতের মুঠোয় রাখতে হবে তার সঠিক শিক্ষা তিনি দিতে পেরেছেন, সেই সঙ্গে এটাও শিখিয়েছেন যে একমাত্র কবিরের সঙ্গে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে পারলেই গওহর তার অসম লিঙ্গের রহস্যটা গোপন রেখে সমাজে মাথা উঁচু করে চলতে পারবে।  প্রথম প্রথম বৈবাহিক সম্পর্ক শুরু করার জন্য নিজেদের ভালোভাবে জানা প্রয়োজন এই অজুহাতে, উপরন্ত কবিরের রায়নার প্রতি করা অবিচারের ভারে কবির আর গওহর কেউই কারো প্রতি আগ্রহ দেখায়নি, ফলে কানাডা আসার আগে পর্যন্ত গওহরের কোন অসুবিধাই হয়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ের পর কবির বাস্তবতাটা যখন জানতে পারল তখন গওহর অস্ত্র হিসেবে বেছে নিল যে কবির যদি তার সঙ্গে সম্পর্ক না রাখে তাহলে সে শারীরিক অত্যাচারের মামলা করবে, অন্যদিকে কবিরের বাবা-মার জীবন অতিষ্ঠ করতে গওহরের বাবা আর চাচার তেমন একটা বেগ পেতে হবে না। এতোদিনে কবিরও বুঝে গেছে আব্দুল্লাহ সাহেব পারবেন না এমন কোন কাজ নেই।

গওহরের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত কবির বেছে নিল গোপনে মাঝে মাঝে পরিচিত মহিলাদের সঙ্গে শারীরিক সঙ্গ। গোপনীয়তা রক্ষা করার শর্তেই অল্প কিছুদিনের জন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর সেখান থেকে সরে এসে অন্য আর একজনের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক, প্রয়োজনে শহর পরিবর্তন করে শেষে একটা সময়ে প্রভিন্স পরিবর্তন করে কবির এডমন্টনে এসে দীর্ঘ একযুগ পরে রায়নাকে পেয়ে গেল।

প্রথম দিন অর্কের হেঁটে আসা, কবিরের ঝুলে যাওয়া চোয়াল, কবির আর রনির নিরবে চোখাচোখি কিছুই গওহরের চোখ এড়ায়নি, এজন্যই কোথাও গেলে সে বসার জন্য বেছে নেয় এমন একটা কোন যেখান থেকে সবার উপর চোখ রাখা যায়। কবিরের রায়নার প্রতি আগ্রহ আর গোপনে অর্ককে দেখতে যাওয়া কোনটাই গওহরের কাছে বেশিদিন গোপন থাকল না। রায়নার সঙ্গে পরিচয়ের বছর দুয়েকের মধ্যে কৈশোরে পা দেয়া অর্ক আর কবিরের চেহারার মিল এতো প্রকট হয়ে উঠল যে গওহর আর ধৈর্য রাখতে না পেরে কবিরের মুখোমুখি হলো।

কবির নিজেও বুঝতে পারছিল যে একটা সময়ে তাকে এটার মুখোমুখি হতে হবে, তাই গওহরের জিজ্ঞাসার উত্তরে কোনকিছু না লুকিয়ে শুরু থেকে এই পর্যন্ত তার নিজের আর রায়নার সম্পর্কের প্রতিটা ঘটনা সত্যি সত্যি বলে গেল, সেই সঙ্গে এটাও বলল গওহরের সঙ্গে তার সামাজিক সম্পর্কটা একই রকম থাকবে কিন্তু রায়না আর অর্ককে সে আর অস্বীকার করতে পারবে না। কথাটা বলে ফেলে কবিরের নিজেকে অনেক ভারমুক্ত মনে হচ্ছিল। লিভিং রুম থেকে উঠে নিজের বেড রুমের দিকে পা বাড়াতেই গওহরের ছুঁড়ে মারা পিতলের ফুলদানিটা এসে মাথায় বাড়ি লেগে ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করল। ঘুরে দাঁড়িয়ে গওহরের ভয়ঙ্কর আক্রমণাত্মক জান্তব চেহারা দেখে কোনমতে নিজেকে বেড্রুমে ছ্যাঁচড়ে এনে দরজাটা বন্ধ করে ৯১১ কল করে অপেক্ষা করতে লাগল।

এদিকে গওহর কিছুতেই নিজের জান্তব রাগ কমাতে পারছে না, তার এই রাগ কবিরের উপর নাকি নিজের অক্ষমতার উপর সেটা সে নিজেও বুঝতে পারছে না। সে এটাও বুঝতে পারছিল যে নিজের বোকামির জন্য সে ভালোভাবে পড়াশুনাটাও করে নি, সামাজিক পরিচয়ের প্রয়োজন ছাড়াও অন্ন, বস্ত্র বাসস্থানের জন্যও তার কবিরকে প্রয়োজন। কোনভাবেই সে কবিরকে হাতছাড়া করবে না, কোনভাবেই না।

৯১১ এর রেসপন্সে পুলিশ, এ্যাম্বুলেন্স আর ফায়ার ট্রাকের দল এসে লন্ডভন্ড লিভিং রুমের ভেতর দিয়ে হেঁটে গিয়ে কবিরকে উদ্ধার করে এ্যাম্বুলেন্সে তুলতেই সে জ্ঞান হারালো।

চলবে…

শাহনাজ হোসেন (ঝিনুক)। গল্পকার। জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের দিনাজপুর শহরে। শিক্ষা জীবন ঢাকা শহরে, সেই সময় সংস্পর্শে আসেন দৈনিক বাংলার সাপ্তাহিক বিচিত্রার একঝাঁক মেধাবী মানুষের সঙ্গে; পরিচিত হতে শুরু করেন লেখালেখির সঙ্গে। এরপর শিক্ষাজীবন শেষ করে দীর্ঘ ১৫ বছর...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

বালির বেহালা

বালির বেহালা

বুড়িমাসি বলেন,জীবনটা বালির ঘর গো।ঢেউ এলে ধুয়ে যায় জীবনের মায়া।তবু বড় ভালবাসা ওদের দাম্পত্যে।রোদের চাদরের…..

তদন্ত

তদন্ত

  এক ড্রইং রুমে বসে রয়েছে সদ্য কিশোর উত্তীর্ণ তরুণ গোয়েন্দা সজীব। সামনের টেবিলে ছড়িয়ে…..