বাদল মেঘের আলোয় (পর্ব-২)

শাহনাজ হোসেন
গল্প, ধারাবাহিক
Bengali
বাদল মেঘের আলোয় (পর্ব-২)

পূর্ব  প্রকাশিতের পর…

পাঁচ বছর আগে যখন রায়না কানাডায় আসে তখন অর্কর খাবারের পছন্দের তালিকাটা ছিল ভিন্ন। ভাত আর মাংস ছিল পছন্দের তালিকায় এক নম্বরে। সব ধরনের হাই ক্যালোরি খাবার ছিল দারুন পছন্দ। মিষ্টি আর আইসক্রিম বলতে ছিল পাগল। এখানে এসে এক দিন পর থেকেই স্কুল যেতে শুরু করে সেই সঙ্গে খাবারের পছন্দের তালিকা বদলাতে শুরু করে। এখন স্কুলে টিফিন হিসেবে সালাদ, চিকেন, গাজর, ফল নিতে মোটেও আপত্তি করে না বরং আগ্রহ করে নেয়। এখন চাইলেও রায়না সপ্তাহে এক দিনের বেশি ভাত খাওয়াতে পারে না, বলে মা হেলদি খেতে হবে, কারবহাইড্রেড কম খেতে হবে। রায়নার তাতে সুবিধাই হয়েছে, রান্না কম করলেও চলে, বাড়তি সময়টা নিজের পড়াশুনা, অর্কর পড়াশুনার তদারকি করা, মা ছেলের খুনসুটি আর অর্কর আউটডোর এক্টিভিটিতে দিতে পারে।

জিনোম এক্টিভিটি অনুযায়ী প্রতিটি সন্তান বাবা-মার কিছু কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পায় আবার কিছু কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছোটবেলা থেকে দেখে শেখে। অর্ক জন্ম থেকে বাবার আদর অথবা বাবার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দেখে শেখার মত সুযোগ পায়নি। তবুও কিভাবে যেন ওর হাঁটা, চ্লা, কথা বলার ভঙ্গি, আর খাবারের পছন্দটা ধীরে ধীরে ওর বাবার মত হয়েছে। আর এখন তো আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে আর চেহারা পাল্টে হুবহু বাবার চেহারা পাচ্ছে। মাঝে মাঝে রায়নার মনে হয় শুধুমাত্র একটা শুক্রাণুর কাছে ওর অর্ককে গর্ভে ধারন করা, জন্ম দেয়া থেকে শুরু করে এই দীর্ঘ পথ একা পাড়ি দেয়া সব হেরে যাচ্ছে। ব্যাপারটা যেন গ্লাস আমার, পানি আমার, চিনি আমার, তুমি শুধু এক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে সরবতের মালিক। সৃষ্টির এই ব্যাপারটা রায়না ঠিক বুঝতে পারে না।

ছুটির দিনে নাস্তায় পরোটা আর মচমচে করে আলু ভাজি, সঙ্গে ডিম পোচ এটা অর্কর বাবার পছন্দের মেন্যু। সম্পর্কের শুরু থেকে যে পাঁচ বছর রায়না অর্কর বাবাকে পেয়েছে সেই সময়ের এমন কোন ছুটির দিন মনে পড়ে না যে দিন নাস্তায় এই মেন্যু ছাড়া অন্য কিছু খেতে দেখেছে। রুটিন টা এমনই হয়েছিল যে শুক্র শনিবার সকালে ঢাকা মেডিক্যালের ক্যান্টিনে গেলে ওরা কিছু অর্ডার করার আগেই পরোটা, আলু ভাজি/ ডাল আর ডিম পোচ হাজির হয়ে যেত। পরের দিকে অবশ্য আর ক্যান্টিনে নাস্তা খাওয়া হতো না, রায়নাকে ছুটির দিনে সকালে তার বাসায় গিয়ে নাস্তা তৈরি করতে হতো, তারপর এক সঙ্গে দুজনে বাজারে গিয়ে ঘুরে ঘুরে পছন্দ মতো বাজার করে, দুপুরে রান্না, খাওয়া, বিকেলে চা খেয়ে বাইরে ঘুরে সন্ধ্যার সময় হোস্টলে ফিরে আসত। আর একটা জিনিষ কবির পছন্দ করত, চিনি ছাড়া কড়া লিকারের চা।

বাবার মতই অর্ক জোড়া ভুরু আর মাথা ভর্তি ঝাঁকড়া চুলের মালিক, পার্থক শুধু কবিরের চুল হাল্কা কোঁকড়ানো আর অর্কর সোজা সিল্কি। নিজেকে সামলে নিয়ে আদর করে ছেলের চুলগুলো ঘেঁটে দিতে দিতে বলল যাও বাবা একটু ম্যাথ প্র্যাকটিস করো আমি ততক্ষণে সবার জন্য নাস্তা রেডি করি। অর্ক বাধ্য ছেলের মতো নিজের রুমের দিকে রওনা দিতেই রায়না কবিরের রুমের দিকে পা বাড়ালো।

ভেজানো দরজাটা আস্তে করে খুলতেই দেখতে পেল কবির বিছানার উপর মাথা নিচু করে বাবু হয়ে বসে আছে। মাথার ব্যান্ডেজের জন্য মুখটা একটু অন্যরকম দেখাচ্ছে। বিছানার কাছে এগিয়ে গিয়ে কপালে হাত ছুঁইয়ে টেম্পারেচারটা বোঝার চেষ্টা করল। মুখের অবস্থা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল শরীরে বেশ জ্বর আছে, কপাল ছুঁয়ে শুধু সেটা কনফার্ম হোল। এক সময়ের টগবগে মানুষটাকে বড় অসহায় দেখাচ্ছে, মায়াই লাগছে দেখে। তের বছর পার হয়েছে ঠিকই কিন্তু রায়নার কাছে তো মানুষটা সেই তের বছর আগের সময়েই আটকে আছে, চোখ বন্ধ না করেও সেই সময় গুলো চোখের সামনে ছায়াছবির মতো চলে আসে। বড় সুন্দর ছিল সময়গুলো, শুধু একটু সাহসের অভাব অথবা রাজনৈতিক ছায়া সম্পন্ন শশুর বাড়ীর প্রভাবে তরতর করে চাকরীতে পদোন্নতি আর বিনা পরিশ্রমে শশুরের টাকায় অল্প সময়ে ঢাকা শহরে সম্পদের মালিক হওয়ার লোভে পড়েই হোক কবির সব কিছু উলোটপালোট করে ফেলেছিল। আলতো করে কাঁধটা ছুঁয়ে বলল ওয়াস্রুমে গিয়ে ফ্রেস হয়ে টেবিলে আসো নাস্তা খাবে। মাথাটা তুলে কবির এমন একটা ফাঁকা চোখে তাকাল যে রায়নার মতো শক্ত মানুষেরও বুকের ভেতরটা ছ্যাঁত করে উঠল। বুঝতে পারল মানুষটার মাথা এখনো ঠিকমতো কাজ করছে না। বিছানা থেকে উঠতে সাহায্য করে ওয়াস্রুমের দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে, আলতো পায়ে হেঁটে কিচেনে এসে নাস্তার আয়োজন শুরু করল।

জীবন বড়ো জটিল, আর স্মৃতিরা আরো জটিল। এতোগুলো বছর পরেও স্পষ্ট মনে আছে ঠিক কিভাবে কবির তাকে প্রপোজ করেছিল আর কিভাবে সব পায়ে দলে চলে গিয়েছিল। ঠিকঠাক ম্তো চললে আজ রায়না, কবির আর অর্ক একটা অন্যরকম জীবন পেতে পারত, কবিরকে মাথা ফাটিয়ে হাসপাতালে যেতে হতো না। একটা মানুষ কতোটা ভয়ঙ্কর হলে আর একজনের মাথা ফাটিয়ে দিতে পারে? ভাগ্য ভালো আঘাতটা অতোটা জোরে লাগানি, আর একটু বেকায়দায় লাগলে কি হতো সেটা ভাবতেও ভয় লাগছে রায়নার।

নাহ এতো চিন্তা করলে হবে না, নাস্তা রেডি করে খেয়ে আবার ছেলেকে নিয়ে ড্রাইভ করে সেই কিন্সমেন রিক্রিয়েশন সেন্টারে যেতে হবে ব্যাডমিন্টন প্র্যাকটিসের জন্য, পরের উইকেন্ডে তার আবার টুর্নামেন্ট আছে। ছেলেটা এদেশে প্রচলিত সব খেলাধুলার চাইতে একটু কম প্রচলিত খেলাগুলোতে বেশি আগ্রহী। শত কাজ থাকলেও তাকে সপ্তাহে দুদিন ব্যাডমিন্টন প্র্যাকটিস, দুদিন বাস্কেটবল আর দুদিন সাঁতার প্র্যাকটিস এর জন্য নিয়ে যেতে হয়। যেদিন রায়না সময় করে উঠতে পারে না সেদিন ভরসা পাশের বাড়ীর মিসেস মারথা। এপাড়ার আর একটা বিশেষ ভালো দিক হলো সবাই সবার খোঁজ খবর রাখে, বিপদে আপদে চাওয়ার আগেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। পাশের বাড়ীর মিসেস মারথা আর জন অনেক আগেই রিটায়ারমেন্টে গেছে, হাতে অফুরন্ত সময়, ছেলে মেয়ে নাই। ওরা প্রথম যেদিন এ পাড়ায় উঠে এলো সেদিন বিকেলে মারথা আর জন সহ আরো কয়েকজন ওদের সঙ্গে নিজে থেকে পরিচিত হতে এসেছিল। সঙ্গে ছিল অনেকগুলো ফুল, ওয়েলকাম কেক, সেদিনের রাতের খাবার, কিছু ফল, স্নেক্স, এক কন্টেইনার দুধ। কে বলে এই দেশে কেউ কাউকে দেখে না? মারথা আর জন তো রায়নাকে নিজেদের মেয়ের মতো ভ্লোবাসে আর অর্ক গত এক বছরে তাদের কাছে যে আদর পেয়েছে সেটা হয়তো তার নিজের নানা-নানি, দাদা-দাদির কাছেও পেতো না। গত এক বছরে ওরা এদের কাছে যে আদর ভালোবাসা পেয়েছে সেটা বারো বছর স্বজন না থাকার কষ্টের চাইতে অনেক অনেক বেশি। এখন ত মনে হয় যে ওরা অনেক আপনজন, একই পরিবারের মানুষ।

টেবিলে নাস্তা সাজিয়ে গলা তুলে ছেলেকে আসতে বলে কবিরকে ডাকতে গিয়ে দেখে মানুষটা আবার মাথা নিচু করে বসে আছে। সামনে গিয়ে দাড়াতেই বলল, দাঁত ব্রাশ করতে পারলে ভালো হতো, কাল রাতেও ব্রাশ করা হয়নি, মুখের ভেতরটা কেমন জানি লাগছে। তাইতো, ফ্রেশ হতে বলেছে কিন্তু টুথব্রাশ দিতে কি করে ভুলে গেলো সে? একটু হেসে বলল আরে তাইতো, তোমাকে তো  টুথব্রাশ দিইনি, দাঁড়াও এক্ষুনি দিচ্ছি। দৌড়ে গিয়ে নিজের ওয়াস্রুমের কাবারড থেকে টুথব্রাশ আর টুথপেস্ট নিয়ে এলো, ভাগ্যিস সবসময় স্টকে এক্সট্রা টুথব্রাশ, টুথপেস্ট রাখে। দাঁত ব্রাশ করতে কবির ওয়াস্রুমে ঢুকতেই রায়না দ্রুত হাতে বিছানাটা পরিপাটী করে ফেলল, এর পর দুপুর পর্যন্ত আর দম ফেলানোর সময় পাবে না। কিন্তু এই সময়টা কবির কি করবে সেটা ভাবতে ভাবতেই অর্ক ডাকতে শুরু করল, মা আসো খিদা পেয়েছে। আসছি বাবা বলে, ওয়াস্রুমের দরজায় নক করে ডাইনিং টেবিলে আসতে বলে সাটল কর্কের মতো ওইদিকে রওনা দিল। ছেলে রীতিমতো প্রাকটিসে যাওয়ার প্রিপারেশন নিয়ে টেবিলে এসেছে। প্লেটে নাস্তা দিতে দিতেই কবির ইতস্তত ভাব নিয়ে টেবিলে এসে বসল।

কফি মেকারটা চালু করে টেবিলে বসতেই কলিং বেলের আওয়াজ। দরজা খুলতেই সামনে একজন পুলিশ অফিসারকে দেখে রায়নার ভুরু কুঁচকে উঠল। এই ব্যাটাদের কি কোন আক্কেল নাই? সাতসকালে উঠে চলে এসেছে। কিন্তু হাসি মুখে জিজ্ঞাসা করলো হ্যালো অফিসার, হোয়াট কেন আই ডু ফর ইউ দিস মর্নিং?

পুলিশ অফিসারও সামান্য হেসে বলল আই ওয়াজ পাসিং ফ্রম হেয়ার এন্ড গট দা স্মেল অব ডিলিসিয়াস ইন্ডিয়ান ফুড, ইট ড্রেগ মি টু ইওর হাউজ, আই হোপ ইউ অন্ট মাইন্ড ইফ আই জয়েন উইথ দ্যা টেবল, উইল ইউ?

বেটা রসিক আছে। হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে কাজ করার সুবাদে রায়না জানে মাঝে মাঝে এক্সিডেন্ট, ফ্যামিলি ভায়োলেন্স, রেপ এসব রোগী ডিল করলে স্টেট্মেন্ট নেয়ার জন্য পুলিশ তার সঙ্গে কথা বলতে আসে, এটা রেগুলার প্রসিডিউর। গতকাল সে যেসব রোগী দেখেছে তার মধ্যে একমাত্র কবির ছিল ফ্যামিলি ভায়োলেন্স এর শিকার, উপ্রুন্তু রায়না আবার তাকে নিজের সঙ্গে নিয়ে এসেছে, নিয়মমাফিক পুলিশ তো আসবেই। এখন এর সঙ্গে বসা মানে পাক্কা এক ঘন্টার আগে ছাড়া পাবে না, বেশিও লাগতে পারে। এদিকে আবার ছেলেকে নিয়ে যেতে হবে। এখন বসতে রাজী হবে না বিকেলে আসতে বলবে বুঝতে পারছে না।

উল্টো পাশের বাড়ীর দরজা খুলে জন হাঁক ছাড়লো, হাই ডক, হোয়ের ইজ মাই বাডি? ইজ হি গোয়িং টু কিন্সমেন টুডে? উই আর গোয়িং ফর আ কফি ডেট টু ডাউনটাউন, ডু ইউ ওয়ান্ট টু সেন্ড হিম উইথ আস? উই ক্যান ড্রাইভ হিম ব্যাক টু। এই হোল জন আর মারথা, ঝামেলা বুঝে চাওয়ার আগেই সাহায্যের হাত বাড়ায় সবসময়। রায়না একেবারে অকূলে পাথার পেল। ওরা যে ওর দরজায় পুলিশ দেখে কফি ডেট এর বাহানা তৈরি করেছে সেটা বুঝতে কোন রকেট সাইন্স পড়া লাগে না, বড় কৃতজ্ঞ বোধ করল বয়স্ক মানুষ দুটোর প্রতি। সেও গলা তুললো, দেট উড বি সো কাইন্ড অফ ইউ, সেন্ডিং দ্যা ডেভিল টু ইউ, হ্যান্ডল হিম।

অগত্যা দরজা থেকে সরে পুলিশ অফিসারকে ভেতরে ঢুকতে দিয়ে জানতে চাইলো সে শুধু কফি নিবে না ওদের সঙ্গে নাস্তা খাবে। শুধু কালো কফি বলে, দশাসই শরীরটা নিয়ে ব্যাটা সোফা দখল করে বসল। এ বাড়িটা একটু পুরনো বলে এখনকার তৈরী বাড়ীর তুলনায় ডিজাইনটা একটু আলাদা। বর্তমান ওপেন ফ্লোর কনসেপ্ট ডিজাইনের জন্য লিভিং রুম, ডাইনিং আর কিচেনের মধ্যে কোন দেয়াল থাকে না। ওদের বাসায় বড়সড় লিভিং রুমটা দেয়াল দিয়ে ডাইনিং আর কিচেন থেকে আলাদা করা, আবার লিভিং আর কিচেন দুদিক থেকেই পেছনের ডেকটাতে যাওয়া যায়।

পনের মিনিট সময় চেয়ে নিয়ে ডাইনিং টেবিলে গিয়ে ছেলেকে অবস্থাটা বলতেই ঘাড় গোঁজ। হবে না কেন, ছুটির দিনে সে সারাটা দিন মার সঙ্গে কাটাতে চায়। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হোল মা নিয়ে গেলে প্র্যাকটিস শেষে স্মুদি কেনা যায়। আর মা যদি একটু ফুরফুরে মেজাজে থাকে তাহলে তো কথাই নেই, বাইরে লাঞ্চ। পুলিশ আফিসারটা এসে অর্কর সব প্ল্যান নষ্ট করে দিল। ওর মনের অবস্থা বুঝতে পেরে রায়না চটজলদি দশ ডলার হাতে দিয়ে প্র্যাকটিস শেষে স্মুদি কিনতে বলল। মুহূর্তেই ছেলের চেহারা উজ্জল, হাসি কান পর্যন্ত ছড়ালো। জড়িয়ে ধরে চকাশ করে গালে একটা চুমু খেয়ে বলল ইউ আর দ্যা বেস্ট মা।

হয়েছে হয়েছে আর আহ্লাদ করতে হবে না, ভালো ছেলের মতো প্র্যাকটিসে যাও, খুচরো পয়সা ভালোমতো হিসেব করে ফেরত নেবে আর গ্র্যানিদের বেশী বিরক্ত করো না। বাইরে জনের গাড়ীর আওয়াজ হতেই ছেলে ব্যাগ কাঁধে তুলে রওনা হোল।

দেরী না করে একটা ট্রেতে তিনটা মগ, কফির পট আর হাফ এন্ড হাফ ক্রিম সাজিয়ে লিভিং রুমের দিকে পা বাড়িয়ে কবিরকেও আসতে বলল।

(চলবে…)

শাহনাজ হোসেন (ঝিনুক)। গল্পকার। জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের দিনাজপুর শহরে। শিক্ষা জীবন ঢাকা শহরে, সেই সময় সংস্পর্শে আসেন দৈনিক বাংলার সাপ্তাহিক বিচিত্রার একঝাঁক মেধাবী মানুষের সঙ্গে; পরিচিত হতে শুরু করেন লেখালেখির সঙ্গে। এরপর শিক্ষাজীবন শেষ করে দীর্ঘ ১৫ বছর...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ