বাদল মেঘের আলোয় (পর্ব-৬)

শাহনাজ হোসেন
গল্প, ধারাবাহিক
Bengali
বাদল মেঘের আলোয় (পর্ব-৬)

আগের পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন >>>

ভোরবেলা ঘুমাতে যাওয়ায় রায়না গভীর ঘুমে, জুনিয়র রুমমেট নিম্মির ধাক্কাধাক্কিতে ঘুমে জড়ানো চোখ মেলে জিজ্ঞেস করল কি হয়েছে?

  • রায়না আপু উঠো, দারোয়ান মামা কখন থেকে ডাকছে তোমাকে, তোমার গেস্ট এসেছে।
  • কে এসেছে?
  • আমি কি করে বলব, হয়তো তোমার বন্ধুরা অথবা কবির ভাই, যাও হাত্মুখ ধুয়ে দেখে এসো।

ঘুমে টলোমলো পায়ে উঠে রুমের ছোট্ট বেসিনটাতে ভালো করে চোখেমুখে পানির ঝাপ্টা দিয়ে, চেয়ারের উপর থেকে ওড়নাটা টেনে নিয়ে গেটের বাইরে এসে দেখে কবির দাঁড়ানো। সেই পাঁচ বছর আগে প্রথম দেখা কবিরের সঙ্গে এখনকার কবিরের অনেকটা পার্থক্য হয়েছে, সময়ের সঙ্গে চেহারায় পরিণত ভাব এসেছে, সামান্য একটু ওজন বাড়াতে আগের চাইতে অনেক বেশি সুদর্শন লাগে।

সকালের নরম কাঁচা রোদের আলোয় ঘুম জড়ানো চেহায়ায় হোস্টেলের গেটের পেট গলে রায়না যখন বেরিয়ে এলো, কবিরের চোখে মুগ্ধতা ছড়ালো। ফার্স্ট ইয়ারের কিশোরী চেহারার রায়না এখন পূর্ণ যুবতী, ফাইনাল পরীক্ষার চাপে চেহারাটা একটু মলিন হলেও চাপা হলুদ ফর্সা গায়ের রঙ, টিকালো নাক, কোমর ছাপানো এক ঢাল সিল্কের মতো মসৃণ চকচকে চুল,বড়ো বড়ো পাপড়িসহ আয়ত চোখ আর পাঁচ ফুট পাঁচ ইঞ্চির মেদ হীন ছিপছিপে এথলেটিক কাঠামোটা দেখলে যে কেউ ওকে সুন্দর বলতে বাধ্য।

রায়না সামনে এসে দাঁড়াতেই কবির বলল তোমাকে দেখেই তো তোমার রোগীরা অর্ধেক সুস্থ হয়ে যাবে। এক্টু লাজুক হেসে রায়না বলল আপনার খবর কি?

  • পড়াশুনা তো শেষ হলো, এবার?
  • কোথায় শেষ হলো, এখন বিসিএস এর প্রিপারেশন নিতে হবে, হায়ার স্টাডিজ এর চেস্টা করতে হবে, চাকরি খুঁজতে হবে, হোস্টেল ছাড়ার সময় হয়ে এলো একটা থাকার জায়গা খুঁজতে হবে।
  • থাকার জায়গা খুঁজতেই হবে, গত পাঁচ বছর ধরে তোমার থাকার জায়গাটাতো ঠিক হয়েই আছে শুধু তোমার সম্মতির অপেক্ষা।

একটু লাজুক হেসে-

  • জানেন তো ডাক্তারদের ডিউটির সময়ের কোন ঠিকঠিকানা থাকে না?
  • তাতে আমার কোন সমস্যা নেই, আমি আর অপেক্ষা করতে চাই না রায়না।
  • কিন্তু বিসিএস?
  • আমি তো বিসিএস করতে না করছি না।
  • বিসিএস এর রিটেন টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা যায় না?

একটু থমকে থেকে-

  • তুমি পরীক্ষা নিয়ে বিজি ছিলে তাই বলা হয়নি, আমি ব্যাংক চেঞ্জ করেছি।
  • শুনেছি।
  • কীভাবে?
  • গতকাল আপনার আগের ব্রাঞ্চে গিয়েছিলাম।
  • কাপড় চেঞ্জ করে রেডি হয়ে আসবে? ছোট্ট একটা কাজ আছে এক জায়গায় যেতে হবে।
  • কোথায়?
  • বিশ্বাস করতে পারছো না?
  • না মানে আপনার সঙ্গে কখনো কোথাও একা যাই নি তো তাই।
  • একটা জিনিস কিনতে হবে, আমি আগেই দেখে এসেছি, তুমি দেখে কনফার্ম করলে কিনব।
  • আমার দেখতেই হবে?
  • আমি ঠিক করেছি এখন থেকে সব কিছু তোমার পছন্দে কিনব।

চোখ নিচু করে ওড়নাটা আঙ্গুলে প্যাঁচাতে প্যাঁচাতে বলল একটু দাঁড়ান আমি চেঞ্জ করে আসি।

একটা রিক্সা নিয়ে দুজনে ধানমন্ডিতে গাড়ির শোরুমের সামনে এসে নামল, রায়না একটু অবাক চোখে কবিরের দিকে তাকাতেই কবির বলল অফিস থেকে গাড়ির জন্য লোন আর পদ মর্যাদার কারনে গাড়ির এলাউন্স পাবে যেটা দিয়ে লোনের মাসিক কিস্তি ছাড়াও ড্রাইভারের বেতন হয়ে যাবে, যদিও কবিরের ইচ্ছা ড্রাইভার না রেখে  নিজেই ড্রাইভ করা তাহলে তেলের খরচটা এলাউন্স থেকেই হয়ে যাবে, তাছাড়া গাড়ি তো শুধু ওর অফিস যাওয়া আসা আর রায়নার সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার জন্য ব্যাবহার হবে তাই আপাতত ড্রাইভার না হলেও চলবে, আর পরে যদি লাগে তাহলে সেটা দেখা যাবে।  কবির যদিও বলেছিল যে রায়না দেখে কনফার্ম করলে কিনবে কিন্তু কার্যত দেখা গেল একটা রেড ওয়াইন কালারের টয়োটা প্রিমিও আগে থেকেই বুকিং করা ছিল, পেমেন্ট আগেই করা হয়ে গেছে, গাড়ি মংলা পোর্ট থেকে শোরুমে চলে এসেছে, এখন শুধু বি আর টি এ তে রেজিস্ট্রেশন হলেই রাস্তায় বের করা যাবে। কবিরের পদন্নোতি দেখে ভালোই লাগছিল কিন্তু ওর চোখে পদন্নোতির নেশা দেখে একটু ভয়ও লাগছিল। এতোদিন নিজেকে সামলে রেখে এই যে সরাসরি সম্মতি না জানিয়েও প্রকারান্তরে কবিরের প্রস্তাবে একরকম সম্মতি জানালো, সিদ্ধান্তটা ঠিক হচ্ছে তো, কবিরের চাকরি আর ভাড়া বাসার ঠিকানা ছাড়া আর কোন কিছুই তো ও জানে না। পড়াশুনার চিন্তা না থাকাতে সারাদিন টো টো করে বাইরে ঘুরে সন্ধ্যার আগে আগে হোস্টেল গেটে নামিয়ে দেয়ার সময় কবিরকে জিজ্ঞেস করল ওর কথা বাড়িতে বলেছে কি না? উত্তরে জানল রায়না বাড়িতে কবিরের কথা আগে বলুক ওর বাড়িতে ডাক্তার মেয়ের জন্য ব্যাংকার জামাই নিতে রাজি হলে কবির ওর বাবা মাকে ওর কথা বলে পারিবারিকভাবে প্রস্তাব পাঠাবে, বিয়ে তো শুধু দুটো মানুষের মিলন না, দুটো পরিবারেরও মিলন মেলা।

রায়নাকে নামিয়ে দিয়ে বাসায় ফেরার সময় কবির ভাবছিল রায়নাকে তো বলল ওর পরিবার রাজি হলে বাবা মাকে দিয়ে প্রস্তাব পাঠাবে, এদিকে তো ওর বয়স ত্রিশ পেরিয়ে আরো তিন বসন্ত পেরোলেও এখনও ও বাবা-মার  মুখের উপর কোন কিছু বলতে ভয় পায়। উপরন্ত ছোট ভাইটা আমেরিকা যাওয়ায় আগে ওর পছন্দের মেয়ের সঙ্গে আকদ সেরে যাওয়াতে বাড়ির অবস্থাটা আরেকটু কঠিন হয়েছে। তবুও ওকে বলতেই হবে, এতোগুলো বছর ও রায়নার সম্মতির জন্য অপেক্ষা করেছে, এখন শুধু আর কয়েকটা দিন অপেক্ষার পালা, এর পর রায়না ওর কল্পনার জগত থেকে বাস্তবের মানসী হবে।

অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই রায়না ধানমণ্ডির একটা ক্লিনিকে একজন নামকরা ডাক্তারের এসিস্টেন্ট হিসেবে জয়েন করার সঙ্গে সঙ্গে জোরে সোরে বি সি এস এর প্রস্তুতি শুরু করল অন্যদিকে কবিরের সেই ডাইরেক্টর সাহেব ওকে কেন যেন প্রচন্ড রকম পছন্দ করেন, ওর পরিবার, লেখাপড়া, কোথায় থাকে, কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা সব  ব্যাপারে উনি খেয়াল রাখছেন। কবিরের একাডেমিক রেজাল্ট ভালো ছিল জেনে উনি কবিরকে কানাডা গিয়ে সিএফএ করার পরামর্শ দিলেন, ব্যাংক থেকে স্টাডি লিভের পারমিশন বের করে দেবার কথা বললেন। একবারে ভর্তি হয়ে যাওয়া কনফার্ম করে রায়নাকে চমকে দেবে ভেবে কিছু না জানিয়ে কানাডা যাওয়ায় যাবতীয় প্রস্তুতি ধীরে ধীরে নিতে শুরু করে দিল।

গতকাল রায়নার জীবনের সবচেয়ে ভালো দিন গেছে, স্পেশাল বিসিএস এ ও টিকে গেছে অন্য দিকে কবিরের ও স্বপ্ন পুরনের ধাপ শুরু হয়েছে, ওর কানাডা যাওয়া কনফার্ম হয়েছে। খবরটা দুজনেই দুজনকে জানানোর জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। কবির গতকাল বিকেলের দিকে ফোন করে জানিয়েছে আজ ওরা দুজনে গাজীপুরের দিকে একটা রিসোর্টে গিয়ে সারাদিন একটু নিরিবিলি সময় কাটাবে, সকাল নয়টায় রায়না যেন রেডি থাকে। রায়নার ইচ্ছা এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়েটা সেরে ফেলতে, মানুষটাকে ও অনেক অপেক্ষা করিয়েছে, আর না। কবিরকে চমকে দেবার জন্য ও কবিরের দেয়া সেই লাল জামদানিটা বের করে পরল, সঙ্গে হাত ভর্তি লাল কাঁচের চুড়ি, কপালে ছোট্ট একটা টিপ আর লম্বা চুল্গুলো হাত খোপা করে এতোগুলো বেলি ফুলের মালা, ঠিক যেমনটা কবির ওকে প্রথম প্রপোজ করার সময় বলেছিল। রায়না যখন কবিরের সামনে এসে দাঁড়াল কবিরের মনে হচ্ছিল আশেপাশের চলমান সবকিছু সাদাকালো শুধু রায়নাই একটা আধফোটা গোলাপের মত জ্বলজ্বল করছে, একেই মনে হয় বলে আকাশ থেকে পরি নেমে এসেছে। আর রায়না অবাক হয়ে দেখলো কবির পরে এসেছ ওর প্রথম বেতন পাওয়ায় পর কে-ক্রাফট থেকে কিনে দেয়া অফ হোয়াইট পাঞ্জাবীটা। ওর লম্বা কাঠামোতে পাঞ্জাবীটা অসম্ভব ভালো মানিয়েছে। দুজনকে এক সঙ্গে দেখলে যে কেউ বলতে বাধ্য দারুন সুন্দর মানানসই একটা জুটি, এ যেন কে কার অলংকার।

রিসোর্টে যাওয়ায় পথে কবি্র ছোট্ট একটা অফিসিয়াল কাজ সারল, ওর শাখার ফাইনান্স করা একটা ফিড মিলের ইমপোর্টের স্টক চেক করে নিল, ওর কাজের প্রতি সততা দেখে রায়নার ভালোই লাগছিল। পথে ফিড মিলে কাজ সারার জন্য রিসোর্টে পৌঁছাতে বেলা গড়িয়ে প্রায় দুপুর। রিসেপশনে দেখা করতেই ম্যানেজার সাহেব ওদের কটেজে গিয়ে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিতে বললেন, উনি এর মধ্যে খাবার পাঠানোর জন্য কিচেনে বলে দিলেন। গ্রামীণ আবহে তৈরি কটেজে ঢুকে রায়নার বেশ পছন্দ হলো, কেমন একটা ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। দুপুরের খাবার খেয়ে একটু রেস্ট নিয়ে ওরা রিসোর্ট টা ঘুরে দেখতে বের হলো, সঙ্গে যেহেতু গাড়ী আছে একটু দেরী করে ঢাকায় রওনা দিলেও অসুবিধা হবে না। হাঁটতে হাঁটতে রিসোর্টের মাঝখানে কৃত্রিম ভাবে তৈরি বিশাল লেকটার কাছে এসে লেকের মাঝখানে হেঁটে যাওয়ায় জন্য কাঠের বানানো সাঁকোটা দেখে দুজনেই ওটা ধরে হেঁটে মাঝখানে গিয়ে পাড়ের দিকে তাকাতেই মুগ্ধ হয়ে গেল, সারা পাড় জুড়ে লাগানো কৃষ্ণ চুড়া গাছগুলোর সবুজ জমিনে লালের সমারোহটা এখান থেকে যতটা সুন্দর অন্য কোন জায়গা থেকে মনে হয় এতো সুন্দর লাগে না। এই প্রথম কবির যখন ওর কোমরে হাত রেখে নিজের দিকে টানলো রায়না মন্ত্রমুগ্ধের মতো ওর দিকে এগিয়ে গিয়ে আলতো করে বুকে মাথা রাখল। কতক্ষণ এভাবে ঘোরের মধ্যে কেটেছে দুজনের কেউ বুঝতে পারতো না যদি না মাগরিবের আজানের আওয়াজ ভেসে আসতো।

কটেজের কাছাকাছি আসতেই ম্যানেজার সাহেবের সঙ্গে দেখা, উনি জানতে চাইলেন কেমন লাগলো ওদের জায়গাটা? সেই সঙ্গে এও জানালেন ওরা চাইলে এখনই চা দেয়া যেতে পারে। যেহেতু ওদের অনেকটা পথ যেতে হবে ঢাকায় ফিরার জন্য, ওরা আর দেরী করতে চাইল না, লেকের পাড় থেকে ফেরার পথেই দেখেছে আকাশ একটু মেঘলা। কটেজে বসে টিভি চালিয়ে খবর দেখতে দেখতে চায়ের কাপে চুমুক দিতেই চারিদিক অন্ধকার হয়ে  সারাদিনের রৌদ্র-উজ্জ্বল দিন মুহূর্তে ঝড়ো বাতাস আর বড় বড় ফোটার বৃষ্টিতে ঢেকে গেল। আধা ঘন্টা পর ম্যানেজার সাহেব ফোনে জানালেন ওদের আজ রাতটা থেকে যাওয়াই ভালো হবে, ঝড়ের কারনে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় গাছ ভেঙ্গে পড়ছে, এই অবস্থায় রাস্তায় বের না হওয়াই ভালো। অবস্থা শুনে রায়নার মুখ শুকিয়ে গেছে, কে জানত এমন হবে, কবির ওকে ভরসা দেয়া স্বরে বলল ঝড়বৃষ্টি একটু ধরে এলে রাত হলেও ওরা ঢাকায় চলে যাবে। ঘড়ির কাঁটা ধীরে ধীরে সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত দশটার ঘরে পৌঁছে গেছে, বিরতিহীন ভাবে ঝড়বৃষ্টি হয়েই চলেছে, মনে হয় বিশ্ব চরাচর আজ রাতে লন্ডভন্ড হয়ে যাবে।

অনেকক্ষণ থেকে খোলা চুলে বারান্দার দিকের কাঁচের জানালাটার কাছে দাড়িয়ে রায়না বাইরের তান্ডব দেখছিল, অনুভব করল কবির পেছন থেকে ওকে জড়িয়ে ধরে ওর ঘাড়ের পিছনে চুলে মুখ নামিয়েছে, এক সময়ে নিজেদের অজান্তেই প্রকৃতির তান্ডবের সঙ্গে ভালোবাসায় মাখামাখি দুজন মানব-মানবী ভিতরের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেল।

সকালে রায়না কবিরের দিকে তাকাতে পারছিল না, দীর্ঘ পাঁচ বছর নিজেকে সামলে রেখে এটা কিভাবে পারল ও, কেন নিজেকে সামলাতে পারল না। কবির ওর মনের ভাব বুঝতে পেরে কাঁধ ধরে নিজের দিকে ফিরিয়ে চোখের গভীরতায় চোখ রেখে জিজ্ঞেস করল- আমার উপর বিশ্বাস রাখ, আমি সব সামলে নিব। এরপর কবির মামুন, রনি আর কবিরের বন্ধু অয়ন কে ফোন করে দশটার দিকে মগবাজার কাজী অফিসে আসতে বলল। রায়না পানি ভর্তি চোখে ওর দিকে তাকাতেই বলল আজই আমরা বিয়েটা সেরে ফেলব, এরপর বাড়ীতে বলে তোমাকে সামাজিক মর্যাদা দিয়ে আমার কাছে নিয়ে আসব।

কাজী অফিস থেকে বের হওয়ার মুখে কবিরের মার ফোন, আজ রাতেই ওকে বাড়ী যেতে হবে, জরুরী দরকার। ফোনে বলা যাবে না। সারাদিন এক সঙ্গে কাটিয়ে সন্ধায় রায়নাকে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে কবির বলল রাতের বাসে বাড়ী যাচ্ছে আর বাড়ী গিয়ে ওদের সম্পর্কের কথাটা বলে সব কিছু ঠিক করে আসবে। হঠাত রায়না কবিরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল – আমি অপেক্ষায় থাকব, কবির ওর মাথায় হাত বুলিয়ে বলল পাগলী এতো নরম মনের মানুষ আর এতো দিন শক্ত থাকার অভিনয় করেছো, আমাকে এতো ভালোবাসো জানলে আমার এতো কস্ট করতে হতো না। রায়না দরজায় দাড়িয়ে থাকল কবিরের গাড়ীর পেছনের লাইট দূরে মিলিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত।

চলবে…

শাহনাজ হোসেন (ঝিনুক)। গল্পকার। জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের দিনাজপুর শহরে। শিক্ষা জীবন ঢাকা শহরে, সেই সময় সংস্পর্শে আসেন দৈনিক বাংলার সাপ্তাহিক বিচিত্রার একঝাঁক মেধাবী মানুষের সঙ্গে; পরিচিত হতে শুরু করেন লেখালেখির সঙ্গে। এরপর শিক্ষাজীবন শেষ করে দীর্ঘ ১৫ বছর...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ