দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
বুকে ধরে শীতলক্ষ্যা কাঁদে
প্রার্থনা, মর্গে অন্তত বৃষ্টি নামে।
সাধ ছিল ফুটপাতে শুয়ে কোজাগরী চাঁদ দেখবে
বুকে নেবে- চুমু খাবে-একটা দুইটা শালিক
দেখে তামাশায় দিন কাটাবে।
শহরের ইটগুলোও পর্যন্ত সংকুচিত
কিছুতেই গ্রাহ্যতা নেই
জল মাটি বালি একাকার
বুকের ভিতর পাতানো সংসার
তবু যদি পাপ ও পন্থা লুকায়
লোডশেডিং চলুক, চলতে থাকুক রাতদিন।
নদীর পাড় ছুঁয়ে যে নারী ছোটে
ছড়ানো সংসার আঁচলে বেধে
তাকে গুম করে রাখবে কোথায়?
রন্ধ্রে রন্ধ্রে যার বসবাস
আঙুল ছোঁয়ানো শব্দেই হয়
পিয়ানোর টুংটাং।
বিছানায় ল্যাপটপ
হ্যাঙার ঝোলানো
আড়ঙের পাঞ্জাবি।
রাত জাগা ভোর দেখা
কোরিয়ান রেস্তরাঁর ঝাল
ল্যাম্পপোস্ট সাক্ষী রেখে
এত গুছাও পাণ্ডুলিপি
আর একটু যত্ন নিলে
গোধূলির আকাশ তোমার হত।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..