বায়ুকাল

গৌতম কুমার গুপ্ত
কবিতা
Bengali
বায়ুকাল

এসো, এসো

এসো, এসো দু’হাতের করতলে এসো মেঘজল
পবিত্র পানীয় নেবো
অথবা বিশুদ্ধ উদ্যানে পরিচয়হীন ফুল

এসো,এসো আকাশের নীল
পবিত্র ফাঁকা নেবো শূন্য অমোঘে
মাথা রেখে দেবো
সরব নিঃশ্বাসে নিজস্ব নির্জনে

এসো এসো দু ‘হাতের করতলে এসো
আগুনের শিখা লেলিহান
পুড়ে যাবো পবিত্র দহনে অঙ্গবিষাদে
দুঃখ সুখ ছারখার করে এসো

এসো হরষে বিষাদে কান্নাহাসিতে
এসো শেষ নিঃশ্বাসের প্রলয়-ভাষাতে
এসো জাড্যে জঙ্গম অথবা স্থাবরে
সুস্থিতি হোক আমার বিস্মৃতির ওপারে

 

নিমন্ত্রণ

একটি সত্যের আদলে তৈরী করছি
আমার আগুনের বর্ণমালা
উন্মোচন জানি না এখনও
কখন মিথ্যার বহুরূপী জায়গা দখল করে
আমাকে শাসায়

একটি শাশ্বতের আদলে তৈরী করছি
আমার চেতনার রোদ্দুর
উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছি
সম্মোহনের সমাপ্তি মুহূর্তের জলছবি
প্রাণিত করে আমাকে আবাহনের

ঝলসে যাবার আগেই
একটি বিদ্যুত চমকের জাদুকরী কাঠিতে
সত্য ও শাশ্বত ফুলের প্রস্ফুটন

অবশেষে
তড়িতাহত আকাশে আজ আমার নিমন্ত্রণ

 

কক্ষপথ

আমারো তো কোন অ-কক্ষপথ নেই,
ঘুরে ঘুরে একশা
,নিজস্ব বলয়েই সেটাই কক্ষপথ ধরি
রাঙা চাঁদ ধরে রাখি,প্রলয়ের শ্বাস
জলের বান্ধবজনিত কথা বলি

মেরুতে তার স্বকীয় আভাস, উপজীব্য যা কিছু
কেউ নিয়েছে তাপ, দিয়েছি প্রয়োজনমতো
বলেছি এই দ্যাখো ভগ্নদশা রাস্তা, এখানেই হেঁটে আসো

এই দ্যাখো স্বল্প জলবাহী নদী,
নিতে পারো জল যে টুকু
পিপাসা নিজে রাখি,তুমিও রাখো তাই
এই দ্যাখো সিন্থেটিক আকাশ যে টুকু নীল,
তবু অনন্ত গরিমায় চোখ রাখো

এই দ্যাখো, কোথাও ফুটেছে অর্কিড,
কোথাও ক্যালেনডুলা,টিউলিপ, নিতে পারো সুগন্ধী অর্জন,
এখানে চিৎকার আছে, প্রচুর আর্তনাদও,
প্রভূত কান্না আছে,
এ তুমি নেবে না জানি, ভয় পাবে
দুঃসহ পলায়নপর্বে রেখে যাবে
আমার অতীত স্মৃতি ও সত্তা অবশ্যই ভবিষ্যত নয়

তবুও তো পরাক্রান্ত ছিলাম,আছি,থাকবো
এবং নিজস্ব নির্ণয়ে,মেরুপথে একাকী এককে

 

বায়ুকাল

সুখ বুঝে নিতে চাই বিনোদনও
এমন কি আঁজলা ভরা জলেও
পথের পাঁচালীর প্রাচুৃর্য চাই

আটপৌরে এই দৈনন্দিনে মসৃণ হতে হতে
কেটে যাচ্ছে বায়ুকাল
কৃষ্টি আর সভ্যতার পুরাণ পড়ি নিত্য
বেদমন্ত্রে জাগতে চাই বিবেক নিবন্ধে

বর্ণ পরিচয়ের বাংলায় হাতড়ে বেড়াই খোঁজ
অথচ আমাকে নিখোঁজ করে দিচ্ছে
এই আবহ ভাসান
সহজ পাঠের সারল্য আজ কোথায় বক্র -কঠিনে?

মরীচিকা সংস্কৃতি অন্ধ তোষামদ
কথিত মহাপুরুষ যা দেখি অন্বয়ে অব্যয়ে
অস্থিমজ্জায় আগুন প্রকৌশল নিভে যায়

কি ভাবে সুখ বুঝি, বল হে নাথ
বড় বিষাদে আছি,কুৎসিত দুর্গন্ধে আছি

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..