বিচিত্র মরণ

জাহান রিমা
কবিতা
বিচিত্র মরণ

তোমাদের রাজ্যে কতো তলোয়ার,
আমার ভালো লাগেনা।
একদিন খুব চলে যাব,
তোমাদের এই মাপা জলের চলনবিলে
আমার চলতে ভীষণ কষ্ট হয়!

একদিন কলমি লতা হবো।
আমার ভালো লাগেনা, এইসব তুমি তোমাদের হিসেব-নিকেশ।
সেদিন যখন তোমার বুকের জঙ্গলে নির্বাসন চাইলাম,
কী চালাকি-ই না করলে তুমি!
আমি মানুষ বলে..
ঘ্রান খুঁজলে অন্য কারো

আসবে একরাত,
তোমার বারান্দায় অলক্ষ্মী পেঁচা বলবে ‘তুমি একা’
সেই রাত কাটানো ভোরে কলমি লতার ঘ্রান নিতে খুব আসবে জানি..
হয়তো তোমার হাতে থাকবে একটা তলোয়ার,
ঘ্যাঁচ করে কেটে দিবে তা-ও..
তার আগে আমার গায়ে খুঁজবে আমারই ঘ্রান, কলমির ঘ্রান!
অন্তত অন্য কারো ঘ্রান নয়।

আচ্ছা,
কী খুঁজছিলে সেদিন?
অন্য ফুলের ঘ্রান চেয়েছিলে, যুঁথী-কামিনী?
নাকি আমার অধরে, নিকোটিনে পোড়া অন্য ঠোঁটের বিষাদ চুমু?

বিচলিত হয়োনা;
শুনো, ঐ পল্লীর মেয়েটার বয়স কত হবে?
খুব আনাড়ি নাহ্?
হাহ..অন্ধকার থেকে অন্ধকার সনাক্ত করতে পেরে,
আলোর দিকে তাকানো
খুব কষ্ট, নয় বলো?

একদিন কলমী লতা হবো
অন্তত মানুষ হবো না..
কলমি হয়ে এক ঘা’য়ে মরবো,
মানুষ হলে কতো বিচিত্র ঘা।
কতোবার মরেও মরা হয়না!

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..