শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
সংকট
এপারে সোনায় মোড়া কতো দেবদেবীর আবাস
রাজপুরীসদৃশ প্রাসাদে,
ওপারে গাছের নীচে কতো দেব দেবীর থান।
মাথায় ছাদ নেই, রোদবৃষ্টিতে নিরালম্ব শূন্যতা।
ঈশ্বরের অবস্থারও রকমফের!
রোদ – জলে প্রাণ বাঁচাতে
কোন পারে খেয়া, কোন পথে আলো-
রাজদরবার নাকি লালনের দুয়ার?
নির্জন সমর্পন
অনেকদিন পর বৃষ্টি নামল- পরিপূর্ণ বৃষ্টি।
খাঁ খাঁ মাঠের বুকে জল থইথই।
ঝিম মেরে আছে নদীপাড়ের বটগাছটি
দেহে অনেক পাখির বাসা নিয়ে।
যদি মাটি ছুঁড়ে ফেলে তার শিকড়?
আড়চোখে উর্ধপানে চেয়ে দেখে
আকাশের ধরনধারণ।
লজ্জানিবারণ হবে তো, নাকি নির্জন সমর্পণ?
বাঁকের ফাঁকে
বলতে বলতেই ঘন্টা বেজে গেল,
সত্য বোঝার আগেই সব ভোঁ ভাঁ।
জলছপছপ নদী, বাঁধভাঙা ঢেউ,
সকালের আলো, সন্ধের অন্ধকার সব একাকার।
মায়ের আদর ছেড়ে আগুনের শাসন,
পুড়তে পুড়তে দমহারা।
ছাই উড়ল, জল পড়ল,
অভিমানে মুখ ঢাকল এতোদিনের যাপন।
সামনে বাঁক-
বাঁকের মধ্যে ফাঁকের অন্তরালে
গলে গলে পড়ে সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা।
সব অন্ধকার, সব একাকার।
বিনির্মাণ
বদলে দেবার স্বপ্নে বিভোর হয়ে
নৌকোয় পা রেখেছিল সে।
তারপর সময় কেটে গেছে সময়ের মতো।
কিছুই বদলায়নি, অথচ বদলে গেছে অনেককিছু-
চারপাশ, ঐতিহ্য, ভবিষ্যৎ।
এখন শুধু দীর্ঘশ্বাস আর অপ্রাপ্তির বেদনা।
ঝড়ের সাক্ষী হয়ে শুয়ে আছে ধ্বংসস্তুপ
বালুকাবেলায়।
তবু বদলানোর যুদ্ধ জারি বিক্ষিপ্তভাবে।
আবার শুরু হয় নির্মাণ,
অনুপ্রেরণার রোদ্দুর বারান্দায় এসে পড়ে
ভাতের গন্ধে আর নুনের জোগানে।
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..