আপ্লুত রজনী
কৈশোরের এক রাজকন্যা অভিভূত পৃথিবীতে এখনও অনন্যা অবাক জানায় অনুভবে আছি স্মৃতির মৌমাছি আমাদের মায়াবী…..
ফরিয়াদ
ঘুমিয়ে পড়ে ফরিয়াদ …অক্ষরও!
মৃত সৈনিকের অস্ত্রের মত পড়ে থাকে কাগজ, কলম
অসার হাত
নিষ্ঠুর শান্তির মত চিলেকোঠা!
অন্ধকার বাতাস অপত্য পরশ বুলায় দরজা-জানলার গায়ে
জানে পীড়িত,
ওদেরও তো কষ্ট আছে ঘুণে খাওয়া।
মুছে যায় দিন
বড্ড তাড়াতাড়ি মুছে যায় দিন
কত তাড়া থাকলে সবসময় পাখি-পাখি ভাব
জীব ও জগতের
শুধু তাড়া নেই আমার
কারও কারও তাড়া দেখলে পুলক হয়
মাথায় দমাদ্দম বাজ পড়ছে যেন
ফিরে তাকানো নেই
ক্ষণিকের সাক্ষাৎ অসাক্ষাৎ যেমন!
খ)
নতুন বলে কিছু নেই
হতে পারে এক ঝটকা ভেজা নিমবাতাস-ই
নতুনত্বের দাবিদার।
তবু নির্মাণ জারি থাকছে –
শীর্ষ চূড়া থেকে মাটির তলদেশ পর্যন্ত
নেই নেই করেও অনেক ভালো স্মৃতি
স্মরণযোগ্য কিছু সংখ্যক দিন
আমি তাদের চর্যার কাছে ঋণী
বিপ্রতীপে দাঁড়িয়ে
বসন্ত এখনও তার রঙ ছড়িয়ে যাচ্ছে সকল দিকে…
সব রাস্তায়
চিতার মাঝখানেও গন্গনে অমলতাস
পেটকাপড়ে বেঁধে ফিরছে শিশু ধুলোর পলাশ,শিমূল-
ঝুরো গাঁদায়
ভর্তি হয়ে আসে নাটমন্দিরের প্রাচীন পুষ্পার্ঘ্য থালাটি।
২
রোদ ঢুকিয়ে রোদ ছড়িয়ে উঠানে বসা সে শুধু সূর্যমুখীই জানে
কাঠগোলাপের ছায়া পেয়ে কেমন করে যেন
আঁকতে শিখে গেছে
আদর-সোহাগের ছবি, বারান্দার বেড়াল গড়াগড়ি খায়
নিশ্চুপে।
৩
রঙ নয়, রঙ্গে ভরে উঠছে চোখের পেয়ালা। বসন্ত জানা নেই,
যুদ্ধ ও ভালোবাসায় যত অন্যায় নিয়ম
সবটাই কেমন হাস্যকর নাটকের মত লাগে
বিপ্রতীপে দাঁড়িয়ে …
কৈশোরের এক রাজকন্যা অভিভূত পৃথিবীতে এখনও অনন্যা অবাক জানায় অনুভবে আছি স্মৃতির মৌমাছি আমাদের মায়াবী…..
ভালো আছো, ভুলে আছো একটাই আঙুল একটাই সেতার যতোবার সুর তুলি তোমার নাম ততবার একটাই…..
প্রতীক্ষিত প্রেম চোখের চাহনিতে গভীর প্রণয় অন্তরে তৃষ্ণা সুধায়, একপলক দৃষ্টি আকুলতার নিঃশ্বাসে প্রতীক্ষার অন্তিম…..
মাঝরাতে বেড়াবার একদিন মাঝরাতে ঘুরে বেড়াবার ইচ্ছা হলো আঁধারে কপাল ঠুকে বেরিয়ে পড়লাম সটান দূরের…..