বেশরম
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
লোলচর্ম বৃদ্ধের হাড়ের ভিতরে
খসে পড়া পাতার আহাজারি,
আঁঠালো উদ্বেগ কাটিয়ে পাতাঝরার দিনে
কুয়াশাভেজা ধুমায়িত চায়ে আয়েশি
ফুঁ দিয়ে চুমুক দিতেই চোখে পড়ে
বারান্দায় একজোড়া রতিপ্রিয় চড়ুই
তারাও জানে অবসরের বিভীষিকা।
ব্যালকনি থেকে অফিসগামী নারীর নিতম্ব দোলন দেখি,
সামনের বারান্দায় দেখি গামছার আড়ালে লাল ব্রা, আমিও
একদিন লাল ঝান্ডা উড়িয়ে মিছিলে গেছিলাম;
তোমার বুনো ঘামে ভেজা আঁচল দিয়ে
মুখ মুছে বলেছিলাম, “বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক”।
পলেস্তারা খসে পড়া
বগলের ঝুরঝুরে ঘামে
পাঁজরের চুরমার দুঃখ
ভেঙ্গে এসো খিদের ভিতরে
কবিতার কথা বলি
বাজারের ব্যাগে ভরে
তাকে সঙ্গে নিয়ে গেছি
লেবুগন্ধ চুলের অরণ্যে
রাত গাঢ় হলে
পাতার ভঙ্গি করে বলি
স্পর্শে কি সুখ
আহা কি সুখ মরি মরি
দাঁড়কাকের চোখে মায়াবী রেখার কাজল নেই,
উত্তরাধুনিক কবিদের মত কুতর্কে মেতে থাকে,
তাদের কবিতা চেসিস ভাঙ্গা ট্রাকে
রোঁয়া উঠা কুকুরের দুর্বোধ্য ডাক।
তারা পাপ ও দুঃখবোধের একছত্র বেপারী,
ঠোঁটের এ্যজফল্টে ধাবমান শূন্যতা
নিতম্বের গাঢ় মাংসের মত শব্দের চোরাস্রোত,
পেগ পেগ মদে আগুন নেভায়, জলের মিশ্রণে
স্বাদ বদলে নেয়, ভুল তালে বাজায় চুম্বনের সুর।
তুমি যে হাত ধরে আছ সে তোমার প্রিয়ংবদা নয়
সেও একজন কবি এই মুহুর্তে লুপ্ত মাতাল
যে কথনো নিজের কবিতা মুখস্ত বলতে পারে না।
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
একি অনাসৃষ্টি নিত্য পণ্য উর্ধ দাম মন তার ভালো নেই, বাজারেতে যেতে যে হবে…..
পাশের রাস্তাতে তিন জন্মের লাশ ; অনিয়মহীন এভাবেই একক অপার্থিব অশরীর ৷ উল্টোদিকে আমি…..
পাষাণের প্রেম বিকট স্তব্ধতায় সুনিপুণ সীমানা প্রাচীর তুলেছ, বেসামাল ভালোবাসার জাগতিক জায়নামাজে। প্রার্থনার গতিরোধ করো…..