প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
মেয়েটা ঘুমানোর পর চুপিচুপি জয়ন্ত-র ঘরে এলো।জয়ন্ত চ্যাট-মগ্ন।ডেস্কটপের স্ক্রিনে স্তনের ছবি!
চকিতে মেয়ের কাছে ফিরলেও,ঘুম এলো না..
বাবা নিশ্চিন্তে শুয়ে বরফের চাঁইয়ে।
আত্মীয়রা কবে আসবে কে জানে!
এই লকডাউনে কেউ কি আসতে পারবেন ?
এদিকে বরফ যে গলছে…
বিষন্ন মেয়েটি গৃহবন্দি! মোবাইল, ল্যাপটপে এতই ব্যস্ত,খাওয়া-শোওয়ারও ঠিক নেই।
দুঃখী মা-বাবা বললেন,
চিয়ার্স!বয়ফ্রেন্ডকে বলো এখানেই নিভৃতবাসে থাকতে পারে।
সংবাদ-টংবাদে এটা স্পষ্ট, আগামী দুবছর মাস্ক মাস্ট।
নিভৃতবাসে অপর্ণা শাড়ির সঙ্গে ম্যাচ করে কিছু মাস্ক বানালো।
দুঃখ,নাক-ঠোঁটের অহংকারও গেল!
ঝড়ে গৃহহারা হলো মানুষ।
নেতা-নেত্রীরা এলেন সাংবাদিক নিয়ে।
পৃথিবী দেখল সাহায্যের ছবি।
গৃহহীন মানুষ শুয়ে-শুয়ে আজও আকাশের তারায় ঈশ্বর খোঁজে।
মোবাইলে লিখলেই স্ক্রিনশট,বললেই রেকর্ড !
লকডাউনের পরে মুখোশ পরে কিছুদিন ফলো করার পর শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে, শুধুই চোখে চোখ।
মুখে মাস্ক,চোখে চশমা, হাতে গ্লাভস। মেলার প্যাভিলিয়নে এক-মিটার দূরে-দূরে দাঁড়িয়ে মানুষ।
সিসিটিভি থেকে বিচারকরা দশজন সুরক্ষিত
নারী-পুরুষকে নির্বাচন করলেন।
যমজ সন্তান, একটি ছেলে আরেকটি মেয়ে। তাদের নাম হলো,লক ও ডাউন।
কার নাম লক, কার নাম ডাউন কে জানে!
পায়ে রক্ত ঝরাতে-ঝরাতে অবশেষে যখন ঠিকানায় এসে পৌঁছালো,দেখল বাড়িটাই নেই!
পাড়ার লোকজন আগেই আশ্রয়টা ভেঙে রেখেছে।কোথায় স্ত্রী-পুত্র-কন্যা-পরিবার! সুতরাং…
সাহসী হলে মরবে। ভীতু হলেও মরবে।
তারচেয়ে সেইভালো মধুমাখা হরিনাম বলো!
চারপাশে এতএত শবদেহ!
রামনাম সত্যই থাকে চাপা বা ধাপামাঠে!
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..