প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
বুলেভার্ডের বেঞ্চিটি আজ ফাঁকা
আর কোন প্রেমিকের অপেক্ষা বসে নেই
নেই কোন আঙুলে উৎকন্ঠা জড়ানো বিকেল
কিছু সবুজ উদাসীন হাঁটু মুড়ে প্রার্থনায়
কয়েকটা দগদগে ক্ষত এখনো জেগে
হয়ত সেটি রাগী পুরুষটির অস্থিরতা
প্রেমিকার অভিমান ঝুঁকে আছে আজও
নতজানু পাতার আড়ালে
বেঞ্চিতে শুয়ে একটা গোটা ইতিহাস
সেদিন রাষ্ট্রের অনুগত চর তার
প্রিয় চোখ দুটি গেঁথে রেখেছিল
বুলেভার্ডের বেঞ্চের তলায়
গোপন ক্যামেরার মতো
ভারী বুটের আঘাতের আশংকায়
কান খাড়া রেখেছিল সংলগ্ন গাছ গাছালি
এমনকি বেঞ্চের লোহার পেরেকটিও
ধীরে ধীরে ওরা কী প্রস্তুত করছিল নিজেদের
কিভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায়
বুলেভার্ড আর তার বেঞ্চির ঐতিহ্য
যেখানে প্রতিদিন প্রেমিকটির হাতের ভেতর
শুয়ে থাকে আর একটি নিশ্চিন্ত হাত
গথিক ভাস্কর্যের মতো!
আসলে চোখদুটি সেদিন শুনে ফেলেছিল
ব্রুটাস বা মীরজাফরের অন্য নাম বিশ্বাসঘাতক
অসহায় পেরেক অথবা পাখির ঠোঁটে
সেদিন শুধুই কান্নার আড়াল।
তোমার কাছে কাটাবো দিন দিনের মাঝে
তোমার আঙুল জড়িয়ে নেবো অন্ধসুখে
ছায়ায় ছায়ায় পাতার গায়ে বৃষ্টি হলাম
মেঘলাবনের পথ খুঁজে দাও ছায়াপলাশ
তোমার সঙ্গে সাগর জলে একলা দুপুর
ঢেউয়ে ঢেউয়ে তরঙ্গ সব জ্বালবে আগুন
মেঘের কাছে দুর্যোগ নাও মেঘেরপালক
আকাশনীলে ছড়িয়ে দেবো তোমার যাপন
একটি দুটি সন্ধে নামুক সজল সুখের
তোমার চোখে আকাশ নামে সন্ধ্যাতারা
চাঁদের আলোয় গ্রহণ লাগে শরীর জুড়ে
দহনগুলি আমিই নিলাম রাত্রিআকাশ
অশান্ত সব ঘুর্ণি মাতন জীবন জোয়ার
নদীর গায়ে মাতাল বাতাস জলজসুখ
গড়িয়ে পড়ে রক্তকথার গরল আগুন
দুর্যোগরাত গড়িয়ে পড়ে অমল কথায়
রাত্রিপালক তোমায় ছুঁলাম আকাশ হয়ে
তোমায় দিলাম ছায়াকথার অলস মায়া
খেই হারানো চোখের ভিতর তুমি থাকো
ক্ষরণপাতার ঝর্ণাকলম তোমায় দিলাম
মেঘলা আকাশ চৈত্রদিনের দহন বেলায়
ঝরাপাতার কান্না নিলাম মুঠোয় আগুন
তোমার আদর ছড়িয়ে দেব রোদের গায়ে বসন্তরাত তোমার নিমেষ জড়িয়ে নিলাম।
তোমার বুকের মাঝে স্বস্থান এঁকে দেবো
তরল অঙ্গীকারগুলি বাঁপাশের ঘরে
ভুলচুকে মিশে আছে ইথারীয় বিষ
তোমাকেই দিয়ে যাবসঙ্গমের রাত
কেউ জানবে না কোন তারা
নেমেছিল চাতালের রাতে
অথৈ নৃত্যঠোঁটে অগ্নিশলাকার গান
ছাতারের বুনোগন্ধে ভেসে ছিল ভোর
প্রত্যন্ত ছুঁয়ে থাকা নিশুতিশরীর
সব জ্যামিতি মুছে দোতারার ঘরে
খিদের স্বস্থান এঁকে তোমাকে সাজাবো
রোদ এসে হেঁয়ালি ভাঙে
হিমদৃষ্টি ছুঁয়ে থাকে ঘামজল
স্মৃতির স্বাধীন ভাঁজে
ছায়ার আবদার
স্থবিরতা আড় ভাঙে
ডানারং আলোয়
কে এগোবে ট্যাবু ছিঁড়ে!
চারিদিকে পিঁপড়ের শব
পরিপুরকের মাঝে রাখা
রাজার পাঠানো নীল চিঠি
কাশ ফুল আঁকা
প্রবল কোন ঝড়ের পর
ভেসে যায় ঋতুঘরের মেঘ
হাতের মুঠোয় নিঃশব্দ উড়ান
যে ছাড়পত্র পড়ে আছে
তাতে নিচু রঙচঙে ঘরবাড়ি
সস্তা শব্দে সাজানো সূচী
আমার জন্য অন্য কোন ছবিঘর থাক
সহস্র আড়ালেও ঢাকা যায় না
মুখোশের দাগ
দীর্ঘ সহবাসের পাতায়
রক্তের অণুচক্রিকাও বন্ধু হয়ে যায়
তারাও আঙ্গুল তোলে যখন
লজ্জার গায়ে ঘেমে ওঠে
আরো লজ্জা।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..