আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
বনে, কোকিলের কণ্ঠে সহসা ককটেল ফুটে
যেন গন্দক রঙের ফুল আমার—
সমস্ত দিনই বসন্ত।
এই দেখা—
চোখের মণিতে বসে সারাদিন
একজোড়া মানুষ—
পাখির মতো কিচিরমিচির করে।
তারা কতোদূর উড়ে যায়—
কতোটা আড়ালে বসে
চোখের উপর কথা বলে—
মরে যায় শেষে
কে জানে?
তবু পাখির পিণ্ড থেকে এই ভাষা ছড়ায়—
এই ভাষা বাতাসে বাতাসে
জলবায়ু তার নাম লিখে
যদি সে এতোটুকু শান্তি পায়!
আর আমি হিম—
কবোষ্ণ কোলে মাথা রেখে
শুধু তোমার মুখের দিকে ফুল ছুড়ি…
বুড়ির জন্য গান
এসো, আমরা দুজন একটা পাখা বানাই—
ওরা বাজারে চলে যাক।
ছোট ছোট পয়সার আওয়াজের মতো
দূরে, ম্লান— যে কোনো শহরের দিকে।
কিছু খাবার রেখো। যদি একসঙ্গে খাই—
শুকনো চা—
তুমি আর আমি—
সিগারেট।
এই ভ্রম, ফুলগুলো কথা নিয়ে নাচছে—
তোমার বয়সের সমপরিমাণ!
যেহেতু, সুন্দর দিনগুলোর কোনো সময় হয় না।
যেহেতু, ভালোবাসার কোনো সমাধান নাই।
কোত্থেকে শুরু করেছি—
বলতে পারো?
বায়ু কিভাবে সচল রাখে শরীর—
স্মরণ করো—
শামুকের ধীর গতি—
ছন্দ
কিভাবে হয় আমাদের সালোকসংশ্লেষণ।
মিশে যাও—
চোখ থেকে ছুটে যাওয়া পাগল—
জানি, এখন আলো আঁকবে
নিজেই নিজের মুখ।
এসো—তোমার চুল বেঁধে দেই। সোনালু গাছে—
পাখিটা চিরিদিন এই গানই গাইছে।
প্রশ্ন করো না কখনও—
যেমন আমি
নিজেকে কখনও প্রশ্ন করি না
কেমন আছি।
যদি বাতাসের খুব তাড়া থাকে—
তাহলে দ্রুত এসে নিয়ে যাক আমাকে
যেভাবে তুলাগুলো আলাদা হয়ে যায়
তার শরীর থেকে!
বহুদূরে—
ছোট্ট পাখির লগ্ন
যে ভাষা আমি বুঝিনি—
কখনও কানে এসে লাগেনি আমার
সে কি বলতে চায়?
ভাষার বাইরে কেবল কালো রঙ—
উৎকণ্ঠা আর আমার কম্পন
আকাশের গায়ে লেগে ফিরে আসে
বারবার—
তোমার গহনার শব্দের মতো
এই আমার ঘর কখনও সুরেলা
আবার কখনোবা উদলা আকাশ
আমি পাখি হয়ে উড়ে যাই—
দূরে, বহুদূরে
তোমার মুখের ঝনঝন শব্দে।
আমাকে গোপন করো—
জানি, এটা সহজ
তোমার সৌন্দর্যের মতো
এক লহমায়—
যেন একটি খুন!
আমাকে যাদু দেখাও—
এই আমার চোখ
এই আমার তুমি—
চোরও সে
মস্ত এক যাদুকর!
কোথায় লুকানো তার হাত—
আমাকে ছুঁতে দাও।
এই শেষবারের মতো
যদি আমি মারা যাই—
আমাকে যাদুই ভেবো।
নিয়ম বানানো খুব সহজ।
তুমি বড় হচ্ছো, এবং বুড়িও যথেষ্ট—
বাতাস থেকে চুরি হচ্ছে সব, সব কিছু।
আমার শিরা— বিদ্রুপ ও ভয়ে কাঁপছে!
দূরে বৃষ্টি হবে এখন।
ঘাস, বক—
তার বক বক থেকে বাড়িয়ে দিচ্ছে গলা—
মাছরাঙা। যে কোনো ফসলের চেয়েও ভারি
এটা ভয়ংকর, আমি আর ফিরছি না।
মাটি হয়ে যাচ্ছে সব।
ধীর, বিলয়—
তোমার নখ কাটার সময়! আমাকে মেরে ফেলো—
অংশত দৃশ্যটা অন্য কোথাও। ছোট্ট বিড়ালের চোখ!
সে ঘুরছে পৃথিবী— ঘড়ির ডায়াল। ওর জন্য ক্ষুধা—
লেজ নাড়ছে ভীষণ রকম।
মনে হবে হতচ্ছাড়া—
পাউরুটি তুমি লুকিয়ে গেছো! আর বাচ্চারা দুষ্টু—
বোতাম হারিয়ে বোতাম খুঁজছে। কচু গাছের রং।
তার চারটা মাথা, আমাকে বহন করছে। এমনকি—
সে একটা নিখুঁত চোর।
যদি বারবার বানাও—
এমন কিছু, যা আমার জন্য নয়। তবে এটা সুন্দর—
দীর্ঘ পখির লেজ। সুর তুলতে তুলতে ভাববো মূঢ়!
এই তো দৃশ্য। দেখো, ঠিক আড়ালে। হলুদ পাতা—
ছেড়ে যাচ্ছে সবুজ পাতাটিকে।
এটা খুব সহজ নিয়ম—
মাটিতে পড়েই মুখ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।
তুমি তাকে ভালা পাও।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..