দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
বৃত্ত
চুপ করো, ডেকো না আর
আমাকে ঘুমাতে দাও
তুমি জানো না
আমি ঘুমের মধ্যে কবিতা লিখি?
একথা পাগল জানে!
যাও তাকে জিজ্ঞাসা করো
আমি কখন ঘুম থেকে উঠি
দাঁড়াও, যেও না
চারপাশে কুয়াশা আর অন্ধকার
তুমি বরং বৃত্ত হও
চেষ্টা করো নিজেই নিজেকে ছুঁয়ে ফেলার
সফল হলেই তোমাকে ছুঁয়ে ফেলবে
আলো, হাওয়া, জল
তারপর তুমি নিজেই এক নতুন পৃথিবী…
নিষ্ফল
সব রাত লিখে দিয়েছি
পাখিদের নামে গতকাল সন্ধ্যায়৷
সব ভাত ভোরের আলোয়
রেখে এলাম পাগলের দরজায়৷
পৃথিবী সুন্দর!
সব মদ পা-বেয়ে নিচে নেমে এলো
যেন কবিতা ভেসে যায়…
পথভোলা
আকাশের চাঁদ আল্পনার মতো বেঁকে যাচ্ছে
ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে জ্যোৎস্না-জল ও পূর্ণিমা
আলো কিছুতেই নামছে না মাটিতে কিংবা সমতলে আরও তীক্ষ্ম ও রহস্যময় হয়ে উঠছে পর্বতের চূড়া
চাষের জমির ফাটলের ভিতর
পড়ে আছে– শুধু সাদা… শুধু সাদা…
আমাদের কোনও দোষ নেই, মানবতা
আমরা পথ ভুলে দু’হাতে জ্বলন্ত মশাল নিয়ে ছুটছি
গভীর অরণ্য ভেদ ক’রে শকুনের বাসার দিকে…
নিবেদন
গতকাল রাতের আকাশে
কোনও তারা ছিল না
জেগেছিল গুটিকয়েক জোনাক পোকা
আজ সারাদিন সূর্য ওঠেনি
পাগলের কাছে আগামীকালও অনিশ্চিত
এবার চোখ খোলো গান্ধারী
আমি পুড়ে যাব নিশ্চিত জানি
তবুত্ত আজ তোমাকে বলে যাব
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..