যাযাবর
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
এ রকম এক-একটা পথ চোখ ছাড়িয়ে ছায়ার ভেতর
মায়ার খেলা! সব হাওয়াতে চিনতে পারি;
তুমি ছবিময় **** মনের মধ্যে ঘোলাটে হয়ে দুলছে
তোমার দৃশ্যের ঘ্রাণ
এ মহিমা প্রতিফলিত, নির্জনে নীল উদ্ভাসিত, —
তবুও কেন অতল প্রাণে বিবর্ণ স্তব্ধতা! তিন প্রহরের
ঘুম ভ্রমণে পথ হেঁটে যায় শরীর নিয়ে
মনোহরণ কাজল চোখে মেঘ ভেসেছে চাঁদের বুকে
খুব সৌখিন অপ্সরীদের নগ্ন দেহের অস্থিরতা
ভুবন ডাঙার কাতর হাওয়া!
কী এক ক্লান্তিকর খেলায় জানলা ঠেলে বৃষ্টি এলো
হাওয়ার ভেতর গুবরে ওঠে আকাশবাণী, —
শূন্য থেকে ফুলবাগানের তল দেখা যায় শ্রাবণ ভোরে
তখন আমি আদিগন্ত স্বপ্ন নিয়ে বোতামবিহীন ****
সর্বনাশের উপদ্রবে যোজনব্যাপী অন্তরীক্ষে মুখ
লুকিয়ে আরও ভিতর, — তার-বেতারে যাই ঘটে যাক
অনাদিকালের প্রাচীন খেলা
চোখের পাতায় আসছে যাচ্ছে চেনা অচেনা
ঠাণ্ডা হাওয়া! আর একটিবার জীবন বদল; আর
একটি বার নবাগত ভয়
কবিতার সাথে ড্যাশ-রেফ~গুলো আধো ঘুমন্ত
মর্মাহত একই রকম!
অন্তরীক্ষে বেশকিছু কাল ওজনের কাঁটা
দেখি ওঠে~নামে, — কী এক ভীরু চোখ মনে মনে
অসুখ এঁকেছে বুকে
রাস্তার কাছে প্রহরী ছিল
নিঃশব্দে হিম ****
ওখানে গোপন করা সমস্ত প্রেম পায়ের তলায়
কান্নায় ভিজে ওঠে, — এককাল ঘুরতে ঘুরতে পথ
গুলো সোজা রাস্তায় ছিল না
কিছু শূন্যতার মধ্যে উপচ্ছায়ায় ভেসে গেছে
কস্ত্তরীর ঘ্রাণ ****
অন্তরীক্ষে উড়ে যায় যাবতীয় পার্থিব ইতিহাস!
সেই স্মৃতি ক্ষমা চায়, সেই চোখ ডুব দেয়
বোতামবিহীন বুকে, — এরপর দিনরাত প্রতিটা জন্মের
চিহ্ন নিয়ে ছবি আঁকি মেঘলা আকাশে!
চলে যাবার ইচ্ছা
হ’লে কথা স্তব্ধ হয় অবেলার সব কিছু ***
এভাবে পিছিয়ে এলে মাটির কথা মরম ক্ষত হয়
একটানা অন্ততঃ স্বপ্নে অহর্নিশ!
যা কিছু আবেগ নিয়ে একটা পৃথিবীর তফাৎ চেওনা,
এই-তো নিয়মের বিপরীত মেরু
নির্ঘুম রোমাঞ্চ না-হোক, তবুও কথাহীন ঠোঁটে
নীরব মন্ত্রে দীক্ষিত কর চুম্বন!
এসো ফিরে এসে দেখ জীবন-টা কী ভাবে আছে
সত্য যে হয়, চোখ তার সহজ কথা বলে
এই রেখাগুলো থেকে কবেকার অদ্ভুত প্রেত ধর্ম ভ্রষ্ট
হবার ইশারা করে গেছে সেই একাধিক জন্মের পরে!
সেজন্যই-তো মৃত্যুর প্রভূত কারণ গুলো ভাগ হয়-নি
একগুচ্ছ দুঃখের ভেতর **** এবার আর একবার
নিজের মত করে মৃত্যু নিয়ে বাঁচার ইচ্ছা আছে;
বলে রাখলাম তোমায় প্রিয়তমা!
ফুল না ফোটাতে যদি ঝড় ওঠে
ভালোবাসা ভুল হয়ে যায় বারে~বারে! মন থেকে
সমস্ত মন উদাস হয়ে এলে আমি তখন ক্লাস নেব
কজন মৃত মানুষের ***** এবার আমিও স্বপ্ন দেখার
কথা ভুলে তোমার পায়ের কাছে আশ্রয় নেব কয়েক
জনম!
তুমি-তো সত্য নও, তবে কেন সব সত্যি আড়ালে
লুকিয়েছো? প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি কতবার প্রণাম,
আলোগুলো জ্বেলেছি কত-শত বার
মহা প্রলয়ে সব কিছু ছিন্নভিন্ন হবার পর একবার যদি
তুমি বলতে ভালবাসি; তাহলে কি সরে যেতাম সেই
মহাপ্রস্থানের কথা মনে করে!
স্বপ্নে দু’লেছে চোখ; সম্ভ্রমে তাল~লয়~সুর
ভ্রষ্ট স্মৃতির ঘ্রাণে সন্ধান ধূ-ধূ আহত আলম্ব গৃহকোণ!
দেবার যতটা ইচ্ছা; হাত পেতে নিঃছিদ্র
নিশা-রাত্রিকে পৌঢ়ত্বের ফ্যাকাশে পিপাসায়
স্বরচিত উদ্ভাসে ****
অঙ্ক পথে আমার আমৃত্যু চলা, কথা বলা! চেয়ে
নেওয়াটুকু, – প্রথম লজ্জা ভাঙা নব্য দেহের
গোলমেলে ঘুম আর ঘুমন্ত ঘুম —
চোখের অর্দ্ধেক তৃষ্ণা সাবধানী তুরুপের তাস,
কী এক হুতাশ প্রশ্বাসে মৃত মন রাতের মুমূর্ষু আকাশ!
দিন-রাত ঘেমে ওঠা নয়নের নির্লিপ্ত কামড়
একছত্র কবিতার লুকানো বয়স!
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
কবি গো ওওও,আর যত গুণীজন কি দিয়ে পূজি তোমাদের চরণ আমি যে অভাগা জানি না…..
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..