আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
এখন ক্রমশ রোদ-তাপ আর
বেড়ে যাওয়া দিনের পরিধিতে
ঝড়-জল বিরতির প্রচারিত খবর।
তার পাশে পরে থাকা এক পর্ব সময়
কবিতার বিপুল বৈভবে ছুঁয়ে যায় আমার অবেলা।
প্রাণপণ ধরে রাখি, রেখে দিতে চাই
ভিখিরি মত দৈন্যের দায় নিয়ে-
দেখি পার্কের বেঞ্চি থেকে উঠে
চলে যায় পড়ন্ত বিকেল।
শহরের সবচেয়ে অমায়িক বিন্দুতে
অপ্রতুল সময়ের ভিতর
কবিতা আর সুর দীর্ঘতর হতো।
প্রতিবার ছন্দপতনের পাশ ঘেঁষে না ফুরনো তৃপ্তি
প্রতিশ্রুতির রোদে বাড়িয়ে দিত ডালপালা।
এরপর যতি চিহ্নে থেমে গেছে কোলাহল।
এখন কেবল বিষণ্ণ চরাচরে ঘুঘু ডেকে যায়।
আর বিস্মরণের ভিতর পরে থাকে খোলসের আলপনা।
অঝোর বৃষ্টি
পানি বাড়ছে পানি বাড়ছে
আসছে ঝাপিয়ে লাফিয়ে
অকূল ভাসান যেন অদম্য উল্লাস।
দশ বছর আগে দেখা আব্বার কবর
সবুজ ঘাসের গালিচায় ঢাকা
বন্ধনহিন চারপাশ।
হঠাত স্রোতের টানে কাছাকাছি
আব্বার কবর আর আমার বিছানার ধার।
আমি জেগে উঠি লোনা জন্ম নিয়ে
বুকের ভিতর গোটা এক হৃদপিণ্ড কাঁপে
দেখি-
সবপ্নের চোখে ভেসে যাচ্ছে
আব্বার কবরের ধার ঘেসে আমার বিছানা।
সেই তো হাওয়া-জলের খবর এলো
চারপাশ ঘিরে রেখেছিল কাল কাল মেঘেদের ছায়া!
প্রেমময় কিছু মেলে না সহসা
মায়াছন্ন ছিল কি সে খবর?
কেবল কান্নার হাতে হেরে গেলে দু’চোখ
মিষ্টি শ্রাবণ ধারা এনে দিও
বয়স্ক-শুষ্ক-ত্বক না-হয় আবার
সলাজ ভিজুক, ভিজতে থাকুক।
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..