প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
ক্ষুধিত ওরা ক্ষুধার বিররণ জানেনা
গোঁড়ামি সংস্কৃতিতে চেপে রাখা টুঁটি,
শীৎকারে সুর তুলেনা বহু যুগ
ওরা এমনই না খাওয়ার দল
তবু তান্ডব হয়
বেনামী সুনামীতে জেগে উঠা মধ্যরাত
বিবেকের ভূভাগ দখল করে নেয় পুরোটা;
প্রচন্ড উত্তাপে।
বক্ষ বিভাজিকা অবহেলিত চাদরে
মুষরে পরে প্রতি রাতে
স্পর্শের ধরন বঞ্চিত ওরা,
নিদারুণ তাপে লজ্জায় ছায়ার গিঁট ছুঁয়ে দেখে।
তান্ডব দমাতে ব্যর্থ জলসা রাতের সারেঙ্গী,
চুপটি মেরে থাকে প্রতি রাতে;
রৌদ্রাচ্ছন্ন ভোরের অপেক্ষায়।
জল-তৃষ্টায় না খাওয়া ওরা যুগ যুগ মরুত্তাপে;
নিদ্রাহীন শোকে
ওদিকে, কর্ণকুহরে নিয়মিত আছড়ে পড়ে
মহাজনের তৃপ্তি শেষে নাক ডাকার শব্দ ‘খড়ড়ড়ড়!’
লুট করে নিয়ে যায় সে
অস্থিমজ্জা নিঃসৃত রসটুকু
মধ্যরাতের গুঙ্গানী ঘুম পারিয়ে যায় যারে
স্বপনেও ছুয়ে দেখিনি তারে।
অথচ, প্রেমময়ী মমতা যত্নটুকু যথাযথ
সে মদ্যপ নয়, লম্পট নয়
ইতিহাস রচণার সবটুকু আছে
কেবল,
শিকারী হবার বোধটুকু ছাড়া।
বেসামাল ভাবনায় বুকের অলিন্দে
তোমাকে দেখি যোজন শূন্যতায় নিয়মমাফিক
বেহুদা প্রলাপে প্রতারণার জল ছুঁয়ে যায়;
ডিসেম্বরের বরফ কাঁচ।
ভালবাসার দ্বি-খন্ডিত মগজে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের আলোড়ন,
সিঁদ কেটে অশরীরি সংশয় ঢুকিয়ে দেয়
কর্দমাক্তময় ভাবনায়
বিগড়ে যাওয়া হৃদযন্ত্রের নাম দিলে তুমি,
হ্নদরোগ
রক্তবাহীকা সঞ্চালনে,
তোমাকে এখন কোথায় পাই!
গতিশীল নেতৃত্বে আমি বেশ এগিয়ে
বৈষম্য দূরীকরণে একীভূত, ন্যায়সঙ্গত
পক্ষপাত মুক্ত সমাজ বিনির্মাণে নিরলস আমি
সাম্যের স্লোগানে রাখি কুকুর মানুষ এক কাতারে
দারিদ্র্য বিমোচনে পথ-ঘাট সব মোজাইক
ক্ষুধা নিবারণে ইট, বালি, পাথর নয়
নারীর টসটসে বক্ষ যোনী,
একাউন্ট ভর্তি শিক্ষা সনদ, দলীয় শুভেচ্ছায়
এসডিজি যুগের আধুনিকতায়
ফর্মালিটি মেনটেইনে নেশাগ্রস্থ্য প্রজন্ম
বানিজ্য চুক্তিতে জান-মাল মজুদ
সময়ের বাদীতে উন্নয়ন; যথাযথ
বুঝিনা তোমরা অকৃতজ্ঞ জাতি
কি সব প্রশ্ন ছুঁড়ো আববোল তাবোল
ইডিয়ট তোমরা
বিকারগ্রস্থ্য মগজে আইকিউ টেষ্ট করো।
অনুভূতিতে শব্দ ও কলমে,
আমি আমাকে লিখি, আমার মত লিখি
চিত্ত স্বাধীনতায় অধিকারের পুরোটা নিয়ে
সুঁই সুতোই শব্দ গেঁথে সচল রাখি মগজ
আমি আমাকে লিখি, জীবনের উত্থান পতন লিখি
কাম-লিপ্সায় নোংরামীতে ক্ষয়প্রাপ্ত বিবেক অনুভূতি
হিংসায় পুড়ে ছারখার হওয়ার গল্প
হ্নদপিন্ডে বাক্সবন্দি প্রেমটুকু নিয়ে লিখি
আমি নিজ স্বকীয়তায় লিখি।
তুখোরতা নিয়ে হুটহাট ফ্রন্টাল লোব জেদ ধরে
বিতর্কে গিঁট লেগে যায় রাইট-লেফ্ট হ্যামিসফায়ারে
এখানে স্বায়ত্ব শাসন, অনাধীকারে প্রবেশ নিষেদ জেনেও
দর্শন চিত্তে প্ল্যাটো বলেন, অনৈতিক-মিথ্যা সব
কবিতা; এ তো কেবল কবির ধোঁয়াশা!
তবু আমি লিখি, আমার মত লিখি
দার্শনিক, যুক্তিবিদ
সর্বকালের সেরা কবি
জ্বলে উঠা চেতনায় শব্দের গুটি চেলে
সুঁই-সুতোই বুকের এফোঁড়-ওফোঁড় গেথেছিলেন একদিন
একদিন তাঁরাও মত্ত ছিলেন নঁকশী বুননে
ঠিক আমার মত, আমাদের মত।
ঘুমাতে গেলেই ঘুম ভেঙ্গে যায়
বেইমান স্নায়ুকোষগুলো বৈদ্যুতিক সংকেতের ব্যাঘাত ঘটাতেই
অনুভূতিগুলো প্রতিবন্ধকতায় ডুবে যায়;
ফিতা কৃমির লার্ভায়
স্নায়ুর সুতোগুলো কামরে ছিডে নেয় কুকুর।
ঘুমাতে গেলেই ঘুম ভেঙ্গে যায়
মনে পড়ে আমার কথা, আমাদের কথা
বিছানার চাদরে পরে থাকা শূন্যতা
এক হাজার দুইশত নয়বার শুষ্ক ঠোট ছুঁয়ে যাওয়া;
ভাঙ্গা কাপটায় কথা
নিভৃত সাধনে অসংখ্যবার হ্নদয়ে রক্তক্ষরণের কথা
অসহ্য ইনসোমনিয়াতে লেডি গাগা, জর্জ ক্লোনি;
পোকারা তাদেরও রেখেছে মনে
জন্মের গা ঘেঁষে পরে থাকা জন্ম,
সবটুকু নিয়ে যায় মধ্যরাত
ঘুমুতে গেলেই কেবল ঘুম ভেঙ্গে যায়।
প্রচণ্ড ভয় নিয়ে তারা গুনি আজকাল
মৃত্যুর ভয় নয়
টিপ টিপ পায়ে অদৃশ্য সুনামীতে;
বুকের পাড় ভাঙ্গার ভয়
পর্বতের কাছে প্রতিশ্রুতিতে থাকা
মন ভাঙ্গার ভয়।
নীরব শূন্যতা নিয়ে দিশেহারা আজকাল
একাকীত্বের ভয় নয়
শিল্পীর তুলিতে আঁকা পর্বত, নদী, সমুদ্র
আকাশ ক্ষয়ের ভয়
আন্দিজ পেড়িয়ে শেষের পথটুকুতে শুধু
দাঁড়াতে না পারার ভয়।
লজ্জ্বায় অবনত নতশিরে আজকাল
অসততার ভয় নয়
আঁখি যুগল বৃষ্টির তোলপার শেষে
ফোঁলে উঠার ভয়
যা ছিল আঁচলে গিঁট বাঁধা সবটুকু
নষ্ট হবার ভয়।
চোখ দুটো খুলে উচ্চ কবিতাটুকু
পড়তে না পারার ভয়।
প্রতিভা বিকাশে দক্ষ মানুষ
জড় পৃথিবী হতে জলরাশি
প্রাণের অস্তিত্বে অতঃপর উদ্ভিদ ও প্রাণি
অবলোকন করেছে মহাবিশ্ব হতে সৌর মন্ডল
অতঃপর পৃথিবীর।
প্রস্তর যুগ বিনাসকালে নব্যপ্রস্তরযুগ; সভ্যতার প্রারম্ভে
উলঙ্গ মানুষ জেনেছে লজ্জ্বা নিবারণ
আদিমতা শেষে আধুনিকতা
মেধা বিকাশে শাণিত কলম; অস্ত্রাকারে
ক্রমবিকাশে বন্য মানুষ;
আলোকিত সভ্য মেধায়।
দক্ষতা প্রসারিত,
যেমনটি কৌশলে মাকরশা জাল বুনে
জলাভূমির আগাছায় তৈরি কুঁড়ে ঘর
তামা, সোনা, ব্রোঞ্জের সমাধীকালে লোহার ব্যবহার;
মানুষের প্রতিভা।
কাকদ্বীপ থেকে কামদুনি
গ্রহশ্রেণী থেকে সেনানিবাস
অভিনব পন্থায় ধর্ষণ,
একই মানুষের ক্রমবর্ধমান প্রতিভা।
এই যে তোরা খুলে দিলি জলস্রোতের বাঁধ
অবশেষে,জন্ম-জন্মান্তরের সম্ভ্রমটুকু
খোলা চিঠির মত আঙ্গুল ছুঁয়ে পড়ে নিল বিশ্ব;
আদর্শলিপি
শিখে গেল নাদান শিশুটিও
যৌন কামনার স্তর; খাদটির সন্ধান
উন্মুক্ত বুকে, যেখানে চুমুক দিয়েছিলি তোরা শিশুকালে
বিশ্ব দেখে নিল আজ বুঁটামূল
দেখে গেল তারা সুরুঙ্গ পথটি কত সস্তা!
শুধু তুই, তোরা নস
আগামীর শিশুটিও জেনে গেল,
মাতৃ যোনী বলে বিশেষ কিছু নেই।
উলঙ্গ আমি দু’পায়ের ফাঁকে তোদের দেখে বিহবল নই
বুকের ভিতর কবর খুঁড়ে আমি কাঁদি
তোদের জন্মদাত্রীর বুক ফাঁটা ক্রন্দনে।
প্রেম-
সে তো বায়বীয়,অস্পর্শী
স্বর্গ হতে আসে, স্বর্গেই যায় চলে।
আমি বলিনা;লোকে বলে।
বলি প্রেম-সে তো
উত্তপ্ত যৌবনে ছুড়ে ফেলা দেয়াশলাইয়ের কাঠি।
জ্বলে পুড়ে ভস্মিভূত ছাই
বৈরাগ্যের আহবানে; সংসার ত্যাগী উপাসনা।
প্রেম-
তুখোড় রোদে আবেগী সন্ধ্যায়
অযাচিত বিড়ম্বনার অহেতুক উপস্থিতি।
প্রেম-
সে তো ভুল নিয়মে সুখ-দুঃখের হিসাব নিকাশ।
শান বাঁধানো অপ্রাপ্তির মেঝেতে;
মৃত্যুশয্যায় পরে থাকা নিথর দেহ।
প্রেম
কেবলই অভিশাপ,
প্রস্থানকালে মৃদু ঘ্রানে
আকাশনীলায় মোহর লাগানো
প্রায়োশ্চিত্তের বাস্পিভূত জলছাপ।
প্রেম-
সর্বগ্রাসী নারীর চোখে
বিলুপ্ত হবার আকাঙ্খা; নরের কামনার উদ্রেগ।
প্রেম-
রবীঠাকুরের চন্ডীদাস, শরৎ বাবুর সৃষ্টি দেবদাস
জয়নুলের আঁকা মনিহার
যুগ যুগ ধরে অসম প্রেম জ্যান্ত রাখা,
নেপুলিয়ান-জোসেপাইনের আত্মত্যাগ।
বলি প্রেম-
সে কি মানবতাবোধে উন্মত্ত
সিকোয়েরসের ছিন্নমূল রক্তে মাখা বিধ্বস্ত ক্ষুধার্ত শিশু?
কেভিন কার্টারের ক্যামেরায় বন্ধি হাড্ডিসার শিশুটির
মৃত্যুর প্রতিক্ষায় অপেক্ষমান শকুন
নাকি অনুতপ্তবোধে তার প্রাণনাশ?
প্রেম সে তো,
বিপুল বিস্ময়ে পৃথিবীর দিগন্ত রেখায় অলিন্দ্য কষ্টনীলা
হৃদয়ের সীমান্ত জুড়ে অনাদি কালের দহন।
কভু বিচ্ছেদ; কভু সহন।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..