দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত,
ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায়
চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান।
শরীর থেকে ধীরে ধীরে খসে যাচ্ছে
সভ্যতা-ভব্যতা যত।
এ তল্লাটে এখন সব নতশির দাসত্বের জ্যান্ত পুতুল।
বশ্যতায় নুয়ে আছে প্রত্যুত্তরহীন শয্যাসঙ্গিনীর মতো।
যেখানে চেতনা নেই সেখানে আর থাকে কই মানুষের জমায়েত!
মনুষ্যত্ব বিলুপ্ত করছে হায়…বুনো শুয়োরের উৎপাত।
বেপথু পথিক
তোমার শহরে এখন কী দারুণ উর্বশী রোদ
আমার শহরে ছেয়ে গেছে ফলবতী আঁধার,
একশত কৃষ্ণচূড়া লিখে দিলাম তোমার নামে।
বনমহুয়ার নরম ঘ্রাণে মায়াময় চারিধার।
তোমার উঠোনে আমি এক বেপথু পথিক
চন্দ্রভুক অমাবস্যা গন্তব্য করেছে চুরমার,
আঁচলে জড়ানো আঁধারে আলোর ইল্যুশন
পৃথিবীর সবটুকুই এক শানদার কারাগার।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..