বেশরম
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
ক্রোধের বলয়ে ঢোকো… চারপাশে ঘূর্ণমান চোখ
নিপুণ হত্যার কাছে
পরিপাটি সূচ আর কাঁচির আদল
জাতীয় সড়কে মেশে লরী আর চালকের শ্বাস
নিভৃত চয়ন ছেড়ে, ওগো পিশাচিনী
লিখে রাখ কাঁথাস্টিচ…
সুতোর বিলাপ
ফালাফালা বুক আর সামান্য জলের ফাঁদ
কীভাবে শেখাবে তাকে বিষবৃক্ষ… আরোগ্-নিদান
বাঁকের আড়ালে এসে স্রোত তার বিপরীতগামী
সমস্ত হত্যার কাছে ধারালো খুনের পটভূমি…
আঁকে শোক, উড়ানো খইয়ের গুড়ো…
দৃশ্যের আড়াল টেনে কথা বলো মৃদু,অন্তর্যামী
অতটাও প্রিয় নয় শোক; দীর্ঘস্থায়ী।
অভিনয়ে নিপুণ বিষন্ন
অন্ধত্বের ভান করে পড়ে থাকা চারণের শব
কোজাগরী চোখ
হলুদ থালায় ভাসে জমা মৃতমুখ
ফাঁদে দিই শস্যকণা… জল… তৃষ্ণা নিবারক…
করুণাময়ী, নির্মিত হও
বছর কাটিয়ে ফেরো মঞ্চে… ভূমিকায়
গল্পে অথচ প্রথম…
রক্তের কাছাকাছি হেঁটে যাওয়া যত অভিনয়
উদ্দেশ্য সফল হলে জলে ভরে শহরের চোখ
অথচ, আসলে মৃত
চরিত্র হিসেবে কোনদিন
নগর বোঝেনি তাকে…
কতটুকু ক্ষত। কতটুকু অভিনয় ছিল
প্রতিটি কবিতা নাগরিক
প্রতিটি অক্ষরে মেশে পিচ আর লরীর আঘাত
লোহার শেকলে জীর্ণ লেপার্ড শরীর
লালা, থুতু, বমি মেখে ঘরে ফেরে রোজ
ফ্লুরোসেন্ট চোখে দেখে চষির পায়েস
ঘুম পায় তার… চোখ মেলে চেয়ে থাকে মৃত ধানক্ষেত
জখম ডানায়
এভাবে পরিখা দেখে
আকুলিবিকুলি মন
ফণা তুলে থাকা চকচকে ইস্পাত
ও তার আচ্ছন্ন হস্তক্ষেপ মেনে
ভূতের আঙুল সেই
ধোঁয়া অভিমুখে হাঁটে
উঁচু পাজরের হাড়ে জমে নেশা ও নৃশংস
প্রতিটি হত্যার আগে সাদা ব্লেড…
সাদা অ্যাপ্রণের দীর্ঘ লকলকে জিভ
অদ্ভুত সংযোজনে বিয়ে সেরে ফেলে…হাত ধোয় লোহার বাসরে
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
একি অনাসৃষ্টি নিত্য পণ্য উর্ধ দাম মন তার ভালো নেই, বাজারেতে যেতে যে হবে…..
পাশের রাস্তাতে তিন জন্মের লাশ ; অনিয়মহীন এভাবেই একক অপার্থিব অশরীর ৷ উল্টোদিকে আমি…..
পাষাণের প্রেম বিকট স্তব্ধতায় সুনিপুণ সীমানা প্রাচীর তুলেছ, বেসামাল ভালোবাসার জাগতিক জায়নামাজে। প্রার্থনার গতিরোধ করো…..