ফ্রেম
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..
তফাৎটা আজ
বেলা শেষে
ভালোবাসা বলতে কিছুই নেই আজ।
অবুঝ ইচ্ছেগুলো যাযাবরের মত
রিক্ততার বৃত্তে পরিভ্রমণরত,
যা গেছে তাই শুধু গত।
সময় কী আছে তোমার বুঝার অত?
তফাৎটা আজ,
লেকচারেতে খুব ম্যাচুয়ড,
বাস্তবতা বুঝতেই মুখ ফিরিয়ে
আবেগের মুখে লাগাম টানতে শিখেছ।
রসকষহীন কথাগুলো আজ
কাল্পনিক অজুহাতের শর্ত বাজ।
কেমন করে শর্তগুলো পূরণ করিব?
অসীম সুখের তোমার সেই মাথাগোঁজার পাঁজর
আজ বঞ্চিত সুযোগের ব্যার্থতায় জর্জরিত।
আজ এইটুকু বুঝেছি
সেদিনের ভালোবাসা মানে ছিল
টিনেজ মনের নিরাপত্তার চাদর,
নষ্ট অনুভূতির শর্তহীন কদর।
বেলা শেষে
সময়ের স্রোতে ব্যস্তবাগীস হয়েও
তিথির রোমন্থনে মনের অজান্তে
ঠিক সেই আগের জায়গায় নিজেকে
পুনঃ আবিস্কার করছি।
অগণিত লবণের মিশ্রণ ভরা
মহাসাগরের বক্ষ ছেড়ে ঠিক যেমন
একরাশ জল পালিয়ে ক্ষীণ কালের
শান্তির আশাতে মেঘ হয়ে আকাশে ভাসে।
বেঁচে থাকার অপরাগতা নিয়ে চলে
টিকে থাকার প্রতিযোগিতা,
মেঘে মেঘে চলে সংঘর্ষ।
আর সময়ের নিয়েম বারির ধারা হয়ে
পুনরায় মিশে সে লবণে ভরা মহাসাগরে।
ওগো আমার হারানো ভালোবাসা,
সে কখন থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছি,
মৃত অনুভূতিগুলোর সঙ্গে যাচ্ছি,
শুধু কিছু স্মৃতি কাতর মুহুর্ত থেকে,
অনেক দূরে হারাতে, বেলা শেষে
তোমাকে হারানোর যন্ত্রণা ভুলাতে।
মান অভিমানে
অনেক বছর বেঁচে থাকাটা জরুরী নয়,
যে কটা মূহুর্ত আমার সাথে তোমার,
আর তোমার সাথে আমার অতিবাহিত
হয়, সে কটা ক্ষণ দুজন বাঁচতে চাই।
মান অভিমানে কত কথা বলি, কত
শত নীতি নির্ধারণ করি, বেলা শেষে
দুজনারতো কোনো পরিবর্তন নেই।
তার চেয়ে একে অপরের বাকবিতণ্ডার
বেসুরো সুর খুব মনোযোগ দিয়ে শুনবো।
এর চেয়ে কী বেশি সময় নিজেদের
নিয়ে ভাবা হয়? ভাবলেও তার বিষয়বস্তু
ভালোবাসা কে ছাড়িয়ে মান অভিমানের
রাজ্যে হারিয়ে যায়৷ ছোট ছোট মনের
অমিলে দুজনে বিচলিত হয়, একটু ভুলে
নিজেদের মধ্যে কোলাহলের মিছিল চলে।
দুঃখ বিলাস গল্পের সমাপ্তি ঘটিয়ে
হয়তো রোজ অভিযোগের সুর শোনা
থেকে মুক্তির আশায় দু’জন দুই
মেরুতে ছুটে চলবো।
আর যদি দুজনাতে দেখা না হয়!
আর যদি মনের মিল না হয়!
এতে লোকের কিছুই যায় আসেনা।
তবে দুজনার এই ক্ষণিকের জীবনে
অনেক কিছুই হারিয়ে ফেলবো।
ভালোবাসাটা আজকাল কেমন যেন
তাই না! আর ভালো লাগে না,
আগের মত ভালোবাসতে চাই না,
নাকি পারি না! তবুও মনের বিরুদ্ধে
হয়তো অভ্যাসের তাড়নায় দুজন
ঠিকই বলে উঠি-
তোমাকে আগের মতই ভালোবাসি,
বড্ড বেশি ভালোবাসি।
অসঙ্গায়িত সর্ম্পক
তোমাকে ভালোবাসি এমনটা আমি বলিনি।
তোমার আগে কাউকে ভালোবাসিনি, ভালো
লাগেনি এমনটা তুমি ধরে নিতে পারো,
তাতে আমার কি আসে যায়?
কারো মন পাবো এমনটা আর আশা করিনা।
এই পথ চলায় যাকে পাবো, তাকে তার মত
আগলে নিবো, এমন কোনো অঙ্গীকার করিনি।
তুমি আমাকে তোমার সব ভাবতে পারো,আমি
তো আমার মতই চলেছি।
আমি শুধু নিজের কিছু অভ্যাসের দাস হয়ে আছি,
অধিকার দিয়েছ, তাই অভ্যাসগুলোর চর্চার সুযোগ
পেয়েছি। এই সমাজে ভদ্রলোকের বদভ্যাসগুলো
কেউ জানে না, তাই বলে আমি নিজেকে ভদ্র বলার
দাবি উত্থাপন করছিনা।
স্বেচ্ছায় রক্ত দান করার পর, যদি তা কোনো
সুন্দরীর হৃদয়ে জায়গা করে নেয়, আমি তো
বলতে পারিনা তাঁহার হৃদয়ে আমার বাস।
অধিকার ছেড়ে দিয়ে, অধিকার ধরে রেখে কাউকে
জ্বালাতন করার মত বড় অপরাধ আর কিছু নেই।
আমি-তুমি কোনো একভাবে সম্পর্কিত, আর কিছু
সম্পর্ক অসঙ্গায়িত থাকা উত্তম। তাই আবার ও বলছি,
তুমিও শুধু নিজের কিছু অভ্যাসের দাসী হয়ে থেকো।
বিচ্ছেদ
আর ভালোবাসার প্রয়োজন নেই,
কিছুটা যাতনা, কিছুটা সুখের অবসান চাই।
এই কালে কীসে ভালোবাসা,
কীসে ভালোলাগা, কীসে লৌকিকতা
তাই নিয়ে মানুষ সন্দিহান।
তবে মানুষ যৌনতা আর ভোগের
প্রচলিত না বলা সুখের কথা,
কখনো স্বীকার করে না।
কিছু সত্য অনুভূতিকে ক্রমাগত
পরস্পরের পাওয়ার অপেক্ষারত,
সাময়িক তীব্র ইচ্ছের ছাদরে ঢেকে
উষ্ণতায় আর শিহরনে একটি দেহ
আরেকটি দেহকে পেয়েছে।
বেলা শেষে দুটি আত্মার দূরত্ব ছিল
সমান্তরালে, অথচ দুজনার দুজনকে
কেউ সত্যিকারের অনুভব করতে পারিনি,
ঠিক যেমন পৃথিবীর এত কাছে থেকেও
পৃথিবীর গতি আমরা অনুভব করি না।
এই যুগে এতোটা আপন,
এতো অনুরাগ হওয়া আবশ্যক নয়।
যুগের হাওয়া বদলেছে,
আজ প্রেমের দরকার নেই,
কিছুটা ব্যাথা বেদনা চাই বিচ্ছেদ।
দেবী না পরিণীতা রাতটা একা থাকে এবং নিঃসঙ্গ অন্ধকার মানে রাত; তাহলে অন্ধকার নিজেও একা…..
বিজয়ের সব মুহূর্তেই… তার অধিকার! কেন্দ্র হোক আর কেন্দ্রাতিগ বলের আসন; কেউকেউ বোরকায় রমনীয় সঙ্গানুসঙ্গের;…..
আমার প্রথম প্রেম কৃষ্ণচূড়া দ্বিতীয় প্রেম হলো ছাতিম। তুমি তবে আমার কী! তুমি যে আমার…..
এগুতে এগুতে দেখি ইচ্ছের বীজতলা অনাবাদী পড়ে আছে বয়সী প্রজাপতির কাছে কিছুই হয়নি জানা বিহ্বলতার…..