প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
এবার বৈশাখে গলিত লাভায় কেমন আভা ছিল
ভাতা ছিল সরকারি
প্রভা ছিল মঞ্জরিতে
সুবাস ধান্য গানের ক্ষেত ভরা
অথচ যারা শিল্পী!
তাদের উত্তরীয়’র ঝিলিক ছিল না কোনো
কারণ আমলা কিংবা কামলা নয় তারা
সাধারণ জনগণ, আম জনতা-
তারা ছিলো সরকারি ভাতার বাইরে
এবার বোশেখের দূর্বার বাতাসের পালে লেগেছিল নুসরাতের আগুনের ঢেউ
বাতাসে, মর্মরে ছিল পোড়া মানুষের গন্ধ।
যা দূর্বার গতিতে ধেয়ে চলেছে
সিলেট টু সুন্দরবন, এবং টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া
আর একটু হাত বাড়ালেই নিউজিল্যান্ড কিংবা শ্রীলঙ্কার অনামবিক হত্যায়।
তাই এবারের বৈশাখে উজিয়ে ওঠা পানিতে কইমাছ ছিলো না কোনও
ছিল না রক্তজবার টকটকে লাল রং ভালোবাসা
লাল সাদা ডুরে পাড়ে শাড়ি আর
আমে রাধা পায়েস ছিল না বাড়িতে
বাঁশের বাঁশির ভেঁপু ছিল না মেলায়
কাল বোশেখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিলো চৈতসংক্রান্তির উৎসব,
মঙ্গল শোভাযাত্রা।
প্রতিবাদ জানিয়েছিল ঝরা পাতা
যতদিন রাফীদের গায়ে আগুন লাগবে
মহাশয় শিক্ষকদের মুখোস খসে পড়বে সভ্যতার ভুল দিগন্তে
ছাত্র ছাত্রী আকণ্ঠ ভয় আর ঘৃণা নিয়ে শ্রেণীকক্ষের পরিবর্তে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়াবে রাজপথে
মানব্বন্ধন হবে ঝাঁঝালো রোদ চিরে প্রেসক্লাবে,
চৌরাস্তার মাথায়, চিত্রার মোড় আর দড়াটানায়।
ততদিন বৈশাখ নতুন বার্তা নিয়ে আর কড়া নাড়বে না
জটাধারী বৃক্ষের শাখে, ক্ষেতে, মাঠে, বাগানে, বাজারে,
আমাদের দরজায় এবং বৈশাখী মেলা আর মঞ্চের বৈশাখে!
এক বোশেখে কোঁচড় ভর্তি কইমাছ ধরেছিলাম সিঁদুরে আমতলা থেকে।
বৈশাখী বৃষ্টিতে তারা উজিয়ে উঠছিল-
সান বাঁধানো ঘাটের পাশে ঘাসের ওপর দিয়ে
আমি জানালার শার্সিতে দাঁড়িয়ে দেখেছিলাম অপলক
পুকুরে বৃিষ্টর ফোঁটা পড়ে ছিটকে যাবার দৃশ্যটা
দেখতে দেখতে দেখে ফেলি পৃথিবীর শ্্েরষ্ঠ দৃশ্যের একটি!
যখন সম্বিত ফিরে পাই, তখন আমার ফিনফিনে লাল ফ্রকে
কোঁচড় ভর্তি কইমাছ! পাউরুটির মতন নরম হাত আমার রক্তাক্ত।
কানকো দিয়ে স্বাধীন ভাবে হাঁটতে থাকা মাছগুলো-
কোঁচড়ের পরাধীনতা মানতেই এই রক্তারক্তি খেলা!
আর এ বোশেখে উজিয়ে আসা পানিতে নাকি-
কইমাছের পরিবর্তে বৈশাখী শাড়ি ভাসছে সাদা লাল!
সে আমাকে কথা দিয়েছিল-
‘উজিয়ে ওঠা পানিতে রক্তাক্ত হয়ে একটা বৈশাখী শাড়ি ধরে দেবে’।
আর ভালবাসবে- উঠোনে ফুটে থাকা রক্ত লাল জবার মতো লাল রঙে…
এ বোশেখে তার সাথে আমার দেখা হয় নি-
ছোঁয়া হয় নি রক্ত লাল করবী ফুলের স্পর্শ।
আমি অপেক্ষা করব- ‘বৈশাখ টু বৈশাখ’!
কইমাছ টু বৈশাখী শাড়ি; স্বাধীনতা বনাম পরাধীনতা।
বৈশাখী বৃষ্টি বনাম জানালার শার্সি;
রক্তাক্ত হাত বনাম খোঁপায় গোঁজা রক্ত জবার ফুল।
অপেক্ষা করবার অধিকার আমার জনম জনম…।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..