শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
আনমনে কাগজে আঁকিবুকি কাটতে কাটতে,
যে নামটা লিখে ফেলে চমকে উঠি।
চোখ বন্ধ করে নিশ্চিন্ত ভাবনার মাঝে
যে ছবিমুখ ফুটে উঠলে চমকে চোখটা খুলে ফেলি!
ভোরের মিষ্টি সূর্য কিরণ আমাকে যখন আলতো করে স্পর্শ করে!
যার কথা মনে হয়!
দুপুরের ছায়া লম্বা হতে হতে যখন –
সামনের পলাশ গাছটার তলে গিয়ে মিশে যায়!
লাল পলাশের বিছানো গালিচায,
মনে হয় কাকে যেন স্পর্শ করে চমকে ওঠে আমার ছায়া!
আকাশে ওড়া লাল, নীল, গোলাপী, হলুদ, সবুজ ফাগের মিশ্রিত রঙ,
যখন আচমকা ঝরে পড়ে মাথায়,গায়ে
কোনো এক ফাগুনবেলায়!
যার উড়িয়ে দেওয়া ভালোবাসা মনে হয়!
শুকিয়ে যাওয়া মরা নদীটার শীর্ণ জলধারার রিন,রিন শব্দ শুনতে শুনতে,
বালির উপর কাঠি দিয়ে অজান্তেই
একে ফেলে অবয়ব!
সাথে,সাথে মুছে ফেলি চারপাশে সাবধানী দৃষ্টি বুলিয়ে।
আকাশের বুকে মেঘ বালিকাদের খেলা দেখে,
যার আকাশের মত বিশাল হৃদয়ে আশ্রয় নিতে চেয়ে আমার মন
চমকে ওঠে!
রাতের অন্ধকারে টিম টিম জ্বলে ওঠা তারাদের যার কথা চুপিচুপি বলি!
গভীর রাতে জানলার পাশে চাঁদ যখন বন্ধু মনে হয়!
হয়তো তখনই বলতে পারি চাঁদকে তার কথা!
যে আমার কেউ নয়!
বলতে পারি,চাঁদ তুমি অনেক ভালোবাসো তাকে।
ভরে দিও তোমার রূপোলি জোছনায় তার সারা শরীর!
তারপর সেই ওম,সেই জোছনা, সেই ভালোবাসা এনে মাখিয়ে দাও আমাকে।
মাখামাখি করে।
এসো তার ভালোবাসা, তার স্পর্শ, তার গন্ধ নিয়ে।
যে আমার কেউ নয়।
সবুজ পাহাড়ের গায়ে,
নানা রঙে উজ্জ্বল বোগোনভেলিয়া!
ধাপে ধাপে উঠে গেছে পাহাড়।
নাম না জানা আশ্রিতা লতা।
বোগোনভেলিয়া বলে আমি আছি।
রূপের দুর্বার অকর্ষণে প্রজাপতি
ক্ষতবিক্ষত কাঁটায়।
লাল, নীল, গোলাপী, বেগুনি, কমলা, স্নিগ্ধ শুভ্রতা।
একের মাঝে একাকার অস্তিত্বের ভিন্ন ভিন্ন দর্শন।
দৃষ্টিসুখ,সৃষ্টিসুখের সাগরে ভাষমান পাহাড়ের পাদদেশে।
বাধা পেরিয়ে জয় করে নিতে।
নখে, দাঁতে, রক্তাক্ত!
তবু প্রেম চির জয়ী।
রূপের মায়ায়, যতদিন যৌবন।
বোগোনভেলিয়ার দর্শন স্বতন্ত্র।
পাকে পাকে জড়াবে ভালবাসায়,দুর্নিবার অকর্ষণে।
না বলা কথাগুলো,
না বোঝা ব্যথাগুলো,
না পাওয়া ইচ্ছেগুলো,
না শোনা শব্দগুলো,
জমাট মেঘের মত,
সেলোফোনের মোড়কে বুদবুদ জমে গুমোট।
বুদবুদ ভেঙে বৃষ্টি পড়ে কখনো কখনো
ভিজে যায় মরুভূমি।
সোঁদা গন্ধে বুক ভরে।
মাঝে মাঝে ভিজে যাওয়া বেশ ভালো।
প্রয়োজনে,অপ্রয়োজনে।
হয়তো কষ্ট হয় তবুও বুদবুদ ফাটে সরিয়ে সেলোফেন।
ঝর ঝর অবিরত।
আবার আকাশ সোনালী চাদরে।
ধীরে ধীরে শুকায় বুক,
তারপর তৃষিতা বুদবুদ আবার।
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..