ব্যক্তিগত গাছতলা

পৃথা রায় চৌধুরী
মুক্তগদ্য
Bengali
ব্যক্তিগত গাছতলা

সবে ৪ তারিখ জন্মদিন গেছে, তার দশ দিন পরেই পয়লা বৈশাখ… কী মজা! জন্মদিনে পাওয়া নতুন দুটো জামার একটাও পরা হয়নি। দাদু আর ঝন্নামাসি (ঝর্ণা মাসি, অর্থাৎ বড়ো মাসি) দিয়েছে তো। পরবোই বা কখন? সকাল থেকে স্কুল, তখন তো পুজোর সময় কেনা জামা পরেই গেছিলাম। সেদিন তো ইউনিফর্ম না পরে যাবার স্বাধীনতা থাকে। আর নতুন জামাগুলো পেলাম দুপুরে স্কুল থেকে ফিরে। কিন্তু তখন তো আর নতুন জামা পরার সময় নেই। তখন বাড়িসুদ্ধ সকলেই ব্যস্ত। তাই দাদুদের আনা নতুন জামা দুটো একটু দেখেই চান খাওয়া সেরে ইচ্ছে না থাকলেও ঘুমোতে হবে। হুঁহ! একটা দিনও যেন না ঘুমোলে চলবে না! বিকেলে ঘুম থেকে উঠে দেখি দাদু, মাসি ফিরে যাবার জন্য রেডি। ব্যাস এরপর তো সেই লোডশেডিঙয়ের মধ্যে ঘামতে ঘামতে পড়তে বসা। সে যাকগে, জামাগুলো পয়লা বৈশাখের দিন পরবো ভেবে ভেবেই খুশি খুশি থাকা। হ্যাঁ, এরকমটাই ছিল আমার সবকিছু পেরিয়ে আসা ছোটবেলায়। শিশু মনে এরকম আশাই থাকতো যতদিন না বেশ ভালো রকম পরিস্থিতি বুঝতে শিখেছি।

তর সইছে না করতে করতে পয়লা বৈশাখের সকালে ঘুম ভাঙত রোজকার মতোই বাবার ডাকে, আর মনে পড়ে যেতো, সেদিনও স্কুল খোলা! কারমেল কনভেন্টে পড়তাম, “গুড মর্নিং সিস্টার, গুড আফটারনুন মিস” স্কুলে। সেখানে মেরি ক্রিসমাস হতো, হ্যাপি নিউ ইয়ার হতো, কিন্তু পয়লা বৈশাখ হতো না। তার ওপর থাকতাম ধানবাদে, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ভরা বহুলাংশে অবাঙ্গালী ছাত্রী। সেদিন যে আমাদের পয়লা বৈশাখ, আমাদের মানে বাঙ্গালীদের বেশ একটা আনন্দ আনন্দ, পুজো পুজো দিন, তা কিন্তু বেশ বকবক করে ওদের জানাবার লোভ সামলাতে পারতাম না— “টুডে ইজ পয়লা বৈশাখ অফ বেঙ্গলিজ। পয়লা বৈশাখ ইজ নিউ ইয়ার্স ডে ফর আস।” ওরা শুনত, শুনে নিজেদের নিজেদের নিউ ইয়ার্স ডে সম্পর্কেও বলতো। জানতাম, ওদেরও পয়লা বৈশাখ হয়। সে যাই হোক, ইউনিফর্ম পরে কেটে যেতো পয়লা বৈশাখের সকাল। দুপুরে বাড়ি ফিরে দেখতাম বাড়ির সদর দরজা থেকে উঠোন, কোলাপ্সিবল গেট ছাড়িয়ে, ভেতরের লাল শান বাঁধানো লম্বা টানা বারান্দা জুড়ে জেঠিমার দেওয়া তাড়াহুড়োর আলপনা। বেশ বড়ো বড়ো সাদা সাদা নকশা বা ফুলপাতা ছবি, কোথাও বা মাছ, কোথাও বা মা লক্ষ্মীর পা। সেই কোন সকালে দেওয়া বলে সে সব শুকিয়ে গেছে, তাই তার ওপর পা দিয়ে ফেললেও তা ধেবড়ে যাবার ভয় নেই। তবু সেসব না মাড়িয়ে, খুব ধার ঘেঁষে ঘেঁষে আর ‘চু কিতকিত’ খেলার ভঙ্গীতে কোথাও কোথাও সেসব টপকে পার হতাম বারান্দা। কেমন যেন মাথার মধ্যে এই ধারণা ঢুকেছিল, এই সব আলপনায় পা দিতে নেই, এগুলোর ওপর দিয়ে শুধু ঠাকুরদেবতারা চলাফেরা করেন।

সেসব তো হল, যখন একসাথে সারা বাড়ির রান্নাবান্না হতো, তখন কিন্তু দুপুরে খাবার খেতে হতো ওই টানা বারান্দাতে বসেই। তখন ভাবতাম, আলপনাগুলো এঁটো হয়ে গেল, এবার ঠিক ঠাকুর পাপ দেবে। কিন্তু কী আর করা যাবে, যা নিয়ম, তাই তো করতে হবে। সারসার পাত পড়তো, বিভিন্ন আয়তনের কাঁসার থালাবাটি আর গ্লাসে আমরা খেতাম। সেদিনও একই নিয়ম। ব্যতিক্রম হয়তো আলাদা কোনও তরকারী হতো, যা আমি মোটেও খেতে চাইতাম না। আমি ছোটবেলায় বেশ অনেক কিছুই খেতে চাইতাম না। আমার খাবার পছন্দের তালিকার মধ্যে ছিল টোম্যাটো বা তেঁতুলের বা আমড়ার বা চালতার টক, আলু ভাজা, ডালের বড়া আর মাছের মুড়ো, যা ভাগ্যে জুটত কমই। এমনি মাছ খেতে সাংঘাতিক রকম অনীহা ছিল আমার। কারণ, বেশিরভাগ সময় অতো বড়ো সংসারের অতো সদস্যের মাছ ভেজে তবে ঝোল বা ঝাল করায় যে পরিশ্রম, তা করে উঠতে পারতো না জেঠিমা। ব্যাস, ঢালাও কাঁচা মাছের ঝাল, কাঁচা মাছের টক রান্না হতো আর কাঁচা মাছের যে কোনও রান্নায় আঁশটে গন্ধে আমার গা গুলিয়ে উঠত। অক তুলতে তুলতে খেতে হতো সেসব, নাহলে কপালে মায়ের চড়চাপড় নাচছে জানতাম। মাঝে মাঝে জেঠিমা গরাস তুলে দিতো, আম জাম লেবু বলে বলে, আবার মাঝে মাঝে মা খাইয়ে দিতো, চোখ রাঙ্গানি দিতে দিতে। পয়লা বৈশাখের দিন এই খাওয়া আরও বেশি মাত্রার অত্যাচারে পরিণত হতো। সেদিন হয়তো এঁচোড় বা থোড় মোচা রান্না হয়েছে, আর আমার সেই শুনে মনের দুঃখ চতুর্গুণ বেড়ে গেছে। কারণ রান্নাগুলো আমার মোটেও পছন্দের ছিল না তখন। আর আমি খেতে না চাইলেই জেঠিমা জানতো ঠিক কী করতে হবে। অত্যন্ত দুঃখী মুখ করে এসে বলতো, “এত কষ্ট করে ঘি গরম মশলা দিয়ে করলাম, তুই একটুও খাবি না!” ব্যাস, আমি আবার কারও দুঃখ দেখতে পারি না সেই কোন ছোটবেলা থেকেই, জেঠিমার তো নয়ই। তাই খেয়েই নিতাম, ঝাল লাগলে গেলাস গেলাস জলের সাথে গিলে নিতাম সব। বেশ বড়ো বয়েস পর্যন্ত নিজে হাতে খেতাম না বলে মনে আছে, ন’দা খুব পেছনে লাগতো। ন’দা মানে আমার মেজোজেঠুর ছেলে, আমার জেঠতুতো দাদা। আমি অবশ্য চুপটি করে সেসব হজম করে নিতাম, কারণ দাদাদিদিদের মুখে মুখে উত্তর করতে নেই, এটাই শেখানো হয়েছিলো।

ফিরি পয়লা বৈশাখে, মা চাকরি আর সংসারের চাপের মধ্যেও নিজের মনে গুনগুন করতো “মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা…”। খুব ছোটবেলা গানের অতো মানে তো বুঝতাম না, তবু চোখের সামনে ভাসতো স্কুলের গুলমোহর গাছের তলা জুড়ে হলুদ ফুলে ছেয়ে থাকা সিমেন্ট বাঁধানো বসার জায়গা, কানে বেজে উঠত যাই যাই বসন্তের কোকিলের ব্যস্ত ডাকাডাকি, আর দেখতে পেতাম কড়া করে মাড় দেওয়া মায়ের তাঁতের শাড়ির আঁচল সরিয়ে নতুন বছর উঁকি মেরে অপেক্ষা করছে ওই ওদিকে পেছনের উঠোনের বিশাল বিশাল কলাপাতা সরিয়ে সূর্য ওঠার। অদ্ভুত লাগতো, কারমেল কনভেন্টে পড়তাম, স্বাধীনতা দিবসে আর গণতন্ত্র দিবসে সবাই মিলে গাইতাম “জন গন মন”, কিন্তু আমরা কখনও গাইতাম না “এসো হে বৈশাখ”, কখনও অন্য বন্ধুদের নতুন বছরের সময়েও তাদের শুভেচ্ছা জানাতাম না। শুধু সবাই সবাইকে হ্যাপি নিউ ইয়ার বলতাম শীতের ছুটির পরে স্কুল খুললে।

বিকেল বেলা মা সাজুগুজু করিয়ে দিতো নতুন জামা পরিয়ে, আর আমি বাবার সাথে বেরিয়ে পড়তাম দোকানে দোকানে হালখাতার নেমন্তন্ন রক্ষা করতে। বাবার স্কুটারের পেছনের সিটে আমি উঠে বসতাম, তারপর ভোঁওওওও করে চলে যেতাম সেই দারুণ অভিযানে। ভাই একটু বড়ো হবার পরে অবশ্য আমরা দুই ভাইবোনই যেতাম বাবার সাথে। এখন ভাবতে বসলে মনে হয়, ইস! কেমন হ্যাংলার মতো আমরা যেতাম, তাই না? আবার পরক্ষণেই মনে পড়ে, কই কেউ তো বিরক্ত হতো না! আর সমস্ত দোকানে দোকানে এই হালখাতার নিমন্ত্রিতদের প্রচুর ভিড় থাকতো। আবার এটাও অবাক হয়ে দেখতাম, বাবা যে যে দোকানের সামনে স্কুটার থামাত, সবাই হইহই করে উঠত… নিমন্ত্রিতরাও হইহই করে বাবাকে ডাক দিতো, “আসুন আসুন পঙ্কজ দা! বৌদিকে আনলেন না কেন?” আমার আর ভাইয়েরও টপাটপ বসার জায়গা হয়ে যেতো। কাঁচের বোতলে করে চলে আসতো ফ্যান্টা বা কোকোকোলা (কোকা কোলাকে আমরা সেভাবেই উচ্চারণ করতাম তখন) বা লিমকা। আহ, সে কি দারুণ স্বাদ! যদিও পুরো এক বোতল কখনওই শেষ করে উঠতে পারতাম না আমি আর ভাই। একটা দোকানে যদি এই ঠাণ্ডা পানীয় জুটত, তাহলে বাবা আর বাকি দোকানগুলোয় কখনওই সেসব খেতে দিতো না। আমার আর ভাইয়ের, দুজনেরই ছিল টনসিলের ধাত। এরপর আমাদের সবার হাতে হাতে চলে আসতো মিষ্টির প্যাকেট আর নতুন বছরের দেয়াল ক্যালেন্ডার। প্রায় চব্বিশ পঁচিশটা প্যাকেট আর একই সংখ্যক ক্যালেন্ডার নিয়ে বাড়ি ফিরতাম যখন, দেখতাম হয়তো ঘোর অন্ধকারে ছেয়ে আছে সব… লোডশেডিঙয়ের হাত থেকে রেহাই তো সেদিনও হতো না। এরপর একে একে ফিরত জেঠুকাকুরা, আরও কিছু কিছু মিষ্টির প্যাকেট আর ক্যালেন্ডার সমেত। এতগুলো প্যাকেটের সব মিষ্টি, শিঙ্গাড়া, কচুরি, যাই থাকতো, বাড়ির সবার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হতো। সব ক্যালেন্ডারেই প্রায় লক্ষ্মী-গণেশ, মা কালী, রাধাকৃষ্ণ, এইসব থাকতো। ভেবে ভেবে বার করতাম কোন ক্যালেন্ডারটা কোথায় ঝোলানো যেতে পারে। সেসব ভাবাই সার হতো, গোটা দশেক ক্যালেন্ডার ওই অতো বড়ো বাড়িটার বিভিন্ন কামরায় বড়োদের ইচ্ছে মতো ঝুলত। আমরা ছোটরা শুধু আসতে যেতে “নমো নমো” করতাম হাতজোড় করে।

এই এত এত কথা বললাম, একটা কথা খুব মনে পড়ে, সেটা না বলেই পারছি না। যদিও খুবই সামান্য ঘটনা, তবু বলতে ইচ্ছে করলো খুব। ধানবাদে হাট থেকে একবার মা আমাকে সাদা টেপফ্রকের সাথে একখানা সবুজ রঙের টেপফ্রক কিনে দিয়েছিলো। এক পয়লা বৈশাখে স্কুল থেকে ফেরার পর মা সেই নতুন সবুজ টেপফ্রকটা পরতে দিলো। খুবই সস্তা ছিটের ছিল সেটা, অথচ আমার কাছে খুবই প্রিয় ছিল সেটা। দেশের বাড়ি, না গ্রাম থেকে আসা, আর্থিক দিক থেকে দুর্বল এক আত্মীয়ের মেয়েকে মা আমার ওই টেপফ্রকটা, সাথে আমার জন্মদিনে পাওয়া একবারও না পরা নতুন জন্মদিনের জামাটা দিয়ে দিয়েছিল। আমি যথারীতি আমার প্রিয় সবুজ টেপফ্রক বেশ কিছুদিন ধরে না পেয়ে মাকে জিজ্ঞেস করায় মা বললো, অমুককে দিয়েছে, সে তো আমার বোন হয়, তাই আমার একটা কিছু দিলে এমন কিছু ক্ষতি নেই… আরও কতো কিছু বলেছিল মা সেদিন। জেনেছিলাম নতুন জামাটার কথাও। কিচ্ছুটি বললাম না। মুখ হাঁড়ি করে ভাত খেলাম, তারপর ঘুমোতে গেলাম। বাবা মুখ হাঁড়ি কেন জিজ্ঞেস করায় আর নিজেকে সামলাতে পারিনি। হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেছিলাম… নাহ, জন্মদিনের নতুন দামী জামার শোকে নয়, আমার সেই সস্তা ছিটের টেপফ্রকের জন্য। বাবা সন্ধ্যেবেলা দোকানে নিয়ে গিয়ে আমাকে একটা লাল চেক শার্ট আর নীল নাইলনের হাফপ্যান্ট কিনে দিলো। বলল, আবার ওরকম সবুজ টেপফ্রক পাওয়া গেলেই কিনে দেবে। ব্যাস, লক্ষ্মী মেয়ে আমি, শোক ভুলে গেলাম। বাবা বলেছে তো, তাহলে সব ঠিক আছে।

ধানবাদে সুপ্রাচীন লিন্ডসে ক্লাবে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন হতো। করতেন তখনকার বাঙালিরা। সেখানে আবৃত্তি করতাম দিব্যি “মনে করো যেন বিদেশ ঘুরে, মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে” বা “তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে”। ছোট ছোট করে ছেলেদের মতো কাটা চুল, শার্ট প্যান্ট আর পাজামাপাঞ্জাবিতে আমাকে দেখে তখন কেউ কেউ অবাক হয়ে বাবাকে জিজ্ঞেস করতো, “পঙ্কজ দা, আপনার তো মেয়ে ছিল না? ছেলেটা কে? আপনার মতোই তো দেখতে!” বেশির ভাগ কাকুরা বা জেঠুরা, যারা জানতো, তারা হেসে উঠে বলতো, “আরে, এই তো পংকজের মেয়ে। প্যান্টশার্ট পরে থাকে বেশিরভাগ সময়।” সেই প্যান্ট শার্ট ছোট্ট মেয়েটা ধীরে ধীরে বড়ো হয়ে যেতে যেতে আর হালখাতার নেমন্তন্নে যেতে চাইতাম না, কেমন যেন লজ্জা করতো। ভাই যেতো বাবার সাথে আর সব দোকানে গিয়ে বলে দিতো, “আমার দিদির প্যাকেট আর ক্যালেন্ডার দেবে কিন্তু, দিদি আসেনি!” আমি এগুলো শুনে ওকে বকতাম, তাতে ওর ভারি বয়েই যেতো। পরের বছর আবার সেই করতো। এরপর তো আমার আর ভাইয়ের, কারোরই হালখাতা যাবার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেল। ভাই পড়াশোনা করতে আর তারপর চাকরি নিয়ে বাইরে চলে গেল, আমি বিয়ে হয়ে ধানবাদ ছাড়লাম। দিল্লি, হায়দ্রাবাদ হয়ে কলকাতায় স্থিতি পেয়ে বাঙ্গালিয়ানা মোড়া নববর্ষ আসে, নিজেদের পরিবারের সাথে নতুন বছরকে স্বাগত জানাই।

পয়লা বৈশাখ, নতুন জামা, সকাল সকাল স্নান, মন্দিরে মাথা ছুঁইয়ে আসা, আর মায়ের মতো আমার গুনগুনিয়ে ওঠা

“তাপসনিঃশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে

বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক

যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে যাওয়া গীতি

অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক।”

মনের মাঝে এক বাঁধানো গাছতলা ছেয়ে যায় হলুদ গুলমোহরের ফুলে, জেঠিমার আঁকা তাড়াহুড়োর আলপনা ছেয়ে যায় মনের টানা বারান্দায় আর চার দশক আগের এক আমগাছের পাতার আড়াল থেকে লুকিয়ে থাকা কুহুতান ভেসে আসে। আমার সবুজ ছিটের টেপফ্রক আসে, বাবা বলেছিলো, আবার পাওয়া গেলে আবার কিনে দেবে। চলো বাবা, তোমাকেও নিয়ে যাবো মায়ের সাথে বিদেশ ঘুরে অনেক দূরে।

“এসো হে বৈশাখ, এসো এসো…”

পৃথা রায় চৌধুরী। কবি, লেখক ও পরিবেশ বিজ্ঞানী। জন্মস্থান ভারতবর্ষের ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ শহরে। সাহিত্য চর্চা শুরু, ছোটবেলা স্কুলে থাকতেই। প্রাণীবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ও পরিবেশ বিজ্ঞানে ডক্টরেট। এপার ওপার বাংলার বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা ও অনলাইন ওয়েবম্যাগ ও ব্লগে নিয়মিত লেখালিখি করেন ২০১২ সাল...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ