প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
দূরত্ব আঁকা হয়নি আমাদের খুব একটা
পূর্বের মতো হাওয়ারা দক্ষিণগামী
নতজানু গল্পের শেষ অধ্যায়… জাগ্রত…
ভাঙাগড়ার গল্পে লেখা বাকিটুকুন
অদৃশ্যমান সুতোয় ছিঁড়ছে সম্পর্ক,
নাটাইহীন ঘুড়ি বাতাসে ভাসে,
আড়াল হয় চোখের অথবা মনের।
ভাষারা মৌন, কাঙ্ক্ষিত শব্দের কাছে
নতজানু হয়ে বসে আছে বাদ আছর,
বিকেলের কণে দেখা রোদ, মুখটিও
মূকাভিনেতার মতো নিশ্চল…
সংকেত আসে, বদ হাওয়া বয়,
কালের স্লোগানে মিশে যায় নাম
অন্ধকার জাপটে ধরে আঙুল
অজস্র লোক দেখানো আয়োজনে
প্রলেতারিয়া হয়ে মিশে যাই
তোমার চাকচিক্যের লালনীল শহরে
শূন্য থেকে শুরু, এরপর নীরবতা—
নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত আছি গাঢ় চশমার লেন্সে।
কে যেন অংক কষে, দরজার ও’পাশে
সময় ৭:৩০, ঘড়ির কাঁটায় টিকটিক
এপাশটায় দুরুদুরু রসায়ন,
বিক্রিয়া ভুলে যাওয়া মুহূর্তযাপন।
ধ্রুব সত্য হয়ে ফিরে আসে ত্রিকোণমিতি…
কণ্ঠস্বর ব্যতীত কিছুই আসছে না ভেসে,
মুখ মনে আছে, মানুষটি কিছুটা আবছায়া
পুরো প্যাকেজ মিলে নি, ভুল সূত্রের অংক…
কিছুটা হারিয়ে ফেলা গল্পের মতো—
অকারণেই ঢুকে পড়ি অন্যদের বেডরুমে,
অধিকারহীন চর্চায় দুর্নাম কামিয়েছি খুব
দীর্ঘ মৌনসময় দৌড়ে যায় আঁধার কাটিয়ে
না বলা প্রেমটিও কিশোর এখন
দেখতে দেখতে দিয়েছে অষ্টমে পা,
তারপর বেশি গল্প জমি নি দরজার ওপাশে।
নিজেকে ডুবিয়ে রাখছি ক্ল্যাসিক নভেলে,
দহন বুকে হাসি দিয়ে লিখছি কবিতা
প্রহসন শেষে দৌড়ে যায় দুপুর যাপনে,
চৈত্র সেলের অফারে হারিয়ে যাচ্ছে সব
কোথাও রেখে এসেছি জীবন
কোথাও লিপিবদ্ধ নেই, ভালোবাসা।
একদিন অংক মিলবে,
রসায়নের বিক্রিয়াও কাজ করবে,
ত্রিকোণমিতি আয়ত্ব হয়ে যাবে
বাকী থাকে দরজার ও’পাশটা
সেটি মিলবার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে সময়।
“যুবরাজ উচ্ছন্নে গেলে হয় না ইমরুল কায়েস”— আরব্য প্রবাদ
উচ্ছন্নে গেছি। নিজেকে আরো একবার প্রমাণ করেছি মেঘদুপুরের পিয়ন। আলোকিত হবার ভয়, সর্বদা তাড়া করে ফিরছে অচেনা পথে, আলিঙ্গন ভুলে যাওয়া এক রমণীর কাছে কিছু কথা গোপন আছে। নিজেকে ব্রাত্য করেছি ভদ্রলোকের সমিতি থেকে। প্লাস্টিক হাসি হাসছি না, মুখের উপর বলে দিচ্ছি নিগুঢ় সত্য।
কোনো রাখটাখ নেই, ঢাকাঢাকি নেই। চোরকে চোর বলছি, দূর্নীতিবাজকে দূর্নীতিবাজ। (যদিও পাড়ার মাস্তানদের দেখলেই সালাম দিই, ঘাড়ের উপর মাথার মায়ায়।) প্রেমিকাকে সময় দিচ্ছি না। এড়িয়ে যাচ্ছি ইচ্ছে করে৷ চাইছি সে ভুলে যাক অংকের খাতায় আঁকা দৃশ্যগুলো, দেয়ালে ঝুলে থাকা বর্ণমালার যোগ অংকগুলো।
মোহ ভুলে যাচ্ছে সবাই। আঘাত ভুলে যাচ্ছে। কবিতা দূর হচ্ছে পাঠকের কাছ থেকে৷ বিনম্রতার ফাঁক গলে চাপা ঔদ্ধত্য হেসে উঠছে। আগুন বুকে মাটির কবিতা লিখতো যে কবি তাকেও ফিরিয়ে দিয়েছে ভালোবাসার বণিক। প্রবেশদ্বারে ঝুলিয়ে রেখেছে ভালোবাসার সের দর।
আমি পরিব্রাজক চোখে দেখছিলাম সবকিছু। প্রাচুর্যতার আড়ালে আমার মাঝে গরিবের বাস। মিহিদানার মতো থোকায় থোকায় আটকে আছে প্রণয় বৃক্ষ। শীতের সকালে ঝরে গেছে তার ডালপালা। খবর রটে গেছে, গাছটি মরে গেলে, নামবে অশনি… তারপর, আবির্ভাবের পূর্বেই মুছে যাবে পৃথিবীর হিসাবনিকাশ।
শুনে রেখো কবিতার খাতায় আমি যা লিখেছি তার পুরোটাই মিথ্যে, আমি স্বপ্ন লিখতে চেয়েছি, অথচ ভুলে গেছি বাস্তব কত কঠিন। আমি বীজ বুনতে গিয়ে বুঝেছি উচ্ছন্নেই গেছি, কবিতা আমার লেখা হয়ে ওঠে নি আজো।
রূপান্তর লিখে রাখছি। কোথাও আঘাত বা
কোথাও লুকোচুরি খেলায় মুহূর্ত যাপন,
দিনের ক্যানভাসে সাজানো মলিন গল্পের পশরা
ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারি অপরিপক্বের আস্ফালন।
ক্যানভাসে জমাটবদ্ধ রঙতুলির কিছু আঁচড়
প্রণয়ের গভীর ব্যথা নিয়ে ঘুমোয় যে সূর্য
তার আড়ালে জমে থাকে প্রবঞ্চক মন
মলিন জামায় লেগে আছে অবাঞ্চিত দাগ।
উড়ে যাওয়ার অনেকগুলো কথা আছে,
সুর থেকে বিচ্যুত হলেই ডাকে নির্বাসন
বিভ্রান্ত সময় দূরবীনের লেন্সে ধরে রাখে
কিছু সময়, সমুদ্র বাজে বিষাদের সাইরেনে।
দূরপাল্লায় ছুটে যায় অনাগত সময়
কাল্পনিক ক্যানভাসে উড়ে যায় বিবর্ণ ঋণ,
আগুনের সাথে পাতানো সন্ধিতে পুড়ছে
গেরস্থালী মন, প্রান্তিক সময়ে দূরের
ক্যানভাসে জ্বলে ওঠে, বাতিঘরের শূন্যতায়
ঢাকা পড়ে তোমার চোখ নিঃসীম অন্ধকারে।
ওখানটায় অনেক মেঘ জমেছে… নীল আকাশে
চোখ রাখছি না এখন আর। দৃশ্যমান সময়
অবচেতনে পেরিয়ে যায়— দূরত্বের দিনলিপিতে
কিছু মুখস্থ সময়, প্রতিবিম্বের আবরণে ভুল
পথে ডাকে। কাল্পনিক সময়ের ঘেরাটোপে
আটকে পড়েছি সবাই একই বৃত্তে…
আগুন বুকে পুষে হয়েছি ফেরিওয়ালা
শব্দকে আঘাত করছি অযথা, কিছু পাবো না
জেনেও নতজানু হয়ে আছি— নীরবতাকে
এঁকে নিচ্ছি, মায়াময় কালিতে ঝাপসা শব্দ
শোনা যায় কোথাও— সুতীব্র আহাজারি…
মৌনকে উল্টে দিয়েই ফিরে আসি আবার।
এখানটায় চমক আছে৷ আগুনের বিনির্মাণে
কবিতার ব্যবচ্ছেদ করছি, আড়ম্বর পরিবেশকে
ছুটি দিলে প্রকাশ্যে আসে গতদিনের অভিমান
এখানে কেবল বিড়বিড় শব্দ শোনা যায়—
উৎপত্তিস্থল আজও স্পষ্ট নয় একদম—
দূরত্বের পৃথিবী থেকে ভেসে আসে অন্যরকম বার্তা
মলিন পৃথিবী হেসে ওঠে ভাঙাগড়ার গল্পে
দূরত্ব মাপতে মাপতে ক্লান্ত ভুল এককে—
আগুন পোষা হয় প্রেমিকের বুকে—
ভাঙাগড়ার গল্প লিখছি বছরের জটিল অংকে।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..