ব্রিগেড, শহীদ ইত্যাদি সার্কাস

সোনালী চক্রবর্তী
কবিতা
Bengali
ব্রিগেড, শহীদ ইত্যাদি সার্কাস

নীতাদের কথা

তুমি ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দেখেছো?
শেষ দৃশ্য?
আমি পুনরাধুনিক কা কথা,
তিন পুরুষ আগে ছেড়ে আসা মাটির অর্ধ-সত্য গন্ধে,
পানকৌড়ি যাপন পেরোতে পেরোতে,
এখনও অস্কারের পাঠেই পৌঁছাইনি,
সাদা-কালো পর্দার ঋতুতে শিল্পের যজ্ঞ মানে আমার কাছে আজও ঋত্বিকবাবু।
আচ্ছা, শোনো,
আমি এখন ভালো মেয়ে হয়ে গেছি,
‘সেফ’ যাকে বলো তোমরা।
জেহাদি আগুন চোখ,প্রতিবাদ দম্ভের তোপ,
এসব তো সাংসারিক অশ্লীলতা।
লক্ষী মেয়েরা হবে
শীতলপাটির পাশে ঘটি চাপা দেওয়া,
শান্ত লাল ভাঁজে ভেজা গামছাটি যেন।
জন্মের উদ্দেশ্য,
অতিরিক্ত জলজ বিষয় বুকে শুষে নেওয়া।
ভার্জিনিয়ার সুরে চিৎকার চলবেনা,
“এন্ড গিভিং গিভিং গিভিং,আই আম ডায়েড”,
শতচ্ছিন্ন হয়ে কখন হারিয়ে যাবে,
কোন এপিটাফ আসবে না।
অথচ উপাদানে ধাতু থাকে কিছুজনের,
মস্তিস্কে মেধা,
সামান্য উত্তাপে সংঘর্ষের ধর্ম থাকে,
নাহলেও বিষাদ প্রবণতা।
তার চেয়ে ভালো বরং,
নি:শর্ত আত্মসমর্পণ।
কীসের প্রতিরোধ?
যুদ্ধ বলে কী হয় আসলে?
ঐন্দ্রজালিক পদ্ধতিতে সভ্যতার ভারসাম্য রক্ষা।
পরিণাম নির্ধারিত না থাকলে,
খেলা শুরুর সঙ্কেত কোন এরেনাতেই বাজেনা।

ব্রিগেড,শহীদ ইত্যাদি সার্কাস

কোনও কণ্ঠই জানেনা শ্লোগানের আড়ালের খেলা অন্য ময়দানে হয়, ফলত: কেউ অমর উদ্ধৃতি আর কেউ অকারণ ফিসফাস। এই মুহুর্তের গাড়িচাপায় যে লোকটি মৃত শুয়ে দেখছে রাজপথ ও রবিবার, তার রক্ত আর ঘিলুর পাশে সদ্যকেনা জীবন্ত শাকসব্জিতে উজ্জ্বল রোদ্দুরের বিলাস। বিলীন অবধি যে কোন সৃষ্টির অস্তিত্ব এরকমই হাস্যকর ভ্রম। মরণ লগ্নে ঝুপ করে ধ্বসে পড়ার আগে নদী আর মাটির সংসারে দীর্ঘ ফাটলের বংশবিস্তার। ভালোবাসা বোঝে তার মায়ার ভবিতব্য অসহ্য শৃঙ্ক্ষল আকাশের পায়? কবিতা বোঝে নির্দিষ্ট সময়ের পর কীভাবে প্রতি কবির কালির রঙ বদলে যায়? কেউ কিছু বোঝেনা মুছে যাওয়ার আগে। উড়ন্ত কাকের সংখ্যা জানায় মফস্বলের কষে শহুরে গ্যঁজলার সাম্রাজ্যবাদ। প্রতিটি গুপ্তহত্যা সাময়িক গুজব, বিনোদনের ঠোঙায় বাসি বিবাদ-বিসম্বাদ।

সোনালী চক্রবর্তী। কবি, অনুবাদক ও সম্পাদক। জন্ম ভারতের বারাণসীর পীতাম্বর পুরায় আশির দশকের শেষ ভাগের মাঘী পূর্ণিমায়, সুনীল চন্দ্র চক্রবর্তী ও সবিতা চক্রবর্তীর একমাত্র সন্তান। বেড়ে ওঠা উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি, দার্জিলিং ও কার্শিয়াং মিলিয়ে। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। ২০১৬ সালের...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..