দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
কতটা বিষাদ গহন হলে বিষণ্ণ বলা যায়?
বিষাদপ্রতিমা তুমি, অরণি জ্বালাতেই পারো
যদিও অনটনে রেখেছি সবুজসম্ভার
তোমাকে ঘিরে কয়েক অযুত পঙ্ক্তিযাপন
অনাদি অনন্তকাল
ইন্দ্রজাল ছুঁয়ে মায়া যেখানে যতটুকু
অথচ আদমসুমারি অসহ্য হলেই সৃষ্টির বিপরীতে তুমি
মনুজাত নির্মাণে আস্থা রাখোনি কোনোদিন
নিজেরই লালিত জীব অণু দিয়ে গড়ে
অস্ত্রের নির্মাণ
যতবার হেরেছো নিজহাতে গড়া চৈতন্যের কাছে
ততবার নতুন মিউটেশন
আঁচলের ঘেরে বিশল্যকরণী রেখেছ কোথাও
সবুজগ্রাসী সেপিয়ান্স খুঁজে খুঁজে হয়রান
অভিযোগ তেমন ছিল না
যদি না প্রতিপক্ষ বেছে নিতে প্রেসবায়োপিক প্রজন্ম
বিদায়বার্তা কবেই দিয়েছে ডুয়েলইঞ্জিন ড্রইংরুম
এখন শুধু বিজনবাস নিজের সঙ্গে নিজে
কতটুকুই বা অক্সিজেন শূন্যপুরাণ গাঁথা ফুসফুসে
ওটুকুও কেড়ে নেবে এক নিঃশ্বাসে?
আর একবার ভেবে দেখো হে ঈশ্বরী
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..