প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
এটুকু ইঙ্গিত তো বুঝতেই পারো।
রোজ রোজ তোমার সঙ্গে-
আমি এক লাইন করে কথা বলি,
তুমি অনেক পরে ফিরিয়ে দাও, অর্ধেক।
আরো কিছু লাইনের আশা ছিল আমার।
এটুকু ইঙ্গিত তো বুঝতেই পারো।
সেদিন, তোমার পাশে পাশে হাঁটছিলাম।
সাধারণত মানুষ যেমন হাঁটে, তেমন নয়।
জোরে জোরে পা ফেলে হাঁটছিলাম।
যাতে করে, নুপুরের ঝুম ঝুম শুনে বলো-
কি হচ্ছে এসব? আস্তে।
এটুকু ইঙ্গিত তো বুঝতেই পারো।
তোমার নাম ধরে তোমাকে আর,
‘রাজাদা’ বলি না।
অনেক বেশি লজ্জা পাই এখন।
আমি জানতেও পারি না,
এ আড়ষ্টতা কিসের?
এটুকু ইঙ্গিত তো বুঝতেই পারো।
মাঝে মাঝে, কাজে অকাজে,
তোমার সামনে ফিক্ করে হেসে উঠি।
এদিক ওদিক তাকিয়ে-
আবার নিজেই নিজেকে স্বাভাবিক করি।
সে তো, তুমি আমার মুখের দিকে
তাকাবে বলেই।
এটুকু ইঙ্গিত তো বুঝতেই পারো।
কথা বলার ফাঁকে ফাঁকে, মাথা ঝুঁকিয়ে-
কী! দেখছিলাম নিজেও জানিনা।
শুধু জানি-
বার বার চুলগুলো
খুলে খুলে এসে মুখ ঢেকে দেবে।
আর তুমি নরম হাতে চুল সরিয়ে,
আমার মুখটা তুলে দেখবে।
এটুকু ইঙ্গিত তো বুঝতেই পারো।
সেদিন শুনশান দুপুরে-
আরো কিছু শুনবো বলে, বসে ছিলাম।
আরো কিছুক্ষণ।
তোমার সবকিছু, লিখে ফেলতে চেয়েছিলাম।
প্রতিভার রাস্তায় ,
প্রতিভার কথাটা বড় ধাক্কা দিল মনে।
–“আমি মরে গেলে বুঝবে কি হারালাম”।
কত অমূল্যরতন ‘মান’ পায় না।
এটা, গুণীর প্রতিভা হত্যা।
গুনের সাথে গুণীকে হত্যা।
এড়িয়ে যাওয়া, হত্যার সামিল।
পরিচিতির জন্য, অবিরত শাণিত
হতে হতে গুণীর –চোখ খেয়ে যায়, মন খেয়ে যায়,স্মৃতি খেয়ে যায়,
শরীর খেয়ে যায় নিষিদ্ধ মনলিপি।
তবু, ক্ষতি বুঝে নিতে,
গুণী নোঙর ফেলেনা কখনো।
অমূল্যরতন পড়ে থাকে- ক্ষয়িত নুড়ি হয়ে।
খোঁজে না কেউ,
না খোঁজার যন্ত্রণা কুরে কুরে-
পড়ে থাকে বাতিল লোহালক্করের মতো
নুড়ির, আমি’টা।
বেলাতেই, বেলা ফুরিয়ে আসে।
মন, অবিরত ভিজে থাকে, এক-পশলায়।
‘এ সৈনিক’ আগে বোঝে নি ‘এ দৈনিক’
যোদ্ধা, শুধু চায় —
দরজা খুলে কেউ জিজ্ঞাসা করুক-
তোমার চোখ এতো লাল কেন?
রোদ আর বারুদে মিশে গিয়ে
সদাই পুড়ছে ব্যক্তিগত আলো।
তবু, এ মরশুম কান্নার।
কখনো বা, আবেগ বাতিল সূচির সঙ্গে গাঁথতে চায় আগমনী সুতো।
তাতে, গুঞ্জন পুরু হয়।
ইচ্ছে যখন পর, তখন অস্থিরতা আপন।
তাই মন, এখন আর ছোঁয় না কিছু।
ছোঁয়াটা যে ফিরতি পথিক।
শুভ মহরৎ ভেঙে গিয়ে,
ধীরে বওয়া ক্ষয়িত, তাই বলে ওঠে —
“আমি মরে গেলে বুঝবে কি হারালাম।”
ভালোবেসে কিছু প্রত্যাশা করা ভুল,
জল ভরা চোখ দেখতে পায় না কুল।
রোজগার নিয়ে ফিরছিল বাসু ঘরে,
পাশ দেওয়ার স্বপ্ন, কবেই গিয়েছে মরে।
ওপাড়ার তপুকে ডেকে নিয়ে গেল কারা,
খুঁজে পাওয়া গেল, শুধু দিলনা সারা।
চোখের সামনে দেখছি বিশাল মূর্তি,
গজ গজ করে মনের ভেতর স্ফূর্তি।
স্বাধীন হয়েছি বলতে লাগে আলো,
পরাধীনতায় মনটা তবুও কালো।
হেঁটে হেঁটে আমি ঐ পথ ধরে যাব,
বাবা বলেছিল তোর হাতের রান্না খাব।
অকাল পড়েছে ‘সত্যি কথা’ বড়,
প্রেমিক তুমি প্রেমিকার হাত ধরো।
বিশ্বাস নেই তবু যেন ভালোবাসি,
মনে যাই থাক মুখে একমুখ হাসি।
জন্মের পর প্রথম নিঃশ্বাসে বড় কষ্ট,
প্রতিবাদী মুখ বলে দেয় কথা স্পষ্ট।
লেনদেনের হিসাব করতে করতে,
নিতে আর দিতে বেলা শেষ হয়।
ছায়ার মধ্যে ঘুরতে ঘুরতে,
হা রোদ্দুর! হা রোদ্দুর!
করে, শুধু ঘোরা হয়।
কি পেলাম! কি পেলাম!
ভোঁতা হর্ণ বাজাতে বাজাতে-
জীবনগাড়ি পাশ হয়।
মর্নিংওয়াক সেরে, চায়ের দোকানে-
পা উঁচু করে দেখি-
জুতো টা, কতটা, ক্ষইলো।
কখনো বা অন্যকে বলি- “আর কদিন?
সময় তো হয়ে এলো।
নিয়ম মতো চলো, নইলে মরবে।”
সব দেখেশুনে, অপেক্ষা করে থাকি।
ভাবি- আমার জন্য সবকিছু ভালো হবে।
মনে মনে কপালে হাত ঠেকিয়ে বলি,
-তুমি কি আমাকে শেষপাতে
পরমান্ন দেবে না, ঈশ্বর!
কেবল ‘ব্যক্তিগত’ খুঁজি,
‘ব্যক্তিগত আলো’ খুঁজি না।
যে আলো –
যে কোনো ‘সাইরেন’ রুখে দিতে পারে।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..