প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
একটা সাদা কাগজের ওপর অভিমান আঁকতে
কয়েক সেকেন্ড মাত্র, তারপর
ছবি হারানো আর জলকে ঝাপসা করার খেলা
দুচোখ জুড়ে আফসোস মাখতে মাখতে
নদীগুলো কখন পাথর হয়ে যায় কেউ জানেনা
একটা দেশলাই কাঠি বানাতে কত সময়
কিন্তু জ্বলতে?
বুকের ছাইগুলো এমনি ঝরে যায়
পোড়া মাথা নিয়ে বেঁচে থাকে সময়
মৃত দিনকাল বয়ে চলে সমুদ্র পর্যন্ত
আমি সেই গাছটাই খুঁজছি
যা দেশলাই বানানোর আগে
নিজেকে জ্বালিয়ে বারুদ করে দেবে
আর অভিমান আঁকা কাগজের বিস্ফোরণে
পাথর ভেঙে আবার নদী বইবে।
রোজ সন্ধ্যে নামার পর
অন্ধকার হাঁটতে থাকে রেললাইন ধরে
ভূতগাছের পাশে মেছো বাতাস
টুপি খুলে জিরিয়ে নেয় একটুখানি
আলো ছুটে আসে বিন্দু বিন্দু
মাঠঘাট পেরিয়ে মাইলখানেক
আমি কখনো ট্রেনে বসে
কখনও বা প্ল্যাটফর্ম হকারের সাথে
নিজেকে অন্ধকার করে তুলি
যদি কেউ আধখোলা চুলে বিনুনি বাঁধতে
আমায় ডেকে ফেলে ভুল করে
ধূলো ঘাসজন্মের পর বেহুঁশ উঁকি
আলগা হৃদয় জুড়তে জুড়তে রাত গভীর
ঘুমন্ত মাটিতে শেকড় আটকে বাঁচার চেষ্টা
এটুকুই পারি কেবল।
দিনের আলো ঢাকা আকাশের নীচে
ঘাসজন্মের পাশে এসে দাঁড়ায় নীল তারারা।
পাশাপাশি হাঁটছি দুজনে
হয়তো চিনি, নাহয় এড়িয়ে যাবো বলে
সংকোচে শব্দ ছুঁড়ে দিই নক্ষত্র আকাশে
হাত ধরতে চাও নাকি আগুন জ্বালতে
কিছু বোঝার আগেই
অবুঝ পথ ছুটে চলে একধারা
সাগর কিংবা নদীর জলে নয়
আমার ভাললাগা থাকুক বারান্দা বাতাসে
জানি, মাটির চোখে জীবন কখনো মৃত্যু আঁকতে পারেনা
রেলিং-এ ঝুঁকতে কেবল ভাবনাটাই অস্থির
নীচের মায়ায় বুকপকেটে টান তো পড়ে
তা বলে ঘুমচোখে আচমকা বাইরে এসে
তোমায় জড়িয়ে ধরে খুঁজবো শিশিরের সংলাপ
তুমি নাটক লিখবে না চরিত্র সাজাবে
ভগবান হবে নাকি রোদপোড়া বাসন
সে তো একটা আলপিন আলাপ
বিকেল জুড়ে কেবল করুণ স্পর্ধা
দুহাতে জেগে থাকে গ্রহান্তরে
পাশাপাশি চলাও একটা পাওয়া
বুকে হাত না দিলেও যেমন বোঝা যায়
হৃদয়টা কারোর অপেক্ষায় থেমে যাবে না।
ঢেলেছি তোমার কাছে নতজানু স্বর
দু-চোখে দিয়েছো শুধু নির্বাক অক্ষর
পরম আকাশ জুড়ে নীল মোহমায়া
আদর দিয়েছ বুকে শান্ত বট-ছায়া
ঘুরছে সকাল আলো মাঝরাত বনে
যখন এসেছো কাছে ধূপছায়া মনে
পরজীবী দেশপ্রেম আজব খিচুড়ি
মেশানো কথার বুলি বিশুদ্ধ জোচ্চুরি
অভিযোগ অন্তহীন তোমার রাস্তায়
তুলছে নিলামে আজ একটু সস্তায়
এখনো নিশ্চুপ কেন গর্জাও বৃষ্টিতে
ভিজে যাক চালকেরা সরোষ দৃষ্টিতে
অসংখ্য জীবন ব্যয়ে প্রাপ্ত অধিকার
বুকের মাটিতে মিশে শপথ রক্ষার
কতটুকু রক্ত আছে কতটুকু জল
গড়ানো হাওয়া জানে তুমিই সম্বল
তোমার শব্দেরা আনে ফলের বিশ্বাস
আমাদের বাংলাভাষা বাঁচাবে নিঃশ্বাস।
এইমাত্র কেউ বললো
ভিজে গাছের চোখেও ফিরে আসে কৃষ্ণগহ্বর
তীক্ষ্ণ ফলার আঘাত কখনো কখনো
নতুন পাতার ডাক আনতে পারে
মাঠ থেকে ফিরে আসার পর বেড়ে চলে খিদে
শেকড় বেঁধে রেখে তলিয়ে যেতে যেতে
ক্ষতগুলো গান হয়ে ভেসে যায় মহাকাশে
শুনতে শুনতে হেঁটে চলি শরীর থেকে মনে
পাঁজরের খাঁজে খাঁজে ছুটে চলে বিশ্বাস
থমকে যাওয়ার পরেও বাতাস এগিয়ে যায়
ঘরবাড়িগুলো বন্ধ জানালায় এলোচুল রোদ
শুকোতে থাকা নীল ছাদের মোহনায়
পায়রা জড়িয়ে ধরে কার্নিশ আলাপ
ধূলো হারিয়ে গেলেও পথ চলে যায় গাছের বাঁকে।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..