যাযাবর
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
চলো ফিরে যাই
বছর অনেক হলো, মধুমাস গেলো
অনেক সোনালি আলোয়,
ঝড়ে পড়েছিলো নিলয়ের কথা
কাঁদছিলে ডাহুকী, মজা পুকুরের জল
গোপনের ডালপালা গাবের সবুজ পাতা
আমার চুলের মতো আদুরে রাত,
অনেক গেলো সময় ধরে
এখনও কথা কয় সারারাত থেকে থেকে
বিষণ্ণ শ্যাওড়ার দেবী,
চলো ফিরে যাই
মুখোমুখি বসি,আমের তলায়,সবুজ শাড়িতে
ধূসর বাতাসের ঝাপটায়,আমার কথা হারায়
তবু চলে যাই চলো
সন্ধ্যামালতী হয়ে ফুটে থাকা বনে
ফণিমনসার ঝাপটায় কিছুটা ভুল করে
আমরা ফিরে দেখি আমাদের শরীর
যে ভোরের জল লেখা আছে কপোলো
চলে ফিরে যাই
ফিরতে ফিরতে একবার পিছনে তাকাই।
বৃষ্টি! তুলার মতো বৃষ্টি
আমার তো দুঃখ ছিলো না
খলখলে হেসে মাটির বাটখারায় মেপেছি
আকাশের দৈর্ঘ্য!
তবু সে এলো! চুম্বনে ভরিয়ে দিতে
ভেজালো যেন আদিতম মেঘদূত
বৈশাখের পঙক্তিমালা! কালবৈশাখী এইসব
আনন্দের অনুভূতি হচ্ছে তার, কম কী!
বৈশাখ! তুমিও নিশ্চয়ই পুরুষ
জানাও হিংস্র প্রেম, প্রয়োজনীয় লাঙল
অথচ আমার মেঘনা ভালো লাগে
ডুবে যায় কেমন শরীরের ভার,
ভালো লাগে। নিজেকে ভেজায়ে।
কিছুটা বিষণ্ণ আর্দ্র ত্বকে
সংক্রামিত হওয়া খারাপলাগা
লিখিয়ে রাখে প্রতিবাদ
ব্যস্ত মাকড়সার জালে জড়ো করে
নখর তামাশা ;
রোদচশমায় দেখা সোনালুর রঙ
তামায় গড়া অলঙ্কার
জাদুকরী শব্দের গর্জনে আসে
ছলছল অভিমান –
এমন বিষাদে রূপান্তরিত হয়ে অনুবাদ
অনুমেয় নামলিপি ডেকে যায়
বদনামের খোলা খাতায়।
তারে ঘিরে জাগে যত স্বপ্ন, ডিমের সাধ
মৃত;মৃত্যুর মতো নীল হয় এবারের অসুখে।
প্রচ্ছদ থেকে উঠে গেছে ছেঁড়া মলিন মেঘ
পৃষ্ঠা উল্টে গেছে আমাদের
যেখানে লেখা থাকতো ফুলের ব্যথা
সেখানে জন্মেছে আগাছার ঘোর
চাইলেই আসতে পারতে
এখানে খোলা ছিলো দোর
নাহয় চলে যেতে, যেমন যায়
প্রতিদিন ভোর, অযথাই হাসতে শিখতে
যেমন হাসে চাঁদ অমাবস্যার শেষে,
রোদের মতো পোড়াবে বলেও পারতে
পারতে ডুমুরের তলায় হিজল বসাতে
ডাহুক হতে পারতে ভিনদেশী
হাত ধরতে পারতে, পারতে ডুবিয়ে নিলামী করতে
আরও পারতে যেমন পারে জোড়া তালের শাঁখ
ইটের করাত, বাবুই বাসায় ফিরে যেতে,
চাওনি বলে আসোনি আমি জানি
তোমারে জানায় আমার পুবের ধলা পুকুর
শুকনা পাতার ঘুম, জানায় রাতের কামিনী
আরও জানায় বেদেনী, জানায় কচি লাওয়ের ফুল
এদিকে আসবেনা সে রাজপুত্তুর।
ভাদরীগান
কেটে গেলে বহু বছর – যদি দেখা হয়
শহরের গলিতে নিয়ন সাইনবোর্ডে
হয়তো নিভে আসে ঝিলের আলো-কেবল
উড়াউড়ির নাম পাখি -আরও উড়ে যায় মন
কদমের পাতার মতো জেগে থাকা শ্রাবণ
বলা যায় তারে- চলে গেছে যারে
অবোধ্য বিবমিষা ক্ষোভের উদ্রেক হয়ে
চিলের নখের মতো খুবলে, বেহায়ার কলারে;
অবোধ শিশু চেয়ে থাকে, নিরুত্তাপ ফুলের মতো
ঘ্রাণহীন মনের গহরে,যেন পিষে মারছে নিজেরে
স্মিত হাসি, স্বভাবে বাড়ছে অর্থহীন লীনবৃক্ষ
স্হির যে ধ্যানস্হ তীর্থকারী, চিনেই ভেঙেছে বিষাদ।
সবই জানি আমি- পাতাল হলে মহীরুহ
শেকড়ের দুর্বলতা,পুরুষের হয়!
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
কবি গো ওওও,আর যত গুণীজন কি দিয়ে পূজি তোমাদের চরণ আমি যে অভাগা জানি না…..
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..