প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
কবিতা লিখি লিখতে কয় নেশায়। শৈশব থেকেই লিখি রবীন্দ্রনাথের শৈশব নিজের শৈশব ভেবে লেখা শুরু করেছিলাম বা নজরুল যেভাবে নিজেকে শৈশবে উপস্থাপন করেছেন সেটাও লেখার জন্য একটা চমক। এরপর আসে জীবনানন্দও, কবিতার সম্রাট। প্রকৃতির চিরপ্রেমিক বলেছেন “কবিতা ও জীবন একই জিনিসের দুই উৎসারণ। আমার নিজের মনে কবিতা নিয়ে একটি সাজানো বাগান আছে। যেটি আমি নিজে বা আমার পারিপার্শ্বিকতায় তৈরী হয়েছে। শুধু বোধ অনুভূতি দিয়ে কবিতা লেখা হয়না। একটা বিজ্ঞান, দর্শনকে অনুসরণ করে নিজের ভিতরে অনুভব করে সেটি প্রকাশ করাই কবিতা মানবীয় সকল কর্মকাণ্ডের একটি উন্নত ধারা। যেমন কান্না হাসি খেলা, তেমনি কবিতা লেখা। কবিতা সেই বন্ধু যে স্মৃতি হাতরে বেড়ায়, আমি ও আমার কবিতা একটি অনন্ত জুটি, বিচ্ছেদ কখনও হয় না। কেউ বলেছিল কবিতা অভিযোজন প্রক্রিয়া, সে নাকি স্বপ্নেও লিখে, হুবহু সেটাই লিখেছে বাস্তবেও, এটা তার স্বভাব। কবিতা মানুষের স্বভাবের অংশ কবিতা লেখা বা পড়া। যৌবনে অনেক কাজের সাথে আরও বেশী জড়িয়ে পড়ি কবিতায় সেই থেকে সে আমার একান্ত প্রেমিক। তাকে ছাড়া স্বপ্ন পথ পায়না। কবিতাকে সাজাতে চাই নিজের সন্তানের মত। যে কীনা শরীরের অংশ। স্বর্গ থেকে আসা একটা চিরহরিৎ অনুভূতি যার সীমায় অদেখা স্বপ্ন খেলে যায়। চিন্তায় যায়। স্বচ্ছতা সেটাই লেখায় আসে। কেউ একজন আমার পরিচিতকে বলেছিলাম কেন লিখেন কবিতা? উত্তর দিল – কবিতা তার
“প্রেমিকার মুখের একবিন্দু ঘাম, শেষ বিকেলে উড়ে আসা চিঠির খাম।”
কবিতা তাকে ভালোবাসে তাই তিনি কবিতার হাত ধরেন।
আমিও তাই একটা ছায়ার মত পাশে পাই কবিতাকে, লিখে সেটা উজাড় করে দিই। অনুভূতিকে শক্তপোক্তভাবে বুকে রেখে ছড়ান মাধ্যমে কবিতা লেখা। কেন পড়ি তা আগেই বলেছি, বাবা-মা’র ঘুম পাড়ানো, ঘুম ভাঙানো সব কবিতা দিয়ে। আমার দাদীমা কথায় কথায় ছড়া কাটতেন, যেটা আমি ছোটবেলায় ভাবতাম আমাকেও এভাবে কথা বলতে হবে। এটাও কবিতা পড়ার কারণ।
আমাকে প্রভাবিত করেছে আমার পারিপার্শ্বিকতা, কবিতা পড়তে। যখন কষ্টে থাকি কবিতা পড়ি কবিতার আশ্রয় নেই আনন্দে লিখি, পড়ি। বেঁচে থাকি কবিতায়, সুন্দর থাকি কবিতার ভালোবাসায়। কেউ জেগে থাকে কবিতার মত। একটি কবিতার বইকে সঙ্গে নিয়ে, বুকে নিয়ে। জীবনে জেগে থাকার মত স্রষ্টাকে ভালোবেসে জাগ্রত একটি কবিতা হতে পাড়ে জীবনের শ্রেষ্ঠ ধর্ম। একটিমাত্র কবিতা হতে পারে পরিচয়। যেমন পরিচয় আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি, বা আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গান হয়ে বেঁচে থাকে কখনও।
আসে কবিতা পড়ার প্রহর স্বপ্ন নিয়ে রাতে নির্জনে। কবিতা একটি আকাশ কবির কাছে বা হতে পারে সাধারণের কাছে, জানার জন্য সেই আকাশে বিশ্বকোষ। তা পড়ে জানতেই হয়। কবিতা পড়ি নিজের অজানাকে জানতে। পৃথিবী সাজাতে ছন্দেবদ্ধে গীতে। কবিতায় বাঁচি, কবিতায় সাজি। একান্ত নির্মলতায় সহজতায়। কবিতা থেকে প্রথম মেঘের বৃষ্টি কিশোরীর নরম চোখ প্রথম প্রেমের উচ্ছ্বাস। কবিতায় হোক জীবনবোধ।
বাঁধি শব্দ ছন্দে, আনন্দে
ভালবেসে নতজানু নিনাদে।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..