শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
আজ সন্ধ্যায় ধুপের গন্ধ এসে লাগল বাতাসে,
এরপর একে একে জল দেবে সবাই,
আত্মীয়, বন্ধু, পরিচিত।
তারপর ভেসে যাব জলে…
শুরুটা যদিও এরকমটা ছিল না।
কোজাগরীর চাঁদ পূর্ণতা পাবার আগেই শিউলির গন্ধ জানিয়ে দিত
ভাল আছি,
চাঁদের হাসির সাথেই রোগা লম্বা মেয়েটা একপলকেই জানিয়ে দিত
ভাল আছি,
রাত্রে একটু দেরি হলেই বাবার পায়চারি জানিয়ে দিত
ভাল আছি,
দেরি করে চুপিচুপি বাড়ি ফিরে বোনের বকুনি, “আমি সব জানি, মাকে কিন্তু বলে দেব” জানান দিত ভাল আছি।
সদ্য শেখা সাইকেল থেকে অবধারিত পড়ে যেতে যেতে এক ঝাঁক শালিকের হাসি জানিয়ে দিত
ভাল আছি,
হারমোনিয়াম এর ভুল রিডে হাত পরলেই মায়ের চোখের কড়া চাউনি বলে দিত
ভাল আছি।
রেজাল্ট নিয়ে স্যারেদের প্রণাম করার সাথে সাথেই খুশির বকুনি বলে দিত
ভাল আছি।
আজ আর কেউ নেই,
আমার খুব শীত করছে আজ,
আমার সেই আগমনীর সুরটা মনে পড়ছেনা!
মা, একটু বলে দাও।
আমার জন্য আর পায়চারী করতে হবে না বাবা,
আমি ফিরে যাচ্ছি তাড়াতাড়ি।
তিনদিন আগেই আমার রেজাল্ট দিয়েছে স্যার,
আপনি বকবেন না এবার?
এই প্রথম আমি পড়ে গেলাম
আর তুমি হাসলে না ত আগের মতো,
তোমার বান্ধবীরা ডানা মেলে হেসে উড়ে গেল না তো?
আমি কি তবে ভাল নেই আজ?
আর তুমি?
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..