ভিতরবিড়ালী

শীলা বিশ্বাস
কবিতা
Bengali
ভিতরবিড়ালী

ভাবনার ক্লোরফিল দৃশ্য বোনে উল ও কাঁটায়। পড়ে যাওয়া ঘর তুলে নেয় আলগোছে। বাফারিং থেমে গেলে সটান ঢুকে পড়ে সিমুলেসান থিওরিতে। বিরাট শিশুর কাছে মন কৃষি কথা শোনে আর পতিত জমি খোঁজে। খোঁজা সাঙ্গ হলে জৈব ও অজৈব পান্ডুলিপি লেখে। লেখে রাসায়নিক বিক্রিয়ার কোরিওগ্রাফ। উজান ভাটা উপেক্ষা করে চলা আলো ভেঙ্গে যায় অনন্তের পথে।

 

দুই

গোটা আপেল আর একটুখানি কামড়ে খাওয়া আপেল, নববধুর কপালে অক্ষত গোল টিপ ও লেপ্টে যাওয়া সিঁদুর সময়ের টোটেম। প্রবাদ ও পরিখা টপকে দল ও দলিতদের জন্য যারা খেটে মরে, একদা রামরাজ্য থেকে অবসর নিয়ে এখন স্বর্গরাজ্যের দিকে যাচ্ছে যারা তাদের জন্যে মেঘের থেকে বজ্র নামিয়ে আনেন ইন্দ্রনাথ। হ্যাঁ সেই মেঘ যে মেঘে কালিদাস রমনীরূপ দেখেন ।

 

তিন

সাপ ও সাধিকা বিনা তেলে সলতে উস্কে চলেছে। দেয়ালা দেখবে বলে নাটমন্দির সাজায়। অলকা- তিলকার শ্রীকপালে নাচে ভিতরবিড়ালী। চেটে পুটে খায় আঁশ গন্ধ। বজ্রপাতে জ্বলন্ত তালগাছের মত সোজা দাঁড়িয়ে যজ্ঞের সমিধ জ্বলে পুড়ে খাক। না পাওয়া স্বীকৃতির খোঁজে একদল হিংসা হিংসি খেলে। আয়না ভেঙে বাড়িয়ে নেওয়া সংখ্যায় জিতে নিতে চায় পাঠক।

 

চার

অসুস্থ লালি বিড়ালী শুশ্রূষা নেবে বলে ফিরে এসেছে। তার হারানোর গল্প ও প্রতিদিনের দেখা দৃশ্যাবলীও কবিতায় আশ্রয় চায়। টুকরো দৃশ্যগুলি জোড়া দিতে দিতে একটা গোটা কলোনি রচনা করে ফেলি নিজেরই অজান্তে। তারপর পাখি উড়িয়ে দিই। গোরু মোষ চড়াই। ঝোপ ঝাড় জঙ্গলময় জীবনে বাধাপ্রাপ্ত ওঠা আর গোত্যা খেয়ে পড়ার দৃশ্য জুড়তে জুড়তে কত মিথ্যে সত্যি হয়ে যায়। আর সত্যি উপলব্ধি শেষ পর্যন্ত মিথ্যে হতে চেয়ে এক গৃহত্যাগী বিড়ালী হয়ে যায়

শীলা বিশ্বাস। কবি। জন্ম ১৯৭২, ভারতের পশ্চিমবঙ্গরাজ্যের হাওড়ায়। লেখাপড়া করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে, স্নাতক। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের আয়কর বিভাগে কর্মরত। লেখালিখি তাঁর প্যাশন। তাঁর লেখার বিষয় মূলত কবিতা, অন্যান্য প্রচেষ্টা গল্প, প্রবন্ধ। সম্পাদনা করেন ত্রৈমাসিক ওয়েবম্যাগ 'এবং সইকথা'। প্রকাশিত বই: 'হেমিংটনের...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..