দৌড়
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
আর আইতাম না, থাইক্কো তোমরা তোমাদের টাকা-পয়সা লইয়া। আমি গেলাম। মামুন যাইস না, যাইস না মামুন বলতে বলতে মা ঘরের চৌকাঠ পর্যন্ত এগিয়ে গেল। পাজি ছেলেটা ততক্ষণে চোখের সীমানা অতিক্রম করে কোন দিকে যে গেল তার আর হদিছ মিললো না। চৌকাঠের ধারে দারিয়ে দারিয়ে মা বলে, বড্ড পেকে গেছে ছেলেটা। বাবাও তখন বলে ওঠে, আজ আসুক ঘরে। গায়ের-ছাল যদি না তুলছি তো আমিও সিকদার না। টাকা টাকা করতে করতে একেবারে পাগল করে তুলছে। আমি টাকার গাছ লাগিয়েছি নাকি। হয়েছে হয়েছে আর সিকদারগিরি দেখাতে হবে না। এ বয়সে এমন একটু-আকটু করেই ছেলেমেয়েরা।
মা জানে সন্ধ্যার চাঁদ আকাশে দেখবার আগেই মামুন দরজায় কড়া নাড়বে। রাগ করে ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়া মামুনের আজকালকার কারবার না। মাঝে মধ্যে বই কিনবার টাকা না পেলে মুখের উপর কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে যায় মামুন।
বই মামুনের ভিষণ প্রিয়। নতুন একটা বই কিনা নিয়ে আজ এত বড় কান্ড। অবশ্য আজ আর ঘরে ফিরবে না মামুন। আলমারি থেকে বেশ কয়েকটা পাঁচশত টাকার নোট নিয়ে বেরিয়েছে ছেলেটা। কয়েকটা নোট একেবারে সদ্য ব্যাংক থেকে তোলা মনে হচ্ছে। মায়ের আদরে বেড়ে ওঠা ছেলেটা বোধ হয় আসলেই বড় হয়ে গেছে।
কাংক্ষিত বই কিনবার পর সারাদিন এদিক ওদিক ঘোরাফেরা করে। বই পড়বার জন্য ছেলেটা একটা হোটেলের রুম ভাড়া করে।
চাঁদ ওঠেনি আকাশে সন্ধ্যা থেকে প্রচুর বৃষ্টি। মা চিন্তায় পরে গেল। কোথাও হয়তো আটকা পড়েছে ছেলেটা। মামুনের বাবাকে বলে- ওগো, একটু দেখো না পাজিটা কোথায় গেল। আজ নাকি সত্যি বাড়ি না ফিরে। – আসবে, আসবে। চিন্তা করো না বৃষ্টি থামলে ঠিক চলে আসবে। বাইরে একের পর এক বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে।
খাওয়া দাওয়া সেরে মামুন রুমে ফিরে আসলো। কিছুক্ষণের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেল। ফ্যান বন্ধ হওয়ায় কেমন একটা সো সো আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। মোম জালিয়ে মামুন বই নিয়ে পড়তে বসলো। কেমন আজব ব্যাপার গল্পটি যেন সারাদিন ঘটে যাওয়া বিষয় বস্তু নিয়ে লেখা। কেউ একজন টাইম মেশিন দিয়ে এসে হয়তো দেখে গেছে। চরিএটা শুধু ভিন্ন। মামুন ভাবলো, যাক এই পৃথিবীতে আমি একমাএ ব্যক্তি না যে বই পড়ার জন্য টাকা চুরি করে। গল্পটি পড়তে পড়তে এমন এক পর্যায়ে এসে পৌছালো যেখানে লেখা, হঠাৎ জানালার ফাক গলিয়ে আসা বাতাসে টেবিলের উপর রাখা মোমবাতি নিভে যায়। মামুন ভাবে কই মোম তো নিভছে না। ইন্টারেস্টিং না ভেবে বইটা উল্টিয়ে বেডের উপর রাখলো। আাচমকা মামুনের শেষ পরা উক্তিটি সত্য হয়ে গেল। মামুন হকচকিয়ে উঠলো। চিৎকার দিয়ে উঠলো। দ্রুত পাশের রুম গুলোতে থাকা কয়েকজন ছুটে আসলো। সবাই রুমে প্রবেশের পূর্বেই লাইট জলে উঠলো। টেবিলে রাখা মোমের সলতে কেমন নিমনিমিয়ে জলতে জলতে উজ্জ্বল হয়ে উঠলো।
কজন জিজ্ঞেস করে- চিৎকার করছিলেন কেন? এত ঘাম কেন আপনার শরীরে!
মামুন বলে- ভূত, ভূত আছে এই হোটেলে।
আরেকজন বলে- আপনি মনে হয় ভয় পেয়েছেন। নেন পানি খান।
ফ্যানের সুইচটা দিয়ে দিব কি। (কিছুক্ষণ পর) মোম জালিয়েছেন কেন?
মামুন বলে- অনেকক্ষণ যাবৎ তো কারেন্ট নাই। মাএই তো এলো।
একজন বেডের উপর বই দেখতে পেরে হাতে নিয়ে দেখে। দেখে এখন যা যা হলো তার সব বইতে লেখা। পরের লাইনে লেখা, ছেলেটি এই বলে সরার সঙ্গে দুষ্টুমি করে নিল।
-ফাজলেমি পাইসেন? রাতের বেলা চিৎকার চেঁচামেচি করে মজা লন।
-আরে না ভাই মজা লমু কেন। আসলে কারেন্ট ছিল না।
-ফাজলামি রাখেন তো। আমরা টিভি দেখছিলাম। আপনের আওয়াজ শুনে আইলাম আর আপনে নাটক করতাছেন।
-মামুন ঘাব্রে গেল।
-কাজটা ঠিক করলেন না। এটা বলতে বলতে সবাই চলে গেল।
রাত সাড়ে বারোটা। মামুন ঘুমাবার চেষ্টা করছে। ঘুম আাসছে না। চোখ বন্ধ করলে জানালার শব্দের সাথে কেমন একটা শব্দ কানে আসে। আয়, আয়, চলে আয়। তোকে নিয়ে যাবো। আসলে শব্দটা বাতাসেরই ছিল মামুন শব্দের এমন বাক্য বানিয়েছে। অতিরিক্ত চিন্তা, ভয় মামুনের প্রশাবের বেগ তুলেছে। বেড থেকে ওঠে ওয়াশরুমের দিকে হাটাশুরু করলো। আওয়াজ যেন আরো স্পষ্ট হতে লাগলো। ওয়াশরুমে তাকে যেতেই হবে। তবে কেন জানি টয়লেটের দরজাই খুলছিল না। এমন অবস্থায় কী করবে? দৌড়ে গিয়ে মোবাইল হাতে নিল। নেটওয়ার্ক নেই। কিছুক্ষন আগে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর কেউ যে তাকে বিশ্বাস করবে না, সে ব্যাপারে মামুন নিশ্চিত।
মোবাইল কেমন নিজে থেকেই কাজ করছিল। অনেক কষ্টে মার নাম্বারটা স্ক্রিনে তুলতে সক্ষম হয় মামুন। কল ধরতে না ধরতেই-
মা, বাঁচাও মা। আমাকে বাঁচাও। আমি খুব ভয় পাচ্ছি। আমাকে তুমি নিয়ে যাও। হই হই করে গাল বাসিয়ে কাঁদছে ছেলেটা।
মা তার জেদি ছেলেটাকে সাও্বনা দিল। কিছুক্ষণের মধ্যে টয়লেটের দরজা খুলে গেল। প্রশাব সেড়ে এসে কেমন মনের ভিতরে এক প্রশান্তি পেল। কৌতুহলে বইটি হাতে নিয়ে দ্রুত শেষ পৃষ্ঠায় চলে গেল। সেখানে লেখা, “ভূত বলে কিছু নেই। সব কিছু মানুষের ভ্রম হতে সৃষ্টি”।
মামুন ভাবে আমার মার প্রাণ আমাকে ডাকছিল। আর আমি তা ভূত ভেবেছিলাম। মামুন হাসতে হাসতে ঘুমিয়ে পরে।
একবার এক দৌড় প্রতিযোগিতায় কেনিয়ার হয়ে দৌড়চ্ছিলেন আবেল মুতাই। খুবই ভালো দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। সবাইকে পেছনে…..
সকালে উঠে মায়ের মমতামাখা মুড়ি ও লিকার চা খেতাম। তারপর দাদু বলতেন, এবার পড়তে বোস।…..
রোজকার সূর্য ওঠার মত বেলি ভোরে উঠে দরজায় সামনে জল দেয়,ঝাঁট দেয়, ফুল তোলে। তারপর…..
একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কর্পোরেট অফিসের চাকরির ইন্টারভিউয়ে জটিল একটি প্রশ্ন করা হলো। প্রশ্নটি হচ্ছে –…..