শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
ছায়ার পিছনে না পিছনের ছায়ায়
অয়নের প্লেপেন!
লহরা থেকে ওই সামান্য দক্ষিণায়ন
উপরে বেশ আবাবিল তোলা আছে।
তফাৎ যে গাইছে না—
কাটা ও কুটি:
আলেয়ার নিপল ভেবে নাও শনিবার।
বিষুবনের
এ সন্ন্যাসী স্রোতশূন্য জলকে চলে
মুখের মিহিরে সোনাভান— ডে-নাইট সূর্যের
মুদ্রাভিরাম।তবু গোলের বেলাবেলিতে
লো—অর্ডারের কাঁপা হাতে বাড়া হলো কুয়াশা পুরাণ।
ব্যাগের চেইন না চেইনের ব্যাগ
সেই ঘোরটিই
লুকিং গ্লাসে সুইং মেশিনের ববিনের মতো ঘোরে
বালিকা ভাবে লিলি আঁকা দুপুর আমায়
যে যুবক করে—
একটা হলদেটে বসন্তের দিকে কাৎ হয়ে থাকে কোকিল।
কে তুমি অন্তর্মুখী?
ডিফেন্স ভেঙে ভেঙে ঘোল করে
গোল দাও
আকাশ থেকে পড়ি!
মাথায় রৌদ্রমেঘের গান অনায়াসে কুয়াশা টেনে
শুনি আইস-সিম্ফনি।
তবু প্রাণায়াম মর্মে ধৈর্যটা হল পাথর
জলের মেহনতে যেই না ভাসা
দোলায় ঢেউ আর
অলিবুদের শিস,পাখি পাখি ডাক
এই যে উড়ান
কোথাও বেহুলা ফুটলে ভেসে থাকাটাই
বিলাপ করবে চাপা
রিপিট খেলবে রাইচাঁদের নদী।
ওহে অয়ন
বুনোহাঁস জলা মাঠে
রাঙাদির ঘাট থেকে খসে থালাবাসনের টুংটাং
এই যে সানাই সানাই দুপুর
সাঙা হয় সব সন্ধ্যা ও পিদিমে।
চাঁদনি যে বোঝায়নি তা না
চাল দেখে ধান বলতে পারে না এমন ভানাবউ।
তাই রাতের কোলে রাতই হাই তুলছে ক্রমাগত—
শীতে সুইমিংপুল জুড়ে
কারা সাঁতরে যায় বরফের ছায়া
চল,ওর রোদে ও মরদে হ্যাপি বার্থডে গাই….
এই সকালের কাছে এসে চিরদিনের সকাল,
অন্নপূর্ণার গল্প জুড়ে দেয়।
গল্পে মাটি থাকে।
থাকে মাটির সব সন্তানেরা আর যত হালভাঙা মন।
উড়ে আসে ধানদূর্বার পাখিসব,
বিপুল কাকলি ছুঁয়ে আমাদের ভোর হয়।
গল্পে ফড়িং উড়ে কচিকাঁচার।
বাতাস ধরে রাখে ডানার গন্ধ আর
হাওয়ায় উড়াই আনচান রঙিন বেলুন।
গল্পে মেঘও থাকে,সুভদ্রা রঙের মেঘ
ঈষৎ নুয়ে এসে দুপুরে বতরের দিকে
ছায়া দেয় চাষীদের।
গোলার আলতো ইঙ্গিতে
পয়মন্ত দিনের দিকে উঁকি দেয়া ভানাবউ;
শিশিরে সন্তরণশীল আঙুল
আমাদের কথারা হন্যে মুঠোয় লুকিয়ে থাকে
আমরা একটা আ’লপথ খোঁজার নাম করে বারবার হারিয়ে যাই
অনন্ত নদীর গাঢ় কুয়াশায়
যেখানে থমকে থাকে ফেরি শহরের দিকে মুখ করে…
ভেঙে যেতে যেতে গুড়িগুলো হাওয়ায় ওড়ে—
হাওয়ায় ওড়ে
পাখি নয় গাছেদের ঝরা পাতা
ফিরে গেছে পাখিদের শিস কুড়ানো বালক
ফিরে গেছে ঘুঙুরে পা ফেলে থৈথৈ কিশোরীরা
তোমাকে হ’ল না বলা:
হেমন্তের মাঠে দাঁড়িয়ে একা কাকতাড়ুয়ার বোবা গানের সুর হাওয়ায়ই ভেসে আসে
আর মানুষ মানুষকে ভাসায়— এ সত্য তুমি পুরস্কৃত হও
যুগে যুগে
তোমাতে নত হই
তোমাতেই ভেঙে যাই খণ্ডে খণ্ডে
যেমন তৃষ্ণার উট দাঁড়িয়ে থাকে কাতর চাহনি ফেলে
দূর মরুর বুকে—
ফোরাত শুকিয়ে যায়
শুধু মনে পড়ে তুমুল তৃষ্ণা নিয়ে একবার দাঁড়িয়ে ক্ষেতের আ’লে —
ও সে গ্রীষ্মদিনের কথা কবেকার মেঘপুঞ্জের আগে
গুমোট সন্ধ্যায় বৃষ্টি বলে ডাক পাঠিয়ে ছিলাম তোমার বাড়িতে…
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..