শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
আমার জীবন সুস্পষ্ট পরিভ্রমণ ছাড়া আর কিছু নয়।
খুলনা থেকে ফিরে যশোরের সন্ধ্যা, মনিহার সিনেমা
হলের সামনে ধুমছে চা আড্ডার পরই ঝুম বৃষ্টি;
একাইতো ছিলাম, অথচ ধুমছে আড্ডা; হ্যাঁ, এরকমই
হয়, একা থাকলেই আড্ডা ঢের জমে; যাকে খুশি তাকে
ডেকে আনা যায়। শ্যামল দা আসেন, মহাত্মা আহমদ ছফা
আসেন,বিনয় মজুমদার আসেন। তাঁদের সঙ্গে আড্ডা জমে।
মনে মনে কিন্তু আমি এই নমস্যদের প্রেমিকাদের প্রেমে
পড়ে যাই। গায়ত্রী, শামীম শিকদার বা ড. সুরাইয়া খানম-এঁদের। জানলেন না কিন্তু নমস্যরা, কী আদায় করে নিলাম আমি কবিতার প্রয়োজনে, পরিভ্রমণের প্রয়োজনে। আমি কিন্তু এঁদের সাহস ও প্রজ্ঞার তর্জমা অনেক আগেই করেছি। এইসব করতে গিয়েই ভালবেসেছি, চিরোকালের ছফাদের, বিনয়দের। এঁরাতো গুরু, নমস্য। পানশালায় ও যাওয়া যায় বৈ এঁদের সঙ্গে। ওমর খৈয়ামের সঙ্গে যেমন লাল মদিরা এক হাতে অন্য হাতে গোলাপ, তারপর গোরস্থানে। হ্যাঁ, ভাবা যায়? গোরস্থানে, মরতে না কিন্তু, জীবন কিনতে; পরিভ্রমণের জীবন, আশ্চর্য পরিভ্রমণ-প্রেমের, মরমী চাঁদের! নদেয় এলো বান। গোরস্থানে এলো প্রেমিকা, যার সঙ্গে সব চলে, সব। সূফী নৃত্য, ঘূর্ণনে মহাবিশ্ব পারি দেয়া, পারি দেয়া কামের সায়র। এইসব চলে, চলেতো; চলতে চলতে পরের ষ্টেশন, যেখানে থামে কেবল ভৈরবী ট্রেন, বৈষ্ণবী ট্রাম!
আমার জীবন সুস্পষ্ট পরিভ্রমণ ছাড়া আর কিছু নয়।
যশোরের সন্ধ্যা পিছনে পরে থাকে। ঝুম বৃষ্টিতে ট্রেনে ওঠা।
জানালার কাঁচ গলিয়ে বিদায় জানানো ছফা বিনয় শ্যামল-এঁদের, শতাব্দীর আলো আর গোলাপ হৃদয়, বিদায়!
পরিভ্রাজক জীবন শেষ রাতে গিয়ে নামবে পোড়াদহ জংশনে; তারপর ঘুমাবে কুকুরের সঙ্গে এক মাদুরে-
মহাজীবনের কপালে চুমু খাবে তখন মহামানব সকল!
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..