ভ্যালেন্টাইনস ডে

জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
কবিতা
Bengali
ভ্যালেন্টাইনস ডে

জবাবদিহি

জীবনে প্রথম ছিলাম না বলে কোনো দুঃখ ছিলনা
কারণ আমার সামনে ছিল মাত্র এক থেকে তিনজন
অথচ পিছনে ছিল তিরিশ থেকে তিনশো জন।

জীবনে একটাও স্মরণীয় কবিতা লিখতে পারিনি
তার জন্য মনে কোনো কষ্ট নেই আমি জানি
আমার কবিতা অনেকের চিন্তায় ছায়া ফেলেছে।

সেই অর্থে প্রেম করতে পারিনি বলে নিজেকে কখনো
ব্যর্থ মনে হয়নি মানুষের দুর্বোধ্য মনের গোলকধাঁধার
ছবি আঁকতে তো ভুল করিনি। হোমো পাখিগুলোকে…

রাজনীতি বুঝতাম না বলে কেউই আমাকে সামনে ডাকেনি
কেবল একরাশ অবজ্ঞা আর ভয় নিয়ে ভিলেন চোখে দেখে গ্যাছে।
তবে তার জন্য ভয় বা দুঃখ কোনোটাই ছিলনা আত্মপ্রসাদ ছিল।

সংসারে ব্যর্থ বলে যতগুলো বিষাক্ত বাণে বিদ্ধ হই প্রতিদিন
সত্য হলো এটাই সেই কালকূট এখন অমৃত।

কে যেন আমাদের অমৃতের পুত্র বলে ফেলেছিল হয়তো তারই জন্য…

আর যদি কোনোদিন কোনো সিস্টেমের কাছে এর জন্য জবাব দিতে হয়
তবু আমি নির্ভয় কারণ আমি মাঝে আছি বলেই যুদ্ধ করে চলেছি
কারও সঙ্গে আপস করিনি,করবোও না।

ভ্যালেন্টাইনস ডে

সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের ভজনা করে দিনটা শুরু হলেই
ঘরময় প্রজাপতি উড়বে এটা ভাববেন না।
আপনি বাড়ির কোনায় কোনায় জালে বাঁধা পিউপা
খুঁজতে পারেন,ভাগ্য ভালো থাকলে পেয়ে যাবেন
নয়তো কিছুদিন অপেক্ষা করবেন।

আর যদি না পান তবে বাগানের ফুলে ফুলে খুঁজুন
ব্যর্থ হলে পাতার ভাঁজে ভাঁজে দেখুন
দুএকটা মায়ামুখ উঁকি দিতে পারে।

বাড়ির ঝুলবারান্দা থেকে ঝুলে আছে রূপ
কার্নিশে লেগে আছে লুব্ধক রং
আপনি কার্নিশ বেয়ে অবশ্যই হাঁটবেন না
কারণ আপনি কোনও স্কাইওয়াকার নন
কোথায় কোন গিলোটিন পাতা আছে…
ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ে আপনার ছবি দিব্যি ফুটেছে।

আপনি ভ্যালেন্টাইন হবেন না
দার্শনিক মার্কা চোখে ফুলের দিকেই তাকিয়ে থাকুন
প্রজাপতি খুঁজবেন না।

অভিসার

সে নয় যে ঝড়ের মতো ওড়ায়
সে নয় যে ভেজায় সংকোচে
সেও নয় যে ছিল কাছাকাছি…
দূরের ঠিকানা দূর
রং বাসন্তী কী নীল বা স্রেফ সাদা
পাখির ডাকের পুলকিত সুখে
খানিকটা অপাপবিদ্ধ হাসি
এক একটা চারা বসায়
অনিবার্য রাস্তার ধারে ধারে
জানে সে দূরের ঠিকানা
গাছেদের পাকদণ্ডী বেয়ে একদিন
ঠিক পৌঁছে যাবে মাধবীবিতানে।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..