দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
দৈবাৎ এসে পড়েছি শব্দের রাস্তায়।
ক্ষম, কবিতার পাহারাওয়ালা যত, ফিরে যাই
অন্য কোনো দ্বন্দ্বে, যেখানে একটি বুলবুলি পাখি
একবার গেয়ে উঠে মুছে ফেলেছিল নিজেকে—
আমার অর্ধজাগর চৈতন্য খুঁজে পাবে না কিছু, তবু।
নতুন কোনো বর্ণসম্পাত যদি ঘটে হৃদয়ে।
অচেনা দৃশ্যকক্ষ থেকে যদি ঠিকরে আসে আলো।
অন্ধকারে, ঝরে পড়া একটি ডালিম, কী তার আকাঙ্ক্ষা!
যেন বলে, লুপ্ত হও আমার সঙ্গে। ঘোরে জ্যোতিশ্চক্র একা,
জগত ঘুমায়, লাল এক কাঠের বাক্স তবু ভরে ওঠে
ডালিমদানার অবসাদে।
মেলে ধরো, স্বপ্নরাক্ষস, এই আনকা মেঘের জীবনী,
একদিন তুমি ছিলে ডালিমকুমার,
এখন আগুন্তুক মাত্র, কোনো গুপ্ত পরিখার ভিতর
বনভূমির স্মৃতিবাহী একটি পাতা মাত্র।
সেই কবে, একবার স্বপ্নে, কীভাবে যেন ঢুকে পড়েছিলে
দানব-জগতে।
প্রহরীর মতো দাঁড়িয়েছিল ব্রন্টোসোরাসের মূর্তি এখানে সেখানে।
তুমি দেখতে পেলে বজ্র দিয়ে চাবুক বানাচ্ছে কিছু দানব।
একটা উটপাখি ডানা ঝাপটাচ্ছে, আর তা থেকে
জন্ম নিচ্ছে ধূলিঝড়।
ঘুম ভেঙে গেলে আফসোস করেছিলে, বালুতে মুখ গুঁজে রাখা
সেই উটপাখিটিকে কেন তুমি বলতে পার নি—
‘ওঠো, তুমি অপরাধী নও’
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..