বেশরম
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
সংঘমিত্রার সাথে হেঁটেছি অনেক, যখন ভুবর্লোকে
দেখা দেয় ধ্বংসের আলো, আর
ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি উড়ে যায়।
আমি ও সংঘমিত্রা শীত সামাজিক রাতে, জলবিছানায়
ববিনে জড়ানো মৃত চাঁদ দেখে ক্ষয়ে গেছি দুজন
একটু একটু করে।
এখন আমরা আর হংসধ্বনির বেশি নই।
পাশাপাশি শুয়ে থাকা দুটি পিত্তসবুজ রঙের ছায়া শুধু।
একটানা দুলে চলেছে কায়াপিঁড়ি। বসব কোথায়? যাব নাকি
উট আর উপসংহারের দিকে! হায় আমার তো সুতিক্ত কাঠের
জুতো নাই। লেডা আর তার হাঁস কেলি করছে দূরে। আমি তবে
এখন পরে নেব গিলগামেশের পোশাক। লো লোধ্ররেণু, রে অস্তাচল,
জুতো হারাবার পর, কেন যে আমি তমসাতীর তাক করে আছি
ভাষাময়ূরের কাঠামোর দিকে!
যখন ঘাই হরিণীর দল ফিরে গেছে জঙ্গলে, তুমিও
লুকিয়ে ফেলেছ তীর আর শিকারের নক্সা, মানুষ ও প্রেতের
ভেদরেখা মুছে গেলে, আরও কিছু ধেড়ে ইঁদুর দৌড়ে গেল
গমক্ষেতে, আর মর্মান্বেষীদের হাতে উঠে এল রেশমি ডাস্টার।
উবে যায় কত শিকারের গল্প, যেমতি হাওয়ায় কেঁপে ওঠা শিখা,
যেমতি আমার এই পঙক্তিমালা প্রেত-সাধনার প্রায়।
বেশরম কি কঠিন ছিলো, ডুব সাঁতারের রুদ্ধ দম তোমাকে ভুলেছি ঠিক এক বেশরম- আবার পড়েছি…..
একি অনাসৃষ্টি নিত্য পণ্য উর্ধ দাম মন তার ভালো নেই, বাজারেতে যেতে যে হবে…..
পাশের রাস্তাতে তিন জন্মের লাশ ; অনিয়মহীন এভাবেই একক অপার্থিব অশরীর ৷ উল্টোদিকে আমি…..
পাষাণের প্রেম বিকট স্তব্ধতায় সুনিপুণ সীমানা প্রাচীর তুলেছ, বেসামাল ভালোবাসার জাগতিক জায়নামাজে। প্রার্থনার গতিরোধ করো…..