মজনু শাহ’র কবিতা

মজনু শাহ
কবিতা
মজনু শাহ’র কবিতা

সংঘমিত্রা

সংঘমিত্রার সাথে হেঁটেছি অনেক, যখন ভুবর্লোকে
দেখা দেয় ধ্বংসের আলো, আর
ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি উড়ে যায়।
আমি ও সংঘমিত্রা শীত সামাজিক রাতে, জলবিছানায়
ববিনে জড়ানো মৃত চাঁদ দেখে ক্ষয়ে গেছি দুজন
একটু একটু করে।

এখন আমরা আর হংসধ্বনির বেশি নই।
পাশাপাশি শুয়ে থাকা দুটি পিত্তসবুজ রঙের ছায়া শুধু।

 

গিলগামেশ

একটানা দুলে চলেছে কায়াপিঁড়ি। বসব কোথায়? যাব নাকি
উট আর উপসংহারের দিকে! হায় আমার তো সুতিক্ত কাঠের
জুতো নাই। লেডা আর তার হাঁস কেলি করছে দূরে। আমি তবে
এখন পরে নেব গিলগামেশের পোশাক। লো লোধ্ররেণু, রে অস্তাচল,
জুতো হারাবার পর, কেন যে আমি তমসাতীর তাক করে আছি
ভাষাময়ূরের কাঠামোর দিকে!

 

শিকার

যখন ঘাই হরিণীর দল ফিরে গেছে জঙ্গলে, তুমিও
লুকিয়ে ফেলেছ তীর আর শিকারের নক্সা, মানুষ ও প্রেতের
ভেদরেখা মুছে গেলে, আরও কিছু ধেড়ে ইঁদুর দৌড়ে গেল
গমক্ষেতে, আর মর্মান্বেষীদের হাতে উঠে এল রেশমি ডাস্টার।

উবে যায় কত শিকারের গল্প, যেমতি হাওয়ায় কেঁপে ওঠা শিখা,
যেমতি আমার এই পঙক্তিমালা প্রেত-সাধনার প্রায়।

মজনু শাহ, জন্ম ২৬ মার্চ ১৯৭০, গাইবান্ধায়। এ পর্যন্ত প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ — আনকা মেঘের জীবনী (১৯৯৯), লীলাচূর্ণ (২০০৫), মধু ও মশলার বনে (২০০৬), জেব্রামাস্টার (২০১১), ব্রহ্মাণ্ডের গোপন আয়না (২০১৪), আমি এক ড্রপআউট ঘোড়া (২০১৬), বাল্মিকীর কুটির(২০১৮)।

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..