দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
সংঘমিত্রার সাথে হেঁটেছি অনেক, যখন ভুবর্লোকে
দেখা দেয় ধ্বংসের আলো, আর
ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি উড়ে যায়।
আমি ও সংঘমিত্রা শীত সামাজিক রাতে, জলবিছানায়
ববিনে জড়ানো মৃত চাঁদ দেখে ক্ষয়ে গেছি দুজন
একটু একটু করে।
এখন আমরা আর হংসধ্বনির বেশি নই।
পাশাপাশি শুয়ে থাকা দুটি পিত্তসবুজ রঙের ছায়া শুধু।
একটানা দুলে চলেছে কায়াপিঁড়ি। বসব কোথায়? যাব নাকি
উট আর উপসংহারের দিকে! হায় আমার তো সুতিক্ত কাঠের
জুতো নাই। লেডা আর তার হাঁস কেলি করছে দূরে। আমি তবে
এখন পরে নেব গিলগামেশের পোশাক। লো লোধ্ররেণু, রে অস্তাচল,
জুতো হারাবার পর, কেন যে আমি তমসাতীর তাক করে আছি
ভাষাময়ূরের কাঠামোর দিকে!
যখন ঘাই হরিণীর দল ফিরে গেছে জঙ্গলে, তুমিও
লুকিয়ে ফেলেছ তীর আর শিকারের নক্সা, মানুষ ও প্রেতের
ভেদরেখা মুছে গেলে, আরও কিছু ধেড়ে ইঁদুর দৌড়ে গেল
গমক্ষেতে, আর মর্মান্বেষীদের হাতে উঠে এল রেশমি ডাস্টার।
উবে যায় কত শিকারের গল্প, যেমতি হাওয়ায় কেঁপে ওঠা শিখা,
যেমতি আমার এই পঙক্তিমালা প্রেত-সাধনার প্রায়।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..