প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
হে গান! চেপে ধরো টুঁটি!
আমি পারাবত মেঘের শেষ প্রশ্বাস, দৃশ্যত করুণ কাকের
মতো সারাদিন মদিরার বুদ্বুদ খুঁটে খাই…
অবিশ্বাস থেকে যে ক্ষুধা তৃষ্ণা জন্মায় তাকে শহুরে কপটতা
ধরে লিখে ফেলি এই রক্তাপ্লুত প্রেসক্রিপশন :
ভাগীরথীর পাড়ে কাশবন, পাটবন উন্মত্ত উল্লাসে একদিন
ঘিরে ধরেছিল আমার শিরাবিন্যাস ; তুমি একটি স্থলপদ্মের
দৌড় অবিকল নকল করে ছুটেছিলে আমাকে আড়াল
আমাদের পায়ে বায়ু বেঁধে দিয়েছিল একদল সর্ষেফুল
একমাটি ঘাস আর কালপুরুষ,
এইমাত্র জন্মালো যে শব্দপ্রাণ, সেও
যাকে আমরা ডোমকবি বলে ডাকতাম!
উনি শব্দের পুঁজ টিপে টিপে মূক ও বধির জলাশয়ে
ডানাহীন গেঁড়ি-গুগলির সৎকার করেন
চেপে ধরো!
কড়ি-বরগার সরল দৃশ্যায়নে থরোথরো স্নায়ু
আমাদের গান, প্রতিটা অক্ষর – চেপে ধরো!
রোদের শীতলতায় যে প্রেম আচ্ছাদিত
তার হৃদয়ে পাহাড় খোঁড়ো…
মাটির নখ বিলি কেটে দাও, আমাদের হাতে রেখা নেই
আছে এক জ্বলন্ত অবগাহন!
তীব্র প্রসবে ভাস্কর্য হয়ে যাওয়া এই অণ্ড — এই সরীসৃপাকার
মুখ আর চতুষ্পদী ছটফটানীতে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া আমার
চিৎকারমাপনী চোঙ
প্রাণের মতো একটা প্রাণ
কোশপর্দার শ্লেষ্মা ভেদ ক’রে আঁছড়ে উঠেছিল এখানে
এখানে অসংখ্য পৃষ্ঠার বিছানা : দুদিকে হার্ড কভার
এমনই পরিষ্কার অন্ধকারে গড়িয়ে এসেছিল সাদা কোশ
একা : ভীষণ একা
অথচ এই সরোবরে নীলপাখি খুব কম দ্যাখা যায়
অথচ এই মেদবর্ণ পাথর মরা পোড়ানোর জন্য নয়
একটু দূরেই জোঁকের ছায়ায় বসে পাতালের স্তব্ধ হাসি
একটু পরেই চুপচাপ ঘরে ফেরে কাকেদের সামগান
আমাদের মেঘ দৈত্যের আঙরাখা শীতল রোদ্দুরে
ডানা মেলে দেওয়া মুক্তচিল, মুক্তপুরুষচিত মুখ
শালগ্রামশিলার সুখে নিষ্পলক গিরগিটি
আড়ালে ব্রহ্মাণ্ডের গুঁড়ো অবশেষ নিয়ে অপেক্ষায়
অর্ধস্ফুট বিস্ময়ে আমরা চেয়ে থেকেছি কত ভোর কত কত
ঘোর সূর্যের পিউপা সাজিয়ে, একমনে সারা পৃথিবীর আলো
কিংবা মুথাঘাস সুতীব্র উল্লাসে দলে গেছি ভাগীরথীর চড়ে
আক্রমনাত্মক কঙ্কাল হিসেবে
বিস্তীর্ণ নদীর ওম্ সন্ধান করে এতটাকাল
যেন শেষ হয়েছে অন্তিম সিঁড়ি, মায়াসভ্যতার শেষ বিশ্বাস
এখন এই নক্ষত্রবীথির নীচেকার তিল-তণ্ডুল
আমাকে তর্পণ করে দাও
শরীরের প্রতি ভাঁজে
নিম্নশ্রেণীর প্রাণ জন্মাচ্ছে
আমার…
এখন
হলুদ-লাল অ্যালোভেরা ফুল খোঁজার সময়
ভেতরটা একবার নয় বেশ কয়েকবার ঘুরে দ্যাখার সময়
কোনো পরিত্যক্ত সুখতাপ ফেলে গেছে কিনা সাদাফুল
সামিয়ানা ধরে ঝাঁকিয়ে দেখে নেওয়া ফুটোফাটাতালি
উচ্ছেফুলের চাতালে অন্ধকার খেলতে খেলতে
ধুনো ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়া দুষ্প্রাপ্য পুঁথিদের দ্যাখা
দেখেছি উঠোনের এপাশ ওপাশ হাঁটতে হাঁটতে
মাটিয়া অবগুন্ঠনে চৈতন্যহীন লালসার শিকার
অথচ, একমাত্র তোমাকে চেয়েছিলাম নির্ঘাত
শান্তির পা থেকে বাঁচতে, বাঁচাতে কিছুটা দুঃসময়
কিছুটা পীড়াপীড়ি সাজিয়ে রাখতে চেয়েছিলাম এখানে
শুনেছি
গোলাপি পেন দিয়ে তর্জনীর উরুতে মাকড়সা এঁকে দিলে
কুন্তল ঘ্রাণে মুকুরের ছবি ধরা পড়ে। এতসব আগে জানলে
শীতল ভুরুর একটা জ্যামিতিক চিত্র আঁকতাম
এমন অনেক ছবি আমাদের
আপেলপ্রবণ শৈশবে আঁকা হয়েছিল…
যেখানে এক মানুষীর সাথে দ্যাখা হয়েছিল আমার
সম্পূর্ণ কল্পনাবর্জিত এক মানুষী, দীঘির বদলে একদিন
যিনি দেহে দেহের মাংস সিঞ্চন করতে করতে করতে
পাড়ি দিয়েছিলেন মহাকাশে…
অথচ, আপেল নামে তখন কিছুই ছিল না পৃথিবীতে
তবুও চুমুর জন্য কেঁপে উঠতো ঠোঁট
তবুও মনখারাপ পরগাছা রোদ
মাধ্যাকর্ষণ খুলে দেয় আজও।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..