আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
স্মৃতিটা স্মৃতিদের মত
ইচ্ছের মাঝে ইচ্ছে অবিরত
স্পর্শবিহীন ঘিরে রয়
স্বপ্নের ক্যারিওগ্রাফিময়
দেবালয়ের দাড়ঁকাক
এজলাস এড়িয়ে চলে যায়
‘ধুত্তুরি ছাই’ এর সামাজিকতায়
জীবনযাপনের কথোপকথন
পটভূমি পাল্টানোর গুঞ্জরন
হাহাকারের মগ্ন ধ্যানে
শব্দার্থ শিখে মোড়ের চা দোকানে,
ক্ষয়-ক্ষতির শুনানি সব
গুজব, সবই গুজব–
হা হা আর্তনাদে
আস্থার শ্যাওলা ছিড়ে
ঝুলে রয়
বিভ্রান্তির মায়াবী ফাঁদে
অ্যাপ্রোন ঢাকা শহরে
নিজেকে চূর্ণ করে দেখি
চিরদিনই আমি,
তার মুখাপেক্ষী-
অস্হির পোকার মত
মাছরাঙা স্মৃতিতে জেগে থাকি
সময়ের তীব্র তীরে দেখি-
সে ছাড়া আমি,
বয়সী বট-
ক্রুশকাঠের মত একাকি
কোন কোন মধ্যরাতে
অনিদ্রা আর চাঁদযুগল
প্রায়শই ঘুমহীন রাখে
মধ্যবিত্তের মত অস্বচ্ছল
কবিতার চোখে-
রুপালি বৃষ্টি বেয়াড়া ঝরে
দ্বিধার অসহায় পাথরে;
কৈশোর প্রতীক্ষাগুলো
জীর্ণ পকেটে ঘুরে-
কখন যে হারিয়ে গেছে
বয়সী সময়ের কাছে
জোছনার অঞ্জলি
স্মৃৃতির বুকে
ঝরে যাওয়া বকুল,
ইচ্ছের চামেলি-
অন্ধকার জ্বরে কাঁপে
কথোপকথনহীন মনস্তাপে
পিছনে কিছুই নেই
মূলত কিছুই ফেলে আসি নাই
ক্ষরা, বন্যা, পঙ্গপাল
সঞ্চয়ের পুরোটাই
নির্মম সময়ের বিষে
এলোমেলো উড়িয়েছি
অপহৃত আকাশে
পিছনে কিছুই নেই
মূলত কিছুই ফেলে আসি নাই
প্রত্যাশার সুতো
আর ইচ্ছের সুঁই
জানতেই পারে না-
নিগূঢ় হাসি
নিবিড় বিভুঁই
চৈতন্যে ভেসে ভেসে
কেন দাঁড়ায়
স্বপ্নের অংশে
মেধার মধ্যে
সকাল- সন্ধ্যে
ইচ্ছের ভেতরে
জোছনার শরীরে
জুড়ে দেয়
শুদ্ধচারী অতীত
বিষাদ সংগীত
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..
পাখি দম্পতি পাখি গিয়েছিল কতদূর বনে তা কারো নেই জানা। ঠোঁটে ধরা লাল টুকটুকে ফল…..
তারা যেমন বলে, চোখে ধুলো দিলে থেমে যাবে আমার কাব্যময়তা অথচ আমি প্রামান্য দলিলের নই…..