শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
খবরটা পেলাম।খবরটা অনভিপ্রেত।
খাঁ খাঁ করে উঠলো বুকের ভেতরটা,
মাটি পায়ের তলা থেকে সরে গেছে ততক্ষণে,
ধূসররেখা চোখে জায়গা করে নিয়েছে,
কপালে বিস্তর ভাঁজ পড়েছে চিন্তার,
পৃথিবী যেন বৃত্তাকারে ঘুরেই চলেছে,
খবরটা পেলাম।
খবরটা না পেলেই বরং ভালো হতো।
আমার পৃথিবী এক পলকেই বদলে গেছে।
এখন আমি অনেক বেশি সাবধানী,
অনেক বেশি যন্ত্রের কাছাকাছি,
অনেক বেশি হিসেবি,
এবার আর আগের মত পৃথিবী ভাঙা খবর
পাওয়ার কোনো অবকাশ নেই।।
ঘুম থেকে উঠে রোজ
নিজের অস্তিত্ব খুঁজতে বেরিয়ে পরি।
এ কাজ করতে করতে ক্লান্ত আমি।
তাও আজ পর্যন্ত নিজেকে
ঠিক করে চিনতে পারলাম না।
বুঝতে পারলাম না।
কখন যে নতুন আমি
পুরানো আমিকে ছাপিয়ে উঁকি মারবে
তাও আমি বলতে পারবো না।
এতটা অসহায়, নিরুপায় আমি।
ভেতরে ভেতরে রাগ হয়, কষ্ট হয়,
তাও……
তোমার জিন , তোমার পরিচয়–
কত কত পূর্বপুরুষের রক্ত
তোমার রক্তে চুপিসারে বাসা বেঁধেছে,
গোপনে গোপনে কাজ করে চলেছে,
তোমার কাছে সম্পূর্ণ অজানা।
মানুষের মনের গহনে
তার গতিপ্রকৃতি অবলোকন করা
আর ভগবানকে খোঁজা
প্রায় সমার্থক।।
আশঙ্কার মেঘে ঢেকে গেছে মনোবল,
জোয়ারে ভেসে গেছে শেষ সম্বল।
সঙ্গীহারা হলুদ পাতা একলা বসে কাঁদে,
দুঃখ দুঃখ খেলছে খেলা বিচ্ছেদের ফাঁদে।
ইচ্ছে নদী শুকিয়ে গেছে রৌদ্রতেজের ফাঁসে,
চোখের জল চোখে হারায় চোখের নিঃশেষে।
কথা ভাঙার কথায় কথা হারিয়ে যায়,
যন্ত্র মানব সব অধঃপতনের গান গায়।
ডানা আছে, উড়তে মানা আছে,
মন আছে, ভালোবাসায় মানা আছে।
লাল আছে, কৃষ্ণচূড়ায় মানা আছে,
রক্ত আছে, বিপ্লবে মানা আছে।
ফুল আছে, গন্ধে মানা আছে,
চোখ আছে, ঘুমেতে মানা আছে।
উদাসী বারান্দা মন খারাপের গল্পগাঁথা।।
সত্যকে উপেক্ষা করতেই পারো—
সে অধিকার তোমার আছে,
তুমি স্বাধীন।রাষ্ট্রের সংবিধান তোমাকে
সেই মহার্ঘ সুযোগ করে দিয়েছে।
তবে সত্যের বিকল্প হয় না।
শিল্পীর তুলির টানে ক্যানভাসে চাঁদকে
দেখে তোমার মনে হতেই পারে
তুমি জীবন্ত চাঁদ দেখে চক্ষু সার্থক করছো।
এতে আসল চাঁদের গরিমা
কখনো খর্ব হয় না। সে কখনো স্থানচ্যুত হয় না।
অসত্যকে তুমি সুন্দর মোড়কে পরিবেশন
করতেই পারো।অসুবিধা নেই।
তবে এর ক্ষণ স্থায়ীকাল নিয়ে
কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না।
আর সত্য যখন হাসবে
তুমি অস্তিত্বের সংকটে ডুবে যাবে।
অন্ধকার ছায়ায় শুকনো মুখটাকে
আশ্রয় নিতে হবে।
তাই সত্যের হাত ছেড়ো না,
সত্যের সান্নিধ্য কখনো ছেড়ো না।
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..