মন খারাপের রোদ

সৈয়দ মাহমুদ
কবিতা
Bengali
মন খারাপের রোদ

(এক)

মন খারাপের রোদের মাঠে

কেউ ছিলো না-একলা আমি;

দিব্যি করে বলতো শুনি

এসেছিলি?

জোৎস্নাহীনা গহীন রাতেও

এক আঁজলা জলের ভিতর

কি করে যে সেঁধিয়ে গেলি

দেখতে পেলুম মুখচ্ছবি

চাঁদমুখো তুই বুঝলি না তো!

যাচ্ছিলি তাই দূর হতে আর

পিছ ডাকিনি-যাত্রা শুভ

ফিরবি না আর বললিনা তো;

মন খারাপের রোদের মাঠে

একলা আমি দাঁড়িয়ে যে রই

আসলি না তুই মন ভজাতে

আপন মনেই রইলি দূরে।

হাত দুটোকে আঁজলা করে

সহস্রবার জল তুলেছি যতন করে

চন্দ্রবদন আজও ভাসে

জানিস কি তুই?

মন খারাপের রোদের মাঠে

আসিস না তুই আগের মতোই

একলা আমি দাঁড়িয়ে সেথায়

মন বাড়িয়ে পথ পানে চাই

আসবি কি তুই??

 

 

(দুই)

মন খারাপের রোদের মাঠে

নয়ন মেলে দাঁড়িয়ে থেকে যুগান্তরে

দৃষ্টি আমার রং হারালো

চাঁদমুখী তুই জানলিনা তো!

এখন আমার ঝাপসা চোখে

কিসের যেন যন্ত্রণা হয়,

তাকাই যেদিক আকাশ পানে

পাইনা দেখা তারার জ্যোতি

মিটমিটিয়ে হারায় শুধু।

শঙ্খচিলের কান্না এখন

রাত বিরেতে আমায় জ্বালায়

জোৎস্না ভেজা মধ্যরাতে

করুণ সুরে গান গেয়ে যায় সাগর পাড়ে

শুনতে কি পাস?

নাইবা দিলি উজাড় করা মিষ্টি হাসি,

নিত্য কি আর চাইরে আমি

ওমের খেলা-ভোরের বেলা?

আছিস যেথায় স্বাতী হয়ে

থাকতে কে আর করছে বারণ,

ঈষৎ হেসে বাড়াস যদি অধর খানি

তাতেই আমার মন ভরে যায়

হোক না দূরের আকাশ হতে;

মন খারাপের রোদের মাঠে

এখন আমার দিন কাটে না

রাত কাটে না আগের মতোই

স্বাতী’র পানে চেয়ে চেয়ে

আঁখির কোনে মেঘ জমেছে।

 

 

সৈয়দ মাহমুদ। কবি ও গল্পকার। উত্তর জনপদের এক ছোট শহর গাইবান্ধায় জন্ম মুক্তিযুদ্ধের অব্যবহিত পূর্বে। ছোট বেলা থেকেই কিছুটা বোহেমিয়ান সৈয়দ মাহমুদ বেড়ে ওঠেন অনেকটা রক্ষণশীল পরিবারে। শৈশব থেকেই প্রকৃতি তাকে টানতো। বিরাণ প্রান্তরে, সারি সারি বৃক্ষের ছায়ায় হাঁটতে কিংবা...

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ

ঝরা পাতা

ঝরা পাতা

  চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..