দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
(এক)
মন খারাপের রোদের মাঠে
কেউ ছিলো না-একলা আমি;
দিব্যি করে বলতো শুনি
এসেছিলি?
জোৎস্নাহীনা গহীন রাতেও
এক আঁজলা জলের ভিতর
কি করে যে সেঁধিয়ে গেলি
দেখতে পেলুম মুখচ্ছবি
চাঁদমুখো তুই বুঝলি না তো!
যাচ্ছিলি তাই দূর হতে আর
পিছ ডাকিনি-যাত্রা শুভ
ফিরবি না আর বললিনা তো;
মন খারাপের রোদের মাঠে
একলা আমি দাঁড়িয়ে যে রই
আসলি না তুই মন ভজাতে
আপন মনেই রইলি দূরে।
হাত দুটোকে আঁজলা করে
সহস্রবার জল তুলেছি যতন করে
চন্দ্রবদন আজও ভাসে
জানিস কি তুই?
মন খারাপের রোদের মাঠে
আসিস না তুই আগের মতোই
একলা আমি দাঁড়িয়ে সেথায়
মন বাড়িয়ে পথ পানে চাই
আসবি কি তুই??
(দুই)
মন খারাপের রোদের মাঠে
নয়ন মেলে দাঁড়িয়ে থেকে যুগান্তরে
দৃষ্টি আমার রং হারালো
চাঁদমুখী তুই জানলিনা তো!
এখন আমার ঝাপসা চোখে
কিসের যেন যন্ত্রণা হয়,
তাকাই যেদিক আকাশ পানে
পাইনা দেখা তারার জ্যোতি
মিটমিটিয়ে হারায় শুধু।
শঙ্খচিলের কান্না এখন
রাত বিরেতে আমায় জ্বালায়
জোৎস্না ভেজা মধ্যরাতে
করুণ সুরে গান গেয়ে যায় সাগর পাড়ে
শুনতে কি পাস?
নাইবা দিলি উজাড় করা মিষ্টি হাসি,
নিত্য কি আর চাইরে আমি
ওমের খেলা-ভোরের বেলা?
আছিস যেথায় স্বাতী হয়ে
থাকতে কে আর করছে বারণ,
ঈষৎ হেসে বাড়াস যদি অধর খানি
তাতেই আমার মন ভরে যায়
হোক না দূরের আকাশ হতে;
মন খারাপের রোদের মাঠে
এখন আমার দিন কাটে না
রাত কাটে না আগের মতোই
স্বাতী’র পানে চেয়ে চেয়ে
আঁখির কোনে মেঘ জমেছে।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..