ঝরা শিউলি
এক মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে,…..
অজানা অচেনা একটা শহর। নিয়ন আলোয় চকচক করছে চারিদিক।
বোধ হয় মধ্যরাত। আকাশে তারা জ্বলছে তবে ম্লান সে আলো।
হয়তো নিয়ন আলোর রোশনাই দেখে অভিমান করে আকাশের তারাগুলি ম্লান হয়েছে চুপচাপ।
নিয়ন আলোর ঝাঁ চকচকে শহরের ঝলমলে একটা প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছে ময়ূরাক্ষী। খয়েরী কামিজ, কালো চুড়িদার পরে আছে ও। গলায় ঝোলানো কালো ওড়না। কপালে ছোট্ট কালো টিপ, ঠোঁটে খয়েরি লিপস্টিক।
কান ফাটানো বাঁশি বাজিয়ে নয় বরং নিঃশব্দে একটা ট্রেন এসে থামল ময়ূরাক্ষীর গা ঘেঁষে। ময়ূরাক্ষীর শরীর জুড়ে শীতলতার ঢেউ খেলে গেল আনন্দে।
সবুজ ট্রেনের সবুজ বগি থেকে নামল মেঘ। গায়ে নীল রঙের টি-শার্ট, পরনে ফেড জিন্সের প্যান্ট, পায়ে স্নিকার, মাথায় বাদামি রঙের হ্যাট, বাম হাতে চকলেট রঙা বেল্টের ঘড়ি, ডান হাতে শ্বেত চাঁপার গোছা। ভুবন ভোলানো হাসি হেসে ময়ূরাক্ষীর দিকেই দৌড়ে আসছে। ময়ূরাক্ষী পৃথিবী ভুলে তাকিয়ে আছে মেঘের বুকের অরণ্যে নিখোঁজ হবে বলে।
মেঘ আসছে……..মেঘ আসছে……..মেঘ দৌড়াচ্ছে……মেঘ দৌড়াচ্ছে…… প্রাণপণ।
ময়ূরাক্ষীর মনে হচ্ছে, যেন যুগের পর যুগ অপেক্ষা করছে মেঘে’র জন্য। অথচ মেঘ কেবলই দৌড়াচ্ছে ময়ূরাক্ষীর দিকে।
দৌড় শেষ হচ্ছে না কেন মেঘে’র?
ময়ূরাক্ষীর এমন কেন লাগছে?
না! আর অপেক্ষা করবে না। এবার ময়ূরাক্ষীও দৌড়াবে মেঘে’র দিকেই। ময়ূরাক্ষী সকল শক্তি এক করে পা উঠালো দৌড়াবে বলে। কিন্তু একি! পা নড়ছে না কেন? ভীষণ ভারী বোধ হচ্ছে কেন? আস্তে আস্তে সেই ভারী বোধ পা থেকে কোমর-বুক-গলা-মাথা অব্দি চলে এল।
ময়ূরাক্ষীর নড়তে পারছে না আর। পাথর হয়ে গেছে ওর শরীর ঝলমলে প্ল্যাটফর্মের চকচকে মেঝেতে।
ময়ূরাক্ষী চিৎকার করে উঠল,
মেঘ…. মেঘ…. বলে। সেই চিৎকার অসংখ্য হাসির ঝংকার হয়ে খলখল করে উঠল চারিদিক।
এত হাসি কে হাসে?
ময়ূরাক্ষী দেখতে পাচ্ছে পাশ দিয়ে কফিনের মিছিল যাচ্ছে। শুধু কফিন। কি আশ্চর্য! কফিন গুলো মাটি না ছুঁয়ে সারি সারি চলে যাচ্ছে অথচ কেউ কফিন বহন করছে না। সেই কফিনের ভেতর থেকে হা– হা–হি–হি হাসির করুন সুরের আর্তনাদ চেতন হারাচ্ছে দূর থেকে দূরের কোন দূরে……।
মেঘ….. কোথায়….তুমি?
ঝাঁ চকচকে শহরের ঝলমলে প্ল্যাটফর্মে এত এত কফিনের মিছিলে মেঘ কে ময়ূরাক্ষী আর দেখতে পাচ্ছে না।
এক মেয়েটা মুঠো মুঠো জ্যোৎস্না কুড়িয়ে অপরের মুখমন্ডলে চাঁদ দেখত। মানুষের উপকার করার ক্ষেত্রে,…..
শেষ থেকে শুরু। আমি রজকিনী রামী,ধোপার বংশে জন্ম আমার।ঘাটে সখিদের সঙ্গে কাপড় কাচি। একাজটা আমি…..
মালঞ্চার পথে ভোরবেলা। সূর্য সবে উঠছিল। বৈশালী দূর থেকে দেখতে পেল,বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ডে বালুরঘাটের দিকে মুখ…..
আমার বাবা ছিলেন অত্যন্ত সাহসী একজন লড়াকু মনের মানুষ।শত অভাব অভিযোগেও তাকে কোনোদিন ভেঙ্গে…..