প্রেম এবং অপ্রেমের কাব্য
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
একুশের কবিতা
একুশ মানে ভালোবাসা
একুশ শাণিত যুক্তি।
একুশ দিলো স্বাধীন দেশ
ধর্মান্ধতা থেকে মুক্তি।
একুশেরই বোনা বীজে
ফুটলো দেশে ফুল।
সেই ফুলেই আজও
বিধঁছে কেন সম্প্রদায়িক হুল।
একুশ মানে ফিনিক্স পাখি
ভস্ম থেকে জেগে উঠি-
জেগে থেকেও আমরা করি
জেগে ঘুমানোর ছল
এমনে করেই যায় যদি দিন
দেশ যাবে রসাতল।
হলুদ
হলুদ ঘন্টি ফুলে হলুদ প্রজাপতি
চঞ্চল পাখনায় উড়ছে।
আলামান্ডা লতায় অজস্র হলুদ ফুল
ছাদ থেকে ঝুলে পড়েছে যেন
হলুদ ঝর্নাধারা,
বাগানের একপাশে হলুদ সর্ষে ফুল
চারপাশ আলো করে হাসছে।
হলুদ ডালিয়া, হলুদ চন্দ্রমল্লিকা ফুলে
বিকেলের হলুদ রোদ খেলা করে।
হলুদ সোনালু ফুলে যেনো গলানো সোনা।
হলুদ রাধাচূঁড়া ফুলে হলুদ কুটুম পাখি
‘কুটুম আইল’, ‘কুটুম আইল’ বলে ডেকে গেলো।
কাঁচা হলুদ বাটায় স্নান করে
আজ হলুদ শাড়ী পরেছি,
খোঁপায় গুজেছি হলুদ গাঁদা।
হলুদ বিকেলে উত্তরের হাওয়ায়
ঝরে পড়া হলুদ পাতারা বলে যায়-
হলুদ রঙে বোঝায় প্রাণ, শক্তি,
আনন্দ, সুখ,আশা-ভরসা, বন্ধুত্ব, মেধা।
সূর্যের আলোয় মিশে থাকে হলুদ রং
তাই হয়তো ভ্যান গগের পক্ষপাত ছিলো
হলুদ রঙের প্রতি।
লাল
পূব আকাশে লাল সূর্য্য উঠেছে
লাল আর সোনা রঙে রাঙানো রাঙা প্রভাত।
ধূসর নীলাভ পূর্ব দিগন্তে সবুজ গাছের ফাঁকে
রক্তলাল সূর্য্য যেনো
মহাকাব্যিক মুক্তিযুদ্ধের শেষে পাওয়া
আমার দেশের পতাকা।
লাল রঙে বোঝায় শক্তি, যুদ্ধ, বিপদ, ক্ষমতা।
চৈত্রের দাবদাহের পর
এক পশলা বৃষ্টির শেষে
রাধাচূঁড়া গাছে ফুটেছে
কমলা মেশানো লাল ফুল।
বাগান আলো করে আছে
রক্তলাল লিলি, রক্তজবা, লাল টুকটুকে রঙ্গন,
আর লাল গোলাপ।
আমি আশা নিয়ে বসে আছি
আগামী ফাল্গুনে
আসছে বসন্তে
ফুটবে আগুন লাল কৃষ্ণচূড়া।
কারণ লাল রঙে আরো বোঝায়
আবেগ, আকাঙ্খা, অনুরাগ
আর ভালোবাসা।
অমর একুশের বই মেলায়
নতুন বইয়ের গন্ধে মাতানো
হাজারো প্রকাশনীর স্টলে সাজানো
অগনিত বর্ণিল প্রচ্ছদে রাঙ্গানো
অমূল্য গ্রন্থের সম্ভার এই বাংলার বইমেলা।
সপ্তাহান্তের ছুটিতে
অমর একুশের বই মেলায়
যেনো বুড়িছোঁয়া করেই ঘুরে এলাম।
মন ভরেনি
আবারো যেতেই হবে।
য়ারোয়া প্রকাশনী,দাঁড়িকমা প্রকাশনী ,
অন্য প্রকাশ, বিদ্যা প্রকাশ,
অণে¦ষা, মহাকাল, পাঠক সমাবেশ, প্রথমা,
কথা প্রকাশ, কবি প্রকাশ, রোদেলা, তক্ষ্মশীলা,
অক্ষর এমনি হাজারো সুন্দর নান্দনিক নামের
স্টলগুলো মগজের কোষে কোষে
যেনো বীণার তন্ত্রীর মতই ঝংকার তোলে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রাস্তায়
টোকাই ছেলে মেয়েরা রঙ-বেরঙের ফুলের মুকুট ফেরি করছে।
ইচ্ছে হলো একটি কিনে মাথায় পরি-
না থাক, ফাগুন এলেই পরবো।
মনে হলো আমার মাথায়
হয়তো বা মেলাময় অনেকেরই মাথায়
সীমাবদ্ধ জ্ঞানের মুকুট শোভা পাচ্ছে।
শীতের মিষ্টি রোদে
নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা বই মেলায়
জ্ঞানপিপাসু বইপ্রেমীর চেয়ে
পুলিশ, মিডিয়া কর্মী আর প্রকাশনা ব্যবসায়ী বেশি ছিল কি ?
নতুন কাগজ আর মলাটের সুগন্ধের সাথে
নতুন টাকার গন্ধ ও কি মিশে ছিল ?
পকেট ভর্তি টাকায় কেনা ব্যাগ ভর্তি বইগুলো
আলমারিতে শুধু থরে থরে সাজানো থাকবে না তো ?
বিপুল তরঙ্গ মুখরিত উত্তাল জ্ঞানসমুদ্র
দুমলাটের মাঝে শুধুই আলমারিতে বন্দী হয়ে রইবে তবে ?
নীল আকাশের নীচে এই বই মেলায়
বই নয় যেন লক্ষকোটি আলোর কণা ছড়ানো।
নিঃস্বার্থ সূর্যের আলোয়
জ্ঞানের আনন্দমেলায়
স্বার্থপর মস্তক থেকে খুলে ফেলি অজ্ঞানতার কন্টক মুকুট।
আর আত্মজ,আত্মজা ও আগামী প্রজন্মের হাতে
তুলে দেই শ্রমলব্ধ জ্ঞানের ফসল।
সাদা
গন্ধরাজ গাছটা সাদা ফুলে ছেয়ে গেছে
মিষ্টি সুবাসে শ্বেত শুভ্রতায় মন ভরে আছে।
সাদা জবা গাছটায় সাদা প্রজাপতি ওড়ে,
টগর গাছটায় পেঁজা পেঁজা তুলোর মতো সাদা ফুল।
সাদা কাঠ গোলাপ, সাদা অপরাজিতা,
নিম, কামিনী আর সজনে ফুলে
ভ্রমর গুঞ্জন তোলে।
টুনটুনি পাখি হাসনুহানার মধু খায়।
সাদা পাপড়ি সিঁদুর বোঁটা শিউলী ফুল ভূমিতে লুটায়।
দেয়াল বেয়ে লতিয়ে ওঠা জুঁই, মালতি লতা আর বেলী গাছে
থোকা থোকা সাদা ফুলে যেনো যৌবনের উচ্ছাস।
জলের ধারে চুপটি করে বসে সাদা বক পেয়েছে মাছের আশ্বাস।
পুকুরের জলে পাশের বাড়ির বউটি সাদা শাঁখা পড়া হাতে
সাদা মুক্তোদানা চাল ধুয়ে নেয়।
এক ঝাঁক সাদা কবুতর চঞ্চল পাখনায় উড়ে যায়।
ফেসবুকে ইউরোপ জুড়ে সাদা তুষারাবৃত বসন্ত দেখি,
আর এখানে আমি বারান্দায় বসে সাদা চোখে
নীল আকাশে সাদা মেঘে সাদা মনের মানুষ খুঁজি।
এ-এক প্রেমের শহর, এ-এক প্রেমের শহর, এখানকার বাতাস প্রেমের সৌরভ বয়ে আনে। হাজারো প্রেমের কলি…..
পতাকায় মিশে যায় ফেলানির নাম উড়তে থাকে কাঁটাতারে; মানুষের মনে জমে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিকল্প মেঘের…..
প্রেমিক হয়তোবা তাকে আমি গড়তে পারতাম তার বুকের ভিতর এপাশ থেকে ওপাশে উল্টে নতুন একটা…..
চারিদিকে কোলাহল শূণ্যতা করেছে গ্রাস, বেদনা বিধুর অতৃপ্ত বাসনায় হাহাকার, অজান্তে নীরবতা তোমার স্পর্শে…..