শঙখচিল
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
ফকিরের মুখ থেকে যেভাবে লালন ঝরছে
মনে হচ্ছে আজ লালনের জন্মদিন
অথচ যার শোক পালন করে ফকির বেঁচে আছে
সে লালনের পত্নী নয়
সে লালনের প্রেমিকা নয়
সে ফকিরেরও বর্তমান নয়
সে কেবল অবতার,
বারে বারে আসে যুগ থেকে যুগান্তরে
ফকিরকে আরও ফকির করতে …
যেভাবে পাঠকেরা কবিতা পড়তে চাইছে
যেভাবে সম্পাদকেরা লিটিল ম্যাগের ভবিষ্যৎ গড়ছে
ভয় হয় খুব ভয় হয়
কোন দিন শোনা যাবে
কবিতা আর কবিকে চাইছে না
কবিও রাতজেগে গালাগাল সহ্য করছে না,
সকলের মুখ থেকে তখন একটাই হাহাকার বেরবে
‘আমাদের পুরানো কবি-সম্পাদককে ফেরত চাই’
ভোর হলে শোনা যায় পাখিদের রিংটোন
কেয়াপাতার ফাঁকফোকরে স্বর্গের শপিংমল
ডিউটি শেষ করা রাতজাগা তারাদল
সোনালী আবেশ নিয়ে ডাকছে ঘোঁচনডাল।
জলপরি সোনাজল উবছে বাতাসে
দোল খায় সোনাব্যাঙ পদ্মপাতার কাঁথাতে।
কিচিরমিচির পুঁইপোনা বাচ্চাকাচ্চা
হা করে চেয়ে আছে খেতে চায় নাস্তা।
গোয়াল থেকে টুনটুনি ময়না ফিঙে
উড়ে যায় লাউফুলে নতুবা জিঙে
যদি পায় ঘাসফড়িঙ কিম্বা কেঁচো
জমজমাট ভূরিভোজ ডেকে বলে পেঁচো
আমি হলফ করতে বলতে পারি, মানুষ
এখন অন্ধকারকে ভালবাসতে শিখেছে, আপাদমস্তক
শুঁয়োপোকার অনুকরণে রিজার্ভ ব্যাংকে জমা রেখেছে,সমস্ত
অঙ্গপতঙ্গের স্থান পরিবর্তন হয়েছে,চোখের
স্থানে এসেছে কালো ছায়া,মুখের
স্থানে এসেছে ভাঙাচোরা বুক,মেরুদণ্ডের
স্থানে বালির ঢিবি,হয়তো
এমন গল্পের মুখোমুখি হতে হবে পরবর্তীদের,একদা
পৃথিবীতে জন্তুজানোয়ার ছাড়া ছায়া ছিলনা,সেদিন
অন্ধের ভায়োলিন বেজে উঠবে,আর
বন্যজন্তুরা খুঁজে পাবে সুবিশাল অরণ্য
তোমরা মহাপুরুষ হওয়ার চেয়ে
ঢের ভালো হত যদি কুমির হতে
এখন ধর্মেরঢাক আকাশে বাজে
রক্তের রঙে শুয়ে থাকে রাজনীতি
পাপীরা মন্দিরে যায় তোমাকে ডাকে
তুমি সাড়া দাও না কেন?
গৌরাঙ্গ প্রেম কি তোমার নাই?
তুমি মহাপুরুষ তাকেও মহাপুরুষত্ব দাও…
শঙখচিল অসীম নীলাভ শূন্যতায় নির্ভার মেঘপুঞ্জের মত উড়ছে শঙখচিল, শিল্পিত ছন্দে পাখায় গেঁথে শূন্যতার…..
বুনো শুয়োরের উৎপাত, ধমনীর শিরায় এখনও নিবিড় ভাবে বয়ে যায় চেঙ্গিস-হিটলার-হালাকু খান। শরীর থেকে ধীরে…..
যতই আমায় বৃষ্টি বাদল স্বপ্নে এসে দেখা ; তোর মতো মিথ্যা বলতে পারবো না ……..
অপেক্ষার বৃক্ষ প্রতীক্ষার ফুল তন্দ্রাহতের মতো জেগে থাকি হাওয়ার পেরেকে একাকী এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় দায়মুক্ত আয়ু…..