যাযাবর
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
মানুষের পূর্বপুরুষরা ছিলেন অরণ্যবাসী—স্বভাবত,
তারা ভালবাসে নির্জনতা,
ঠাণ্ডা, গোমেদ পাথরের মত লাল আনারফল—
অশ্রু ও স্বভাবের পাশে,
মানুষ আমৃত্যু একা এবং মানুষ মূলত যা তারা মূলত তা
তাহাদের মনের ভেতর থাকে ক্লেশ, ক্লান্তি এবং অশ্রুত বেদনা।
নামাজের ব্যাপারে আমার উদাসীনতা দেখে, ধর্মে বিশ্বাসী একমাত্র এবং সাবেক প্রেমিকা, যে আমার আগেই কাউকে ভালবাসতো আমাকে বলল— তুমি নাস্তিক হয়ে যাচ্ছো। এবং শুনিয়ে দিলো কিছু উপদেশ তাঁকে কিছুই বলা হয়নি। বলিনি— কারো সাথে প্রতারণা করার ক্ষেত্রে ধর্মের বিধানটি। কেননা, আমি জানি অধিকাংশ মানুষই ধর্মের ব্যাপারে এক মহান হিপোক্রিট।
সারাদিন এই অবাক রোদ্রের ভেতর ধরো আমরা খিটখিটে হয়ে আছি
অথবা ধরো ছাদের ফুলগাছে এই উন্মাদ মৌমাছি ফুলের খুব কাছাকাছি
ঘেঁষে সাইরেন বাজিয়ে ভো-চক্কর দিয়ে উড়ে গেলো কোথায়?
অথবা ছেড়ে দিলাম, কিংবা ধরেই নিলাম নিরুদ্দেশ, নিকটে নাই
তবু এই উদার আলোর রোশনাই, এমনি ঝরে ঝরে যাবে কিংবা বায়ু..
মসলিন শাড়ীর মত এই প্রেম কি আর তারে পাবে, অনন্ত আয়ু..
নয়, তাও জেনে মাঝে মাঝে খুব দিলখোশ হয়ে থাকি
জেনে শিস দিতে দিতে আচমকা উড়ে গেলো
দু’টাকার নোটের ভেতর হতে সাদা-কালো দোয়েল পাখি।
আমাদের শেষ আলিঙ্গনের স্মৃতির ন্যায়
জারুলকাঠের নৌকাটা দুলছিল-মুক্তির আকুতি
নিয়ে নদী ও তার একান্নবর্তী তীরে;
নোঙরের বাঁধন’টা খুলে দিয়েছি আমি,
পাটাতনের ভেতর খুব গোপনে
আমার একটা ফটো ঢুকিয়ে দিয়েছি
আমি জানি স্মৃতি এবং প্রেম ফিরে আসে না,
তবু অহেতুক নিজেকে জমা দিয়ে আসি
নদী আর মানুষ এক নয়,
এই ভরসায় নৌকা ও নিজে একই জলে ভাসি।
একেকবার ভাবি চরমপন্থি হয়ে ওঠব
আগ্রহহীন সময়ে যে কোন নতুন পন্থা পেলব বোধ হয়
একেকবার ভাবি এই থাকা কিছু নয়, বেরুতে পারি কোন শব্দহীন রাস্তায়
একা জানালার গারদ ভেঙে পাঁচতলা থেকে
ছিটকে যাওয়ার কথা ভাবি
সমস্ত ঝকমকির দিকে এগুবো ভাবি,
জোয়ারের ঢেউয়ের মত নয়, শান্ত পদে;
ভাবি দু’টো টিউশান করাব,
কেতাদুরস্ত হয়ে ওঠব,
রাস্তায় বেরুলেই দেয়াল-বিজ্ঞাপন ‘পড়াতে চাই’
কোন নতমুখ, কোন বাবা-নেই ছেলের কথা ভেবে,
আমি ভাবি থাক..
কেনো কোনো অসহায়ের জায়গা আমি নেব?
একেকবার ভাবি প্রেমের কাছে যাব,
যাব ঝিলিমিলি দিনের কাছে
শেষ অবধি পৌঁছুতে পারি না,
বস্তুত, আমি জায়গা ছেড়ে দিতে ভালোবাসি
বেঁচে থাকা এবং প্রেমেও,
হতে পারে এ আমারই অক্ষমতা, তবু বোধের কাছে বসে থাকি,
দূরে মোৎজার্ট এর পিয়ানো বাজে
বুঝতে পারি না,
বুঝে যাওয়ার কষ্টই হচ্ছে এই যে, ভানটা তখন খাটে না।
যাযাবর যাযাবরদের ছোঁড়া কাঠে আগুনও অসংযত,ঝড় উঠে ইত্যবসরে কিছু লবণ দানাও জমা পড়েছে… উদ্বাস্তু রোমে…..
কবি গো ওওও,আর যত গুণীজন কি দিয়ে পূজি তোমাদের চরণ আমি যে অভাগা জানি না…..
আমি জানতাম না চব্বিশের জুলাইটা এত দীর্ঘ হবে, আমি জানতাম না, অগাস্টকেও রাহুর মত গ্রাস…..
অভিশাপ মেঘের ভেলায় নিঃশ্বাসে ক্লান্তির ছাপ সবুজের নীড়ে আপন ঠিকানার খোঁজ এক ফালি সুখের নেশায়…..