লাইমুন নাহার সীমার কবিতা
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
পৃথিবীর দিকে কোনও ঘুড়ি ছিঁড়ে পড়ে
মাটি কেটে কি বিক্ষিপ্ত চলন
এরপরও পাখির উড়াল
এরপরও ভূমি শুদ্ধিকরণ
মানুষ কখনও গাছ হতে পারেনি
শেকড়ে, শ্বাসমূলে…
স্পর্শে ছিল আলোর বিন্যাস
আজকাল ধুলো ওড়ে
চরাচর শূন্য উঠোন
সন্ধের কোলে মাঝি গাঁথে শেষ পারাপার
আলোর পরিধি কেটে কেউ ঘরে ফেরে
দুহাতে মাটির রেখা, চোখের সিঁড়িতে জল
চিনিনি ওদের
শিশুর চিৎকারে ঘুম খুলে দেখি
স্বর্গের ডোরম্যাটেও বিন্দু রক্ত লেগে আছে
নিয়তি বানানের অক্ষত অবয়ব ভুলে গেছি
এখন আগুনের পাশে ঘি নেই I চন্দন, কর্পূর…
শুধু গ্লাস গ্লাস কেরোসিন জমে আছে
এরপর আবার ফিরে আসি
যাবতীয় ভ্রম থেকে
কী থাকে?
অট্টহাসির ভেতরে হাঁটতে থাকেন হেডমাস্টার
আর যাতায়াত, ভাঙা গান, খই লিখতেই
হারিয়ে যায় উত্তরপত্র
এসব শেষ হলে রংমশালে বারুদ গুঁজে নিই
কুয়াশা নদী পেরিয়ে কাছে আসে
জালের অর্ধেকটা জলে
উভচর মানুষ লাফায়, শ্বাস নেয়, লাফায়
শুকনো দেশলাইয়ের জন্য হাহাকার করে
খেলতে খেলতে দর্শক হারিয়ে যায়, রেফারি…
তখন এক্স অক্ষে পিন পতন, ওয়াইয়ে স্তব্ধতা
তবুও পরিখা ঘেরা
অসময়ে রোদের লকার ভেঙে চুরি গেছে চিল
টুকরো বিষাদ সব ভেসে যায়
তোর্সার অসম পলি চিনে নেয় গোড়ালির ভাঁজ
ছেঁড়া অন্ত্রের রজ্জু, মাটির কলসে ছাই…
শেষ দাগ, ডিএনএ ম্যাপিং
ব্যাসার্ধ কমাতে কমাতে বিন্দু
পরিধির দিকে যে সম্পর্করা ছিল, উবে গেছে
কাকতাড়ুয়ার মতো একটা শরীর I
শববাহীর কাঁচের দেওয়ালে তবু প্রতিফলন থাকে
ফাল্গুনের রোদে লেপা উঠোনে
দীর্ঘশ্বাসের ছায়া
কাঁটাহীন একটি ঘড়ি ঘুরছে
নিজস্ব ব্যাকরণের পাশে শর্ত ও সাপেক্ষ
গর্ত থেকে মোরগ বেরিয়ে আসে, ঝুটি থেকে নিশান
এরপরও সমস্যা ও সমাধানের মাঝে
গড়িয়ে যায় প্রাচীন ব্যাটারি
ঘাম জমে, পাখি ওড়ে, চুপ…
প্রেতকলোনির আগেই যাবতীয় স্বপ্নের রিগর মর্টিস
সজনের ডাল নুয়ে আসতেই অজস্ৰ রঙিন সেলফি
মাছির ডানায় শোক
নৌকোর অর্ধেক দেহ সূর্যের পিঠে আঁচড় আঁকছে
ধূপ ও ধূপের গুঁড়ো ঘ্রাণযন্ত্রের সমান্তরালে স্থির
অভিজ্ঞ কেরানি ছিপি খুলে দিলে
অচেনা বাতাসে খই উড়ে আসে
স্বচ্ছ, শূন্য বোতল হারিয়ে ফেলে শরীরের পরিচয়
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..