দীর্ঘশ্বাস
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
হলো না সবকিছু করা,
হয়তো সুখের ঘর গড়ে তোলা ।
দাঁড়িয়ে মিছেই দেখছি জোড়া তাপ্পি দিয়ে খেলা,
কালো মেঘ আসে আর বৃষ্টিতে ভাসে !
জীবন দাড়িপাল্লায় ঝোলে,
লাভ ক্ষতির হিসেব নিকেষ করে।
মূলধন অনেক ছিল…তবু
শুধুই পড়ে আছে সুদকষার অংকগুলো।
হারিয়ে গেছে সবকিছু !
রেখে গেছে নামমাত্র স্মৃতির মন,
ঠিক ভোটের পড়ে দেয়াল লিখন।
আপাতত কোন এক নিঝুম রাতে,
অরণ্যের অন্ধকারে একাকীত্ব জীবন
কোনো এক মধ্যরাতে,
জোস্না দেখার লোভে দগ্ধ হয়ে মন।
খানিকটা না হয় ডুবলাম,
ভাবলাম দেখি না কেমনটা হয় !
এতদিন শুধু স্বপ্নের ভাবনাতে ভেসেছি,
তাই জীবনে খরচের হিসেব নেই।
একসময় সবাই বলতো আমাকে ভালো,
আদর,আপ্যায়ন,নিমন্ত্রণ সবই ছিলো ।
জীবনের শেষবেলায় বোধহয় এমনটাই হয় !
এবার হয়তো এক আঘাতে ডুববো।
সবশেষে একটা মুক্তির,স্বাধীনতার আনন্দ আছে,
কিন্তু সে আর বুঝবে কে ?
হোক না তাতে বলি আশেপাশের সব ।
এক রকম জীবন যে সবার জন্য নয়,
তাই এবার নিশ্চিত অনিচ্ছায় ডুববো ।
আমি যে এখন সবকিছু ছেড়ে স্বার্থপর,
তাই এবার গ্যারান্টি দিচ্ছি ডুববো।
হঠাৎ কোনো ঘরের এক চন্দ্রিমা অবগুণ্ঠনে,
সে এক ঝিনুকের খোলসের ভিতরে একমনে।
তাই অদ্ভুত এক ঈশ্বর এসে দাঁড়িয়েছেন,
সেই উঠোনে।
একদিকে টগর ফুলের স্তূপ,
অন্যদিকে অবরুদ্ধ অন্ধকূপ।
কার জন্য এসেছেন…
কেউ কি জানেন ?
কেউ জানে না তার কষ্ট কি করে হয় ?
জানো কি ঈশ্বর এখন কেন ক্লান্ত তার দুটি পায় ?
তিনি অনেকটা পথ হেঁটেছেন।
উনি হেঁটেছেন পাহাড় থেকে সমতলে,
খাদের অতলে দুটি বিবর্ণ ফুল তুলে নিতে !
পাছে অন্ধকারে হারিয়ে না যায়…
কাজে লাগে তার পুজোয় ।
তবু কেন ঈশ্বর ক্লান্ত এতোটা পথ হেঁটে যেতে…
আসলে ঈশ্বরেরা এমনটিই হন..
চেষ্টা করেন যদি পারেন,গাছ থেকে পড়ে যাওয়া
দুটি ফুলকে এমনভাবেই তুলে নেন।
একদিন সকলে ঘুমোয়,
আগুনের উপর চিতায় ।
ছাউ হয়ে ভাসে নদীচড়ের আশেপাশে,
তারপর সার হয়ে পঞ্চভূতে মেশে।
তবু শব্দেরা হারায় না ওরা ঘোরাফেরা করে,
সুক্ষ্ম অনুভূতি থেকে যায় মনের কারাগারে ।
ওরা অতীতকে দেখে শিক্ষা নিয়ে-বলে
কতগুলো ভুল ভবিষ্যত নষ্ট করে !
কখনো একটা কৃত্রিম দেওয়াল গড়ে।
একটা বৃক্ষের জীবনেও আঘাত আসে,
তারও চারপাশ চোখের জলে ভাসে ।
তবু সে থাকে দন্ডায়মান সব ভুলে!
তোমরা বৃক্ষসম ছায়া ,
তাই ভবিষ্যত গড়ো,ধংস আটকাও
আর আমরা শুধু সার দেই।
তাই জ্বলবার আগে ভুল না করি,
বৃক্ষ যেমন সবকিছু দিয়ে যায় !
তুমিও দাও- তুমি তো সবার উপরে,
তাইতো তুমি প্রকৃতির রূপ।
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..
হয়তো একদিন অস্তিত্বে খুঁজে আত্মপরিচয় নিভৃতে অপেক্ষার প্রহরে এ মন ভালোবাসার রূপালী আলোয় রাঙা মুখ…..