মাঠের হৃদয় থেকে রোদ উবে গেছে

মানস চক্রবর্ত্তী
কবিতা
Bengali
মাঠের হৃদয় থেকে রোদ উবে গেছে

মাঠের হৃদয় থেকে রোদ উবে গেছে
নদীও ডুবে গেছে জলে
কার চোখ কোথায় ভেসে গেল
অকারণ ছলে

 

হেই দিদিমনি চক ঘষে কীসব নিকচো
তোমার নাভির মতো
নীরব হয়ে যাচ্ছে কেলাশ
সল আর জেল বোলতেই জেগে উঠছে নিউরণ — দিদিমনি গো আঁচলটাই ফকির করে দিলো
এসবের গ্রামার গ্রাম আর শহরে ঘুলিয়ে দিচ্ছে
বিসর্গের গোল্লাদুটো পাশাপাশি হয়ে উটচে
আর তোমার আঁচল থেকে
গন্ধ নিয়ে নেবে আসচে ভোরের পদ্ম
আসতেচে গো
কেলাশময় পদ্মের বাস

 

দিঘী খুলছো
সাঁতার শিখিনি তাই
হুলুস্তুলু হলো না আজও

 

দ্যাখো কিভাবে ভেতরটা বাইরে হয়ে যাচ্ছে
আস্কারা বোলতে ঠোঁট
ঠোঁটের হাসি গো
তাতেই কেমন সবজে হয়ে উঠছে দোর উঠোন
গলগল কোরে অবাধ্য কথাগুলো
কর্পোরেশনের কলের মতো

সব শুনে ফেলছো সঅঅব

আন্তাকসারির জন্যে কিছু রইলো না আর

কিছুতেই আসল কথা বলা হলো না
পাপোষে ঘষা হলো না ধুলো
নতুন কোরে মেঘ আসছে দেখে
ছাদ থেকে শাড়ি তুলতে দৌড়লে

আর চিৎকার করলে ‘ অন্য বাড়ি দ্যাখো ‘
সাত বাড়ির লোক জেনে ফেল্লো
পাড়া সুদ্ধু লোক

গান বাঁধার আর শব্দ রইলো না একটাও
সময় রইলো না একটুও

 

উঠোনে ঝাউ পুঁতলে !
এবার সমুদ্র খোঁজো

 

বাড়ি ফেরেনা কোনদিন কেউ
সাপ-ব্যাঙহীন এক শিবিরে ফেরে
ফেরে রোজ
রঙিন ত্রিপল বা শরণার্থী শিবির

মরণ শখের বিলাস নয়
ভাঙা চাঁদের বাটি ভরা থাকে
মৃত্যুর রঙে

জ্যোৎস্নায় জেগে ওঠে ঘুম…
সে এক শিকার অস্বীকার

মৃত্যু পরোয়ানা পকেটে জোগাড়

 

চাও হাত পেতো না
তাকাও
ডেকে দাও ঠেলে ঠেলে
জাগাও

 

যার মুখে খুব কথা
কথা শেষ একদিন কোথাও

কবরে যেতেও একটাই শব্দ
যারা কবর খোঁড়ে
তাদের দরকারএকটা কোদাল

যে সমূদ্রে যাবে তার আবার
কিসের হবে পথ
পথে বসা লোকের কি হবে বালি

বালি চাই তো বালিহাঁসের

যে বোবা তার কিসের গান

গানওলার সুর লাগে
গান গাইতে কি কান্নাও লাগে

যার মুখে খুব কথা সেও বোবা হয় একদিন

 

ভেবেছিলাম সারা দুকুর আলপনা দেখবো উঠোনে… পাতার আঁজলা গলে আলোর
কে এভাবে নাড়িভুঁড়ি ফেলে গেলো
গা গুলোয়……
এ কিসের নকশা

 

আজ তোমার সুরে সুর মেলাবো
কথায় কথা তোমার
তোমার ভেলায় হেলায় ভেসে
করব জলধি পার

এই বিভাগের অন্যান্য লেখাসমূহ