লাইমুন নাহার সীমার কবিতা
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
যদি কোন একদিন
সব থামিয়ে দিয়ে বলো
‘ভালোবাসি বলেছিলাম নাকি? ‘
কি উত্তর দেব বলোতো?
ভালোবাসা আমায় উনিশবছর ধরে
ডুগডুগি শব্দে বাঁদরনাচ নাচিয়েছে।
এখন শরীর থেকে
খুলে ফেলেছি সাজপোষাক
ছাল-বাকল সব…সবকিছু।
তবু আজও ঠায় দাঁড় করিয়ে রেখেছ
দরজার বাইরে।
লক্ষণগন্ডি টেনে রেখে বলেছো
‘আমি তো আছি!’
এই শহরে, রাস্তাধূলোয়, যাপনে
নিয়ন আলোর বৃত্তে, অভ্যাসে
আমিও তো আছি।
তবু করুণার মুঠো আলগা করে
গন্ডুষজলে তেষ্টা মেটাও
অনন্তপিপাসা নিয়ে মাধুকরী দান
ভিখারীদের কোন অপশন থাকে না যে।
নাগরিকত্ব আমার ধসে যাওয়া কাদামাটি দিয়ে তুমি গড়ে নিলে তোমার নতুন ঘরের স্তম্ভ আমার স্বপ্নের…..
ভালো নেই ভালো নেই ধূসর সন্ধ্যা বিষণ্ন বিকেল, চারিপাশ ভালো নেই কফির কাপ পথের ধুলো…..
প্রেমের কবিতা যা কিছু পাষাণ, মনে হয় আঁশ বটিতে কুচি-কুচি করে কাটি পালানো ঘাতক সময়…..
তর্জমা স্নানে শুচি হবার পর বেকসুর সন্ধ্যাগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব অন্ধকারের নিচে দোলনাচেয়ারে ছড়িয়ে বসা কিছুটা…..